আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুতুপুতু নয়, টিকে থাকার জন্যই চাই আগ্রাসী সামরিক নীতি

আমরা সবাই নাৎসি, বাংলা হবে জার্মানী... ;)
[হার্টের রুগীরা নিজ নিজ দায়িত্বে পড়বেন, অন্যরাও তাই] গত ৩৫ বছরে আমাদের সামরিক বাহিনীর অর্জন কি?? বার দুয়েক নিজেদের দেশ দখল করা ছাড়া তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কোন অর্জন নাই... ভারত তালপট্টি দখল করে আমাদের সেনাবাহিনী তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। আর আমরা এই বাহিনী পালতে গিয়ে বাজেট উজাড় করে দেই প্রতি বছর। আমাদের পুতুপুতু সামরিক নীতির কারনেই আমরা বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত মার খাচ্ছি। আমাদের দেশের একাংশ যদি আজ কোন দেশ দখল করে তবে নিশ্চিত থাকুন আমাদের সেনাবাহিনী তাকিয়ে তাকিয়ে মজা দেখা ছাড়া আর কিছুই করবে না। আমাদের দেশ মরুভুমি হয়ে গেলেও আমাদের সেনারা ক্যান্টনমেন্টের ভেতর ফুর্তি করবে আর আমরা সাধারণ মানুষেরা কেউ কেউ সরকারী ব্যার্থতা আর কেউ বিরোধী দলীয় ষড়যন্ত্র এই নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলব... .................................................................. যাই হোক... সেনাদের স্থান হল যুদ্ধক্ষেত্র।

এদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ালে আমাদের কোন লাভ নাই। বরং কাজ না পেয়ে নিজেদের দেশই দখলের চেস্টা চালাবে... তাই এখনই প্রয়োজন এদেরকে দিয়ে যুদ্ধ করানো। প্রথম আক্রমনঃ মায়ানমার আমরা প্রথমেই মায়ানমার আক্রমন করতে পারি। মায়ানমার দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের নিচে আছে। মায়ানমানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলে সাধারন জনগনের ব্যাপক জন সমর্থন পাওয়া যাবে।

যদিও মায়ানমারের সামরিক শক্তি বেশ, তবুও অবস্থান গতভাবে খুব দুর্বল। নিজের দেশেই তাদের কোন জনসমর্থন নেই। মায়ানমারে গনতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়া হবে এই আশ্বাসে আম্রা মায়ানমার আক্রমন করে তারপর মায়ানমারএর শাসন ক্ষমতা দখল করব। পরবর্তী লক্ষ্যঃ পূর্ব এশিয়া মায়ানমার দখলের পর নিঃসন্দেহে আমাদের গায়ে এক্টা জোস চলে আসবে। আমরা এর পর একে একে লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুরের মত ছোট খাট রাস্ট্রগুলো দখল করে নেব।

ভারত দখলঃ ইতোমধ্যে আমরা সেভেন সিস্টারস কে সামরিক সহায়তা দিয়ে ভারত থেকে আলাদা করে দেব। তারপর শিকড় বিছিন্ন এই সাতটি রাস্ট্রকে খুব সহজেই দখল করে নেয়া যাবে। অতপর বিশাল শক্তি নিয়ে ভারত আক্রমন করে তা দখল করে নেব। ভারত দখল নিসন্দেহে একটা বাংলাদেশী সামাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষে এক্টা গুরুত্ত্বপূর্ণ মাইল ফলক হবে... আশা করা যায় এর পর অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগীতা সুরু হবে কারা আগে বাংলাদেশের সাথে অন্তর্ভূক্ত হবে। দখল এবার চীন-রাশিয়াঃ হিটলার যা পারেনি আমরা তাই করে ফেলব।

রাশিয়া সম্পুর্ন দখল করে নেব। বাদ যাবে না চীন-জাপানও। এবার ইউরোপ বিজয়ঃ সারা এশিয়া দখলে নিয়ে এবার আমাদের নজর হবে ইউরোপের দিকে। আলাদা আলাদা করে একেকটা দেশ না হিসাব করে সারা ইউরোপই একসাথে দখল করে নেব। সময় কম লাগবে।

ল্যাটিন আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াঃ ইউরোপ দখল হলে তো ল্যাটিন আমেরিকা কোন ছার...চোখের পল্কেই ল্যাটিন আমেরিকা দখল করে নেয়া যাবে...একই সাথে পাশের অস্ট্রেলিয়াটাও দখল করে নিলাম, কোন সমস্যা নেই। আফ্রিকাটাও একফাকে দখলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না... সবশেষে ঊত্তর আমেরিকাঃ এটাই হবে বাংলাদেশী সামাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার সবথেকে গুরুত্বপূর্ন অংশ। আমেরিকা আক্রমন্টা হবে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং... তারপরও করার কিছু নাই... করতেই হবে। এর উপ্রেই সামগ্রিক সফলতা নির্ভর করছে... আমেরিকা দখলে আনতে পারলে মুটামুটি সারা পৃথিবীই আমাদের হাতে চলে আসবে। ................................................... একদিনে সবকিছু করতে গেলে অবাস্তব পরিকল্পনা মনে হতে পারে।

১০০ বছরের টার্গেট নিয়ে আগানো হলে বিজয় সুনিশ্চিত। ভাগে ভাগে যদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়, যেমন - আগামী ৫ বছরের মধ্যে মায়ানমার দখল। ২৫ বছরের মধ্যে ভারত দখল এভাবে আগানো যায় তবে নিশ্চিত ভাবেই আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বিশ্বজড়ে বাংলাদেশী সামাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। [img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/duu_1253373641_6-12octubre_cabra[2].jpg]
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।