যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
সতের তারিখের প্রথম আলোর ১১ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর একটা নিবন্ধ "শিক্ষাক্ষেত্রে অর্জনের সম্ভাবনা "। আমরা জানি শিক্ষামন্ত্রীর নাম "নুরুল ইসলাম নাহিদ" - এ নামেই তিনি পরিচিত। মন্ত্রণালয়েও তিনি এই নাম ব্যবহার করেন। কিন্তু আলোচ্য প্রবন্ধে তার নাম লেখা হয়েছে "নুরুল ইসলাম"। মানে প্রথম আলোর লাস্ট নেম বা নিক নাম বর্জনের নীতিমালায় "নাহিদ" কাটা পড়েছে।
ঐদিনের পত্রিকারই দশম পৃষ্ঠায় সম্পদকীয় বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে "জন্মভূমির সঙ্গে রয়েছে মানুষের এক রহস্যময় যোগসূত্র " - লিখেছেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে এখানে "আবদুল্লাহ আবু" নয় - তার নাম লেখা হয়েছে "আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ" হিসাবেই। অর্থাৎ তৃতীয় নাম বা শেষ নাম বা নিক নাম - এখানে ঠিকই বহাল থাকছে।
এই একই বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে হাজার মাসের শ্রেষ্ঠ রজনী 'লাইলাতুল কদর' নামে একটা ধর্ম বিষয়ক নিবন্ধ। এর লেখক হচ্ছেন মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান।
লক্ষ্যনীয় এখানে লেখকের নামের চারটি অংশই লেখা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে যদি "নুরুল ইসলাম" বলা হয় খুব কম মানুষই চিনবে। তেমনি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে যদি "আবদুল্লাহ আবু" বলা হয় - মনে হয় না কেউ চিনবে।
এসমস্ত খ্যাতিমান কলাম লেখক, রাজনীতিবদদের নামের উপরে প্রথম আলোর এই অপ্রয়োজনীয় নীতিমালার প্রয়োগ বিরক্তিকর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।