পাখি উড়ে যায় রেখে যায় ছায়া, মানুষ মরে যায় রেখে যায় মায়া।
আমরা কোথায় আছি? কি বলতাছি আর কি করতাছি .....? আমরা আসলে নিজেরাই নিজেদের অবস্থান এবং কাজ-কর্ম সম্পর্কে কিচ্ছু জানি না। কারণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সপ্ন দেখিয়েছেন আমাদেরকে। তার ফল হিসেবে আমরা ডিজিটাল সময়ে বসবাস করছি।
কিন্তু আমরা জানি মানুষ দিন দিন উন্নতির দিকে যায়।
আমরা কতটা উন্নতির দিকে যাচ্ছি?... ডিজিটাল সময় তৈরী করে মানুষকে বিভ্রান্তির মদ্ধে ফেলা হলো। লোড শেডিং কমার বদলে দ্বিগুণ হল। মানুষের মধ্যে সময় নিয়ে সৃষ্টি হল ভুল বোঝাবুঝির। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে হল নানা রকম ভোগান্তিতে।
আবার ভারতকে টিপাইমুখ নামক মরণফাঁদ নির্মানের ক্ষেত্রে সরকার ভারতের হয়ে কথা বলছে।
জনগণের মতামত ও আন্দোলনকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।
বিদেশীদেরকে দেশের মহা মূল্যবান খনিজ সম্পদ গ্যাস ব্লক ইজারা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশকে গিলে খাওয়ার জন্য হা করে থাকা ভারতকে সরাসরি ট্রানজিট দেওয়া হচ্ছে।
তাহলে বুঝতে পারছেনতো আমরা কিভাবে ডিজিটাল যুগে এগিয়ে যাচ্ছি.........? হ্যাঁ বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে এটাই বুঝাতে চেয়েছন। যে দেশে থাকবে শুধু ডিজিটাল নিয়মে (গুনে গুনে গুলি চালানো) চাঁদাবাজি।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, যারা ঘরের ছেলে হয়েও কর্তার আদেশ অমান্য করবে। বিরোধি দলীয় নেতা ও সাধারণ জনগনের জীবনের অনিশ্চয়তা। দেশের ইসলামপ্রিয় লোকদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো ও তাদেরকে ধরে ধরে জেলে পাঠানো। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হেনে ইফতার মাহফিলসহ বড় বড় মাহফিল বন্ধ করার ব্যবস্থা জোরদার করা। দাড়ি-টুপি পরা লোকদেরকে রাজাকার হিসেবে প্রমানিত করার মিথ্যা প্রচেষ্টা চালানো।
আর কি বলবো...সচেতন মহল অবশ্যই চারদিক লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন আমরা আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে কি চেয়েছি আর কি পেয়েছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।