আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচন মামাবাড়ির আবদার না: ফখরুল

শনিবার বিকালে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দলের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও খালেদা জিয়া যাননি। ফখরুল বলেন, “নির্দলীয় সরকারের অধীনে জিততে পারবে না বলেই এখন তারা দলীয় সরকারের অধীনে গায়ের জোরে নির্বাচন করতে চায়। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের পদেই থাকবেন, মন্ত্রী-এমপিরা স্বপদে বহাল থাকবেন, এটা যেন মামার বাড়ির আবদার। ” একদলীয় নির্বাচনের সুযোগ সরকারকে সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

নেতৃত্বস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করে সরকার ‘ফাঁকা মাঠে’ একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, এই সুযোগ তাদের দেয়া হবে না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো সাজানো নির্বাচন মেনে নেব না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবার জঙ্গিবাদের উত্থান হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুল দাবি করেন, “বিএনপি কখনোই জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। বরং আওয়ামী লীগের আমলে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিলো। ” চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাভাই, শায়খ আবদুর রহমানসহ জঙ্গি নেতাদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।


২০০৪ সালে গণমাধ্যমে সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইয়ের জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে খবর এলেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শুরুতে দাবি করেছিলেন, বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি। বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।
২০০৬ সালের মার্চ মাসে বাংলাভাই, শায়খ আবদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, “১৯৯৬-২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রমনা বটমূল, সিপিবি’র সমাবেশ, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় জঙ্গিরা বোমার ঘটনা ঘটেছিলো। একটি ঘটনারও তারা বিচার করেনি।


শুক্রবার সোহরাওয়ার্দি উদ্যোনে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অরাজনৈতিক ও অশালীন বক্তব্য রেখেছেন অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “বিরোধী দলীয় নেতা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অশালীন বক্তব্য রেখেছেন। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে তিনি এরকম অরাজনৈতিক, অশালীন বক্তব্য থেকে বিরত থাকবেন। ”
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “গণতন্ত্রের পক্ষে বলে বিএনপি আজ একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপিকে ভয় পায় বলে আওয়ামী লীগ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় না। তারা বুঝতে পেরেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের খবর থাকবে না।

তাই তারা নানা টালবাহানা করছে। ”
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, “আমরা শুনতে পারছি, সরকার আবার সংবিধান পরিবর্তন করতে চায়। বর্তমান বিধানে মেয়াদের ৯০ আগে নির্বাচন করার কথা। এখন তারা মেয়াদপূর্ণের পর নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। এটা করা হলে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন না করে মেয়াদপূর্ণের পর নির্বাচন করার জন্য নির্দলীয় সরকার ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না, করতে দেয়া হবে না। ” মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.