সম্প্রতি ভারতে এক তরুণী বাসের ভেতর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর কেন জানি এ জাতীয় সংবাদ বেশি করে গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলেই যেন ছড়িয়ে পড়ে।
তারপর বাংলাদেশেও দেখা গেলো গণধর্ষণের ঘটনা। নারী থেকে শিশুও বাদ গেলো না । গণমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করতে থাকলো সংবাদগুলো।
সর্বশেষ যে সংবাদটিতে খুব কষ্ট পেয়েছি হতাশ হয়েছি তাহলো.. রাজবাড়িতে একটি শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা।
এ অভিযোগে জেলখেটে বের হয়ে কেন আবারও সেই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটলো। অভিভাবকদের ভূমিকা কী ছিল? সুযোগ কী ছিল না এমন একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা এড়ানোর।
Click This Link
প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা খুললেই এ ধরণের ঘটনা চোখে পড়ছে। আগে এতটা ব্যাপক ছিল না।
হঠাৎ করে এ প্রবণতা বেড়ে গেলো কেন- গণমাধ্যম কি এ ধরনের ঘটনার উপর গুরুত্ব বেশি দিতে শুরু করেছে নাকি, অপরাধ প্রবণতাই বেড়ে গেছে? এ প্রশ্নের জবাব কি কারো কাছে আছে? কিছুআগে ইভটিজিং-এর ঘটনা মহামারী আকার ধারণ করেছিল। এখন কি সেটা বন্ধ হয়েছে? সেভাবে গণমাধ্যমে দেখি না। নাকি ইভটিজিং-এর বদলে নতুন রূপ নিয়েছে। আগে যারা ইভটিজিং করতো এখন তারা ধর্ষণ করে? মানুষের মনুষ্যত্ব কী আরও নীচে নেমে গেছে? প্রশ্নের জবাব ঘোরপাক খায় মনে কিন্তু জবাব মেলে না। আছে কি জবাব কারো কাছে?
আসুন না, সামাজিক এসব ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
নিজের ঘরে ও ঘরের পাশের নতুন প্রজন্মকে এ বোধটা দেয়ার চেষ্টা করি, এটা পাপ। একজন মানুষ ও একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। আসুন শপথ নিই এই অপরাধীদের প্রতিরোধে, চুপ করে থাকবেন না। কেননা পরবর্তী শিকার হতে পারে আপনারই কোন প্রিয়জন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।