১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯
এই সপ্তাহে তথ্যপ্রামানিক দলিলে ইরানী নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষণ ও অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশিত হওয়ার পর ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা নতুন করে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
গত সোমবার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মেহেদী কারুবি কর্তৃক গঠিত কমিটির কার্যালয়গুলোতে হানা দিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেয়। এই কমিটি গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিবাদকারী ও নানান ধরনের নির্যাতনের শিকার বিনা বিচারে আটককৃত বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো মিলিয়ে দেখছিলো।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব আইরিন খান ইরানের সর্বোচ্চ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করে।
তিনি আরো বলেন, ‘ইরানী কর্তৃপক্ষ ঘটনার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের পরিবর্তে নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্তৃক নির্যাতিত হওয়ার দাবী করছে এমন ব্যক্তিদের পরিচয় বের করার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
’
বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের টার্গেটের শিকার কমিটিকে অন্য আরেকজন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মীর হোসেন মুসাভীও সমর্থন জানিয়েছিলেন। এই কমিটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সরকারি ফলাফলের বিরোধীতাকারী ও বিনাবিচারে আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা মানবাধিকার কর্মী ইমাদ্দেদীন বেগের প্রতিষ্ঠিত এসোসিয়েশন ফর দি ডিফেন্স অফ প্রিজনার্স রাইটস এর কার্যালয়ও বন্ধ করে দিয়েছে। সংস্থাটি বিনা বিচারে আটক ব্যক্তিদের উপর চালিত নির্যাতন ও অন্যান্য দুর্ব্যবহারের ঘটনার তথ্য সন্নিবেশিত করছিলো।
প্রসিকিউটর জেনারেলের এক অফিস আদেশ পালনকালে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা দু’জন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কর্তৃক গঠিত ও সমর্থিত কমিটির কার্যালয়গুলো জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়েছে এবং তাদের কার্যালয়ের কমপিউটারসমূহ, ফাইলসমূহ ও অন্যান্য রেকর্ডসমূহ জব্দ করেছে।
এই কমিটি কয়েকদিন আগে তাদের তদন্ত ফলাফলের একটি প্রতিবেদন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে গঠিত সংসদীয় কমিটির কাছে জমা দিয়েছে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।