কল্পনাকে সাথী করে পথ যখন চলি তোমার কথা ভেবে ভেবে হারাই চেনা গলি কল্পনাতেই কল্পনাতেই ধর্ষণ হলো সম্পর্কের বিকার। ধর্ষণের দ্বারা কৌমার্যের ক্ষতি বা শরীরের ড্যামেজ আসল ব্যাপার না। "কৌমার্যের ক্ষতি" বানানো একটা পুরুষতান্ত্রিক ধারণা মাত্র। শরীরের ওপর যে কোনো বল প্রয়োগ বা সহিংসতাই শরীরের ক্ষতি করতে পারে। ধর্ষণে সবচেয়ে বেশি বিনষ্ট হয় আত্মমর্যাদা।
আত্মমর্যাদার যে কোনো বিনাশই ধর্ষণ। এ হলো আত্মার ক্ষতি। যে কোনো প্রত্যক্ষ বল প্রয়োগেই এটা ঘটে। চূড়ান্ততম মাত্রায় ঘটে ধর্ষণে। আত্মমর্যাদা কীভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে তার ওপর তাই নির্ভর করে ধর্ষণের সংজ্ঞা
আজকের সারা দুনিয়ায় প্রলোভন বৈধ ব্যাপার।
মৌলিকভাবে দরকারি ব্যাপার। প্রলোভন ছাড়া বিজ্ঞাপন অচল। বিজ্ঞাপন ছাড়া পণ্য অচল। পণ্য ছাড়া নিত্যনতুন বাজারি উত্পাদন অচল। প্রবৃদ্ধি ধপাস।
এই হলো নয়া উদার নীতিবাদী আর্থ-রাজনৈতিক ব্যবস্থা। টিভিতে পত্রিকায় সিনেমায় নাটকে, বিজ্ঞাপনে, গল্পে, সাহিত্যে প্রবন্ধে গবেষণায় "প্রলোভন" প্রধানতম থিম সং। মান্না দে'র সেই গানের কথা কে না জানে: "ও কেন এত সুন্দরী হলো ... দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই, আমি তো মানুষ"। মনুষ্যত্বের মাপকাঠি হলো সে স্ট্যান্ডার্ড 'সৌন্দর্যের' প্রলোভন বোঝে কিনা। এমনই এই লোভের অর্থনীতি যে বন্ধুত্বেও প্রলোভন থাকে।
ধর্ষণেও প্রলোভন থাকে। অন্য সব প্রলোভনকে বহাল রেখে ধর্ষণের প্রলোভন উচ্ছেদ করা কি সম্ভব? যদি সম্ভব হয়ও খোদ প্রলোভন থেকেই যায়। প্রলোভন থাকলে তার নানারকম রোগলক্ষণের অভিপ্রকাশও ঘটে। এই যদি হয় খোদ সমাজ-বন্দোবস্ত তাহলে থানা পুলিশ আদালত কারাগার ফাঁসি দিয়েও শান্তি পাব না আমরা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।