আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"মাদকের ভয়াল থাবা"

আহমাদ ইউসুফ


“চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। নীতি কথা শুনতে শুনতে কান পঁচে গেছে। ভাই নতুন কিছু থাকলে বলুন। সর্বনাশা মাদকের করাল থাবায় আজ নিমজ্জিত আমাদের তরুন সমাজ। আগামী দিনের ভবিষ্যত! ভাবতেও গা শিউরে ওঠে একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট এমনকি একজন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তারও কিভাবে মদ পান করে মাতাল হন।

কি করে সিগারেটের অমিয়! সুধা পান করেন? সর্বনাশা মাদকের ভয়াল থাবা আজ সমাজের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত পর্যন্ত মাদক আজ জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজনীয় আইন আছে আইনের যায়গায়। ফেনসিডিল বা ইয়াবাসহ দুচারটা ছিচকে পাচারকারী ধরা পড়লেও রাঘব বোয়ালেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। এই হল আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা।

ইভটিজিং, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষন ক্রমে নিত্য নতুন মাত্রা পাচেছ। আমরা সচেতন সমাজও প্রতিকার খুজতে হন্যে হয়ে ফিরছি। কিন্তু সমাধান কতটুকু হচ্ছে তা বিতর্কের অবসান রাখে। প্রকৃতপক্ষে সমাজের যাবতীয় অন্যায় দুর্নীতি রোধে আমাদের ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতন হতে হবে। যদিও এসবই সামাজিক সমস্যা।

সমাজের মানুষ ইচ্ছা করলেই সব অপরাধ দমন করতে পারেন না যদি ব্যক্তি উদ্যোগ না থাকে। আমার কথাটা একটু জটিল মনে হতে পারে। আমি বলতে চাইছি অপরাধীর যদি অপরাধবোধ না থাকে তাকে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে আপনি শাস্তি দিয়ে কি করবেন? এবং এ শাস্তি কতটুকু কার্যকরী ভুমিকা রাখবে তা চিন্তার বিষয়। অর্থাৎ সারকথা হল ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার চর্চ্চা ব্যক্তির ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং অপরাধে নিরুৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি। সুতরাং আমাদের উচিত সমস্যার মূলোৎপাটন করা এবং সেভাবে পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করা।

ধন্যবাদ রফিকুল ইসলাম সাগর। ”

আহমেদ ইউসুফ
ঢাকা, ২০ মে ২০১২ ইং




অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।