সকল মতাদর্শকে আন্তরিকতার সাথে অধ্যয়ন করি।
দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হচ্ছেন আল্লামা শফি ও হাটহাজারী মাদরাসা ওরফে কওমী মাদরাসা। রেওয়ায়েতে আত্বতুষ্টিতে ভোগা কিছু কওমী ছাত্র।
আমার প্রশ্ন ...ভাই কেমনে হইল এইডা?
কেন ভাই দেখেতেছেননা? কে না যায় হাটহাজারী মাদরাসায়? ডঃ হাসান মাহমুদ, ব্যারিস্টার আনিস, হুমু এরশাদ, বিএনপি নেতারা। আর মাহমুদুর রহমান কাক্কুতো দৈনিক আমারদেশ দিয়ে আল্লামা শফিকে অল্পের জন্যে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ফেলছিল।
ও....এই কথা। আলহামদুলিল্লাহ।
আসলেই তো ! শালা... আমার মাথায় বুঝ জ্ঞান কই যে যাচ্ছে ভেবে পাইনা। এই রকম দৃশ্যমান আলামত দেইখাও বুঝতে না পারাটা হতাশা জনক। কারন "লাইন শাকারতুম লাআজিদান্নাকুম ওয়ালায়িন কাফারতুম ইন্না আজাবি লাশাদিদ"।
অর্থ যদি শুকুর কর বাড়িয়ে দিব আর কুফুরী করলে কঠিন শাস্তি দিব।
আর কথায় আছেনা মুমীনদের গতকালের চেয়ে আজকের দিন ভাল হবে। সে হিসেবে কওমী মাদরাসা তো আগের চেয়ে ভাল। মুমীন প্রতিষ্ঠান একেবারে খাটি খাটি।
কওমী ইস্কুলাররা কইছেন...
আর উপরের দিকে দেখা যাবেনা দেখতে হবে নীচের দিকে।
অল্পতে তুষ্ট থাকতে হবে। "জালিকা মাতায়ুল গুরুর"। দেইখেন ভূল কইফালাইতেছি কিনা বইলেন কিন্তু!
বাপুরা দুনিয়া পাওয়ার জন্যে চেষ্টা কইরনা। দুনিয়ার শানশওকত দেইখা সবর কর। এই গুলা তোমার নয়।
ইহুদী খ্রিস্টানরা কত জিনিষ বানাইছে । তা ব্যবহার করে তোমরা কত সুখে ইসলামের পড়া পড়তেছ। আল্লাহর শুকর কর। আল্লাহ দেখছ তাদের কিভাবে তোমাদের দাস গোলাম বানাইছে। !!! ক্ষমতা একটা লোভ।
লোভ করতে নেই। লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। রাজনীতি হারাম। এই সব নষ্ট কাজে মেধা অপচয় করতে নেই। দুনিয়াবী কাজে লিপ্ত না হইয়া দ্বীনের জ্ঞান অন্বেষনে মেহনত করতে হবে।
দাওরায়ে হাদীস পড়ে কোন মাদরাসার মুহতামীম হতে না পারলে জীবনটা জীবনই না। আল্লাহর প্রতি ভরসা কর। এই সব ফালতু দুনিয়াদারী বাদ দিয়া ফিকির কর। আল্লাহ কারে যে কি বানাইব টেরই পাইবানা। সুবহানাল্লাহ।
দেখতছনা এরশাদ লাইন লাগাইছে। হেফাজতের মিটিং এ পানি কলা খাওয়াইছে। আলহামদুল্লিাহ। সবাই আমাদের মোহতাজ একদিন হইবেই।
সব দিক বিবেচনা কইরা
এইবার মনে হয় কওমী মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্টপতি, সেনাপ্রধান, প্রধান বিচারপতি ও আইজি।
বিসিএস প্রশাসন, পররাষ্ট সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মনজুরী কমিশনের প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের পদও পাচ্ছেন। প্রাইভেটাজাইশন কমিশন, পরমানু শক্তি কমিশন, পরিকল্পনা কমিশন সহ গুরুত্বপূর্ন পদে চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা ও দেশ চালানোর হরেক রকম পদ পাচ্ছেন। জামার্নী ফ্রান্স জাপান, সুইডেন, রাশিয়া চীন সহ হরেক দেশে রাষ্টদুতের পদও পাচ্ছেন। চিলিকন ভ্যালীর আদলে গড়ে উঠা ব্যাংভ্যালীর রিসার্চ উপদেষ্টা হচ্ছেন কওমী একজন বিজ্ঞানী। আমেরিকা ভারত মোকাবেলায় পরমানু ও রাসায়নিক জীবানু অস্ত্র তৈরী করার জন্যে গঠিত হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন গবেষনা সেল হিজবুল্লাহ ডিফেন্স রিসার্চ টিম।
এই টিমের মুল গবেষক পদেও একজন কওমী বিজ্ঞানী মুল ভূমিকায় থাকবেন।
শিক্ষানীতি নারীনীতি, বিচারনীতি, সাহিত্যনীতি, সংস্কৃতি নীতি, কয়লা নীতি, পররাষ্টনীতি, এমডিজি, উৎপাদন নীতি সহ বিভিন্ন বিষয় ইসলামে আগে থেকে সব আছে বিধায় এই সমস্ত জায়গায় গবেষনার আর তেমন দরকার নাই বিধায় কওমী স্কলাররা দেশ চালাতে গিয়া হাফ ছাড়িয়া বাচিয়াছেন বলে জানা গেছে।
কওমীদের অবদানে এই দেশ এবং বিশ্ব একটা আলোকিত ইতিহাস সৃষ্টি করিবে বলে কওমী সরকার প্রেসব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন। চারদিকের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে জনগনকে আনন্দ মিছিল করতে দেখা গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।