অস্তিত্বের মাঝে অস্তিত্বহীন একজন কোন এলাকায় যদি চুরি করলে হাত কেটে নেওয়ার বিধান থাকতো, তবে ঐ এলাকায় খোলা জায়গায় কোন মূল্যবান বস্তু পড়ে থাকলে কেউ সেটা চুরি করার আগে একশো বার ভাবতো। ধরা পরলে হাত কাঁটা নিশ্চিত।
ঠিক সেই রকমই ধর্ষণের শাস্তি যদি মৃত্যুদণ্ড হত আর তা যদি দ্রুত কার্যকর করার ব্যবস্থা থাকতো তবে একজন মানুষ, একজন ধর্ষক হয়ে ওঠার আগে হাজারবার চিন্তা করত।
মূল বিষয়টা কিন্তু এখানেই , শাস্তির কার্যকরতা নেই। শুধু শুধু মেয়েদের পোশাক এর ধোঁয়া তুলে কোন লাভ নেই।
আপনি কি পাড়তেন কাপড় ছাড়া ঘুরে বেড়ানো কোন নারী কে ধর্ষণ করতে, যেখানে আপনি জানেন ধরা পরলে মৃত্যু নিশ্চিত।
কিন্তু না আমাদের দেশে এ ধরনের কঠোর কোন শাস্তির বিধান নেই। ধর্ষক জানেই যে , তাকে বাঁচাতে শুধু তার পরিবারই না পুরো সমাজ দাঁড়িয়ে পড়বে। ধর্ষণের শাস্তি কি? পাঁচ হাজার বড়জোর দশ হাজার টাকা। আর ধর্ষিতার কপালে জোটে পুরো সমাজের লাঞ্ছনা, যেন অপরাধ তাঁর !!
ধর্ষণ হত্যা অপেক্ষা বড় অপরাধ।
আমাদের সমাজে শুধু শরীর হত্যার শাস্তি দেওয়া হয়, মন হত্যার নয়। এই সমাজে ধর্ষিতা নারীর বেঁচে থাকার যে কষ্ট তা শুধু সেই জানে। এক বার তাঁর জায়গায় শুধু আপন কাওকে বসিয়ে দেখুন।
ধর্ষকের সাথে কোন মানবতা দেখানো যাবেনা। তাঁর বর্বরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শুধু অনলাইনেই নয়, আমাদের রাজপথে নামতে হবে ধর্ষকের কঠোর শাস্তির জন্য।
আসুন আমরা সামাজিক ভাবে ধর্ষকদের প্রতিরোধ করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।