সকাল আর আসেনা গোলাপ হয়ে ফোটেনা কিশোরীর হাতে এক বালিকার জন্যে হন্নে হয়ে ঘুরছি। সে আসবে । অচীন এক দেশ হতে। হাসিতে তার মুক্তো ঝরে। সে বাস করে পাহাড় -নদী -অরণ্যের দেশে।
সে আসবে।
আমারও চলে যেতে ইচ্ছে করে।
আমি তার দিকেই এগিয়ে যাই।
আমার পথে পথে শ্বাপদের বাস। পরাগ সন্ধানী পতঙ্গের মত তার সন্ধানে চলতে চলতে ক্লান্ত।
শরীরে ক্লান্তির পরাগ ছাড়া কিছুই মিলে না...
পথো মাঝে নেমে আসে নমশূদ্র অন্ধকার। সে অন্ধকারে আমার উপর আছড়ে পড়ে নিরুদ্দেশ যাত্রী এক মৃতপ্রায় নদী। নদী বক্ষে হাহাকার করে উঠে চর। দূরে আরো অনেক দূরে ধূসর রঙ,ঝাপসা দৃশ্য,বাতাসের মানচিত্র-কেমন একটা ফ্যাকাসে চিত্রপট। নদী তীর ছেঁয়ে-শাদা রঙ কাঁশবন।
উদাসী বাতাসের সিম্ফনির সুর,বিষমমাত্রিক তালে অবিরাম নৃত্য করে যায়।
শতধা বিভক্ত সে নদীর ভগাঙ্কুর.....
হায়! বালিকা। স্বপ্ন বালিকা!
জ্যোৎস্নাজমিনের দেশে থৈ থৈ খেলে প্রেম, প্রেমের কলিকা। অবুঝ ,নির্বোধ-প্রেম ঝরে পড়ে নির্জন
নিষ্কলঙ্ক বালিকা সুহাসিনী প্রভাতের দেশে ....
কোথায় বালিকা?
আমি শুধু তোমার হাসির শব্দ শুনি। বাতাস পাগল হয়ে নেচে উঠে তোমার হাসিতে।
তোমার নূপুরের নিক্কনে তন্দ্রাভেঙ্গে হকচকিয়ে তাকায় ভয়ার্ত চোখে অন্ধকারের বাসিন্দা পাপিষ্ঠ পয়মাল।
আর আমি ক্লান্ত।
লবনহ্রদের ঝরণা শুকিয়ে কেবল পথরেখা দেখা যায়।
বালিকা আমি এখনো স্বপ্নে বিভোর!
নদীমুখী নদীসুখে তুই বিভোর এত!জানলি না আমি চিরটাকাল নদীকষ্টে কতটা কাতর। সময়ের বুকে নাক ঘসে নাসারন্ধ্রে তুলে আনি জ্বালা।
এ জ্বালা কেবল পোড়ায়। তখন কোমল নদীর স্রোতে ডুব দেবার নেশা বাতাস উতাল করে কাঁদে....
কোথায় বালিকা তুই? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।