শুক্রবার রাতে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চেলসির উয়েফা সুপার কাপের ম্যাচটির নির্ধারিত সময় ১-১ সমতায় শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়েও ২-২ গোলে ম্যাচ শেষের পর তা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর তাতেই ৫-৪ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে যায় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটির।
ম্যাচে দুই-দুইবার এগিয়ে গিয়েও হারের হতাশা তাই কিছুতেই ভুলতে পারছেন না স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ নামে পরিচিত মরিনিয়ো। তাকে বেশি ভোগাচ্ছে ৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার রামিরেসের মাঠের বাইরে চলে যাওয়াকে।
প্রতিপক্ষের মারিও গেটসেকে ফাউল করায় চেলসির এই খেলোয়াড়কে বহিষ্কার করেন রেফারি।
পুরো ম্যাচে চেলসির খেলোয়াড়দের যেখানে আটবার হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন সুইডেনের রেফারি জোনাস এরকিসন সেখানে বায়ার্ন দেখেছে দুটি হলুদ কার্ড। চার বছর মেয়াদে চেলসিতে ফিরে আসা মরিনিয়ো তাই এটাকে উয়েফার ষড়যন্ত্র বলছেন।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “উয়েফার সঙ্গে আমার এমন ইতিহাস অনেক, অনেকদিনের। ”
উয়েফাকে তিরষ্কার করে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই কোচ বলেন, “উয়েফার ম্যাচগুলোতে ১০ জন নিয়ে খেলার আমার দারুণ অভিজ্ঞতা আছে।
সুতরাং এমন কথা আমি বলতেই পারি। ”
এরপর রেফারির সমালোচনা করে ভিন্ন দুই দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী মরিনিয়ো বলেন, “ফুটবলকে ভালোবাসলে কখনই আপনি এভাবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে একটা ফাইনালকে শেষ করে দিতে পারেন না। (ম্যাচে) আরো অনেক হলুদ কার্ড দেখানোর সুযোগ ছিল কিন্তু রেফারি তা দেখাননি। ঠিক আমার সামনে দান্তেকে (বায়ার্নের ডিফেন্ডার) হলুদ কার্ড দেখানোর মতো পরিস্থিতি হয়েছিল কিন্তু রেফারি তা দেখাননি। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।