আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইজি প্রিজনের অষ্টম শ্রেনীতে পড়া পুত্রের আঘাতে বাবা-মা, দুই বোন গুরুতর আহত !!



দুঃখিত, এই ধরনের একটি সংবাদ মাঝ রাতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ঘটনাটা টেলিভিশনে ঘন্টা ২-৩ আগ থেকেই মাত্র প্রচার শুরু হয়েছে। ছেলেটি ধারালো ব্লেড এবং বটি দিয়ে একের পর এক পরিবারের ৪ সদস্যকে রক্তাক্ত করেছে, হাসপাতালে এরা কিছুক্ষন আগেও ছিল অপারেশন থিয়েটারে। কিন্তু এখানে কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে-- আইজি প্রিজনের এই পুত্র সন্তান কি কারনে এই নৃশংসা ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে একজন সুস্থ ছেলে এ ঘটনা যে ঘটাতে পারে এটা বিশ্বাসযোগ্য না। এর পেছনে কয়েকটি সম্ভাবনাই দেখা দিচ্ছেঃ ১. ছেলেটি মানসিক ভাবে অসুস্থ ২. ছেলেটি নেশাসক্ত ৩. পরিবারের উপর সে ক্ষিপ্ত মানসিক ভাবে অসুস্থ হলে শুরুতেই পরিবারের পক্ষ থেকে সেটা বলে দেওয়া হোত, সুতরাং এটি এক্ষেত্রে কারন নয়।

অন্য দুটি সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারন রয়েছে। একটি শিক্ষিত, ধনী ঘরের (মা একজন দন্ত চিকিৎসক,এক বোন মেডিকেলের ছাত্রী) ১৩-১৪ বৎসরের ছেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে এ ধরনের হিংস্র হয়ে যাওয়াও যেমন উদ্বেগজনক তেমনি পরিবারের প্রতি আক্রোশ বশতঃ এহেন আচরনও ভয়াবহ ব্যাপার। একটা ১২-১৩ বৎসরের ছেলে বা মেয়ের পরিবারের অন্যদের উপর নানা কারনেই রাগ জন্মাতে পারে। এটা আমাদের ছোটবেলা, আমাদের বাপ-দাদাদের ছোটবেলা সব জমানাতেই ছিল। কিন্তু লক্ষনীয় বিষয় হোল এর প্রকাশভঙ্গি।

টেলিভিষন, মুভি, ভিডিও গেমস, ইন্টারনেট এ অতিরিক্ত সময় দেওয়া অপরদিকে পরিবারের সকলের আত্মকেন্দ্রিকতা, বাব-মার কর্মব্যস্ততা, আত্নীয় বিমুখতা, সামাজিক কর্মকান্ডে অনীহা এগলোর ই বহিঃপ্রকাশ এ জাতীয় ঘটনা, নয় কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.