ক্ষমতা নয় মানবতার চোখে দেশ গড়া জাতীয় এক্য স্থাপনে সবার
একতা চাই । ।
*************
প্রিয় দেশবাসী ও বন্ধুগন
**************
আমি সত্য কিছু অপ্রিয় কথা জানাব , যা আজকের জন্য এবং ভবিষ্যৎ বাঙালি প্রজন্মের জন্য
সটীক ইতিহাস । ।
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি মুসলিম বাহিনী লয়ে ১ম ভারত সাম্রাজ্য বিজয় করে
স্বাধীন ভাবে ইসলামের পতাকা ওড়ায় ।
তারও বহুদিন আগে আউলিয়া শিরোমণি হজরত শাহজালাল রা বহুসংখ্যাক সাহাবি লয়ে হিন্দু রাজা গৌড় গুবিন্দ কে
পরাজিত করে বাংলাদেশ ও ভারতে ইসলামের পতাকা ওড়ায় । ।
তাদের নীতি ও আদর্শ এত টুকু প্রবল ছিল যে বিধর্মী হিন্দুগন আপনা তেই এসে কাল্মা পড়ে
মুসলমান হয়ে যায় । ।
সেই যুগ থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত মুসলমান শাষকগন , স্বাধীন ভাবে ন্যায় নিষ্ঠা এবং ইসলামী
আদর্শে গড়ে তুলে গেছেন সমাজ ও ধর্ম ।
।
আজও ভারত বর্ষ মোগল সাম্রাজ্য অধিপতি গন এর শাষন এবং সমাজ ব্যাবস্থায় ইসলামের
সুরক্ষিত নানা ইতিহাস , ঐতিহ্য খুবই স্পষ্ট । ।
এমন কি বাংলার স্বাধীন নবাব গনের ইতিহাস ঐতিহ্য মুসলমান দের ধর্মীয় যে ভাবগাম্ভীর্য
অতিব রক্ষণশীল ।
মুসলিম অধিপতি গন বহু মসজিদ , কানকা এবং মাত্রাসা তৈরি করে গেছেন শিক্ষা প্রসারের
জন্য ।
আর তখনকার সামাজিক জীবন ব্যবস্থা এবং মানুষের সুখ স্বাস্থ্য ছিল অত্যান্ত ভাল ।
ছিল সামাজিক ভাবে সবারই সমাজে সমান মর্যাদা । এবং রাস্টিয় বিচার ব্যাবস্থাপনা ও সামাজিক রিতিনিতি ছিল অত্যান্ত সুরক্ষিত । ।
এবার আসি বর্তমান যুগে , সেই সুন্দর সুরক্ষিত সমাজ বার বার ভেঙ্গে খান খান হয়েগেল বেঈমান মীরজাফর দের জন্য ।
।
আর বেঈমান মীরজাফর রা লুকায়িত থাকে ভাল সমাজের মধ্য । ।
এরপরের ইতিহাস আমাদের স্পষ্ট , আমাদের দেশ শাষন করে ইংরেজ রা , অলন্দাজ , ব্রিটিশ
সহ বিশ্বের নানা জাতী । ।
ধীরে ধীরে অবহেলিত বঞ্চিত মানুষ লুকিয়ে লুকিয়ে এক হতে থাকে , শুরু করে প্রতিরোধ । ।
আর যালিমদের সামনে পড়লেই হিংস্র কাল থাবায় এদের প্রতিহত করা হয় । ।
তবুও লাঞ্চিত মজদুর রা দমে যায়নি , এই বাংলার বীর সন্তানেরা বারবার রুখে দ্বারায় অন্যায়
অবিচার এবং যুলুমের বিরুদ্ধে , এর মধ্য প্রধান প্রধান নেতৃত্ব যারা দিয়েছে তাদের মধ্য ঈশা খান , তিতুমির , হাজী শরিয়ত উল্লাহ , ও মজনু শাহ মস্তানা তাদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা ।
সেই সব মহা রথিদের দুর্বার আক্রমনে বার বার শোষকের সিংহাসন ঢলে পড়ে । ।
আসে গনমানুষের বিপ্লবি চেতনা , তাদের মধ্য ক্ষুদিরাম , প্রিথিলতা , ও মাস্টার দা সূর্য সেনের
নাম উল্লেখ যোগ্য । ।
যদিও তারা ব্যর্থ তবুও দমে যায়নি সেই দুরন্ত আন্দোলন ।
।
বিপ্লবী চেতনায় চিন শক্তিকে এক করার যে দূর্বার সংগ্রামে ন্যায়পাল হয়ে হাল ধরে সেই বিজেতা মাওসেতুং এর গনযাত্রা বিশ্ব কে দিয়েছিল অবাক করে । । দীর্ঘ ২৭ বছর লেগেছিল
চিন কমিনিউজম বা সমাজতন্ত্রের পুরুধা শোষক শ্রেণী উৎখাত করে গড়ে সুশীল সমাজ ব্যাবস্থার
গঠন । আমাদের দেশের চাইতেও অনেক নিঃস্ব এ দেশে বাস করে কিন্ত্ রাস্তায় যদি এক কোটি
টাকাও পড়ে থাকে তবে তা তুলে নেয়ার লোক খুবই কম পাওয়া যাবে ।
।
আচ্ছা সে কথা না হয় বাদ দিলাম ।
আমাদের দেশে আন্দোলন সংগ্রাম যখন চরমে তখন মুক্তির আলোক বর্তিকা হয়ে উদয় হয় , মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি , বাংলার বাঘ খ্যাত শেরেবাংলা একে ফজলুল হক , হোসেন শহিদ সহুরাওয়ারদি , কমরেড আব্দুল হক , মনিসিং , মুজাফফর ও বিদ্রুহি কবি নজরুল । ।
এদের চেতনা আর বিপ্লবী স্তবগানে মুক্তি পাগল সকল মজদুর এক হয়ে ব্রিটিশ শক্তিকে দাবিয়ে
দিয়েছিল রন হুংকারে ।
।
এর মধ্য হয়ে যায় ২য় বিশ্ব যুদ্ধ । ।
জন্ম নেয় তৃতীয় বিশ্ব , একদিকে পরাভূত চিন রাশিয়া , আর অন্যদিকে মাথা তুলে দ্বারায় যুক্ত রাস্ট ও সাম্রাজ্যবাদ প্যাসিস্ট পুঁজিবাদী ইউরোপীয় ইউনিয়ন । আর অন্যদিকে ধুকে ধুকে মুসলিম রাস্টগুলু ক্ষিন দুর্বল হয়ে টিকে থাকার অব্যর্থ প্রহসনে পরিনত হয় ।
।
ভারত বিভক্তি হয়ার পর স্বাধীন পাকিস্তানের জন্ম হয় । ।
আবারও পূর্ব পাকিস্থান বর্তমান বাংলাদেশ এবং পশ্চিম পাকিস্থান নামে দুটি পৃথক ভূখণ্ডের জন্ম
হয় । ।
আবারও সাম্রাজ্যবাদী দালাল রা দুটি ভূখণ্ডকে পৃথক করার জন্য উটে পড়ে লাগে । ।
শুরু হয় দুর্বার গন আন্দোলন , ৫২ এর ভাষা আন্দোলন , ৬৯ এর গন আন্দোলন এবং ৭১ এর
মুক্তি সংগ্রাম সর্বক্ষেত্রেই মাওলানা ভাসানি সাহেব কে সভাপতিত্ব পদ অলংকিত করে তার মাধ্যমে জাতীয় এক্যর ডাক আসে ।
আন্দোলন প্রেক্ষাপট আগরতলা যরযন্ত্র মামালায় বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয় , তখন তিনি ছাত্র নেতা বয়স সম্ভবত ২২ / ২৩ হবে । ।
পাকিস্থান কারাগারে কারাবরন মুক্ত করে আনেন মাওলানা ভাসানি , তার বয়স তখন ৮০ । ।
স্বাভাবিক ভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন তার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আসে । ।
জাতীয় যুক্ত ফ্রন্ট গঠন হলে বাংলার সকল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবীণ জাতীয় মহত হৃদয় ভাসানির নির্বাহী আদেশে সাঙ্ঘটনিক সব কিছু চলতে থাকে ।
।
এমনকি রাজনৈতিক শক্তিকে রাস্ট ও ক্ষমতার চালিকা শক্তিতে পরিনত করার জন্য শেখ মুজিব
মাওলানা ভাসানির পরামর্শে গঠন করে আওমেলিগ । । আওমি উর্দু শব্দ বাংলা অর্থ জাতীয় । ।
দুটি সংঘটন এর একাত্ততায় নাম ধারন লরে আওমি মুসলিম লীগ বা জাতীয় মুসলিম লিগ । ।
এমনকি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাকে ৭ ই মার্চের ভাষণে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানি সাহেব । ।
বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয় আর মাওলানা ভাসানি সাহেব গুরুতর অসুস্থ হয়ে চলে যায় কলকাতা প্রেসিডেন্সি হাসপাতালে ।
।
শুরু হয় ৭১ এর রণাঙ্গন , জাতীয় মুসলিম লীগের এক নেতা গ্রেফতার আরেক জন মৃত্যু শয্যায় । ।
ফাটল ধরে আওমি এবং মুসলিম লিগের মধ্য / জাতীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠন হয় মুজিব নগর
সরকার । ।
আর মুসলিম লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ জি ওসমানী সাহেব এর নেতৃত্বে সারা বাংলায়
১১ সেক্টরে ভাগ হয়ে শুরু হয় পাকিস্তানী মিলিটারির বিরুদ্ধে তিব্র প্রতিরোধ । ।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তিম অধ্যায় শেষে ৩০ লক্ষ মুক্তি কামী বীরবাঙালির তাজা রক্তের বিনিময়ে
এবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি আমাদের স্বাধীনতা । ।
জাতীয় মুসলিম লীগের বুদ্ধিজীবী মহল কে বধ্যভুমিতে নিয়ে নিসংস ভাবে খুন করা হয় ।
এরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক , প্রেসের সম্পাদক , সাংবাদিক , লেখক , ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ত ।
আরও অনেকেই । ।
যুদ্ধ ফেরত মুক্তি কামী জনতার ঘরে ফেরা হয় বিষাদিত ।
মাওলানা ভাসানি হাসপাতালের মর্গে মারা যায় আর বঙ্গবন্ধু ফিরে আসে ।
।
শুরু হয় দেশ গড়ার সংগ্রাম । । বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতাদের নিয়ে স্বাধীন বাংলা সরকার গঠন করেন । ।
এবং সব বাঙালী অবাঙ্গালী যুদ্ধাপরাধিদের সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন । ।
কিন্তু মুসলিম লিগের নেতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক , এম , এ জি আতাউল গনি ওসমানীর প্রতি
তিনি অবিচার করেন । ।
মুলত যিনি যুদ্ধ পরিচালনা করেন তিনিই সর্বাধিনায়ক ।
অথচ আজ দেখি ক্ষমতার দাপটে প্রকৃত
ইতিহাস বিকৃত । ।
\
যে দুজন জাতীয় নেতা বাংলার প্রান মাওনালা ভাসানি এবং ওসমানী সাহেব আজ ইতিহাসে
তাদের মুল্যায়ন কে ছুট এবং বিকৃত করে দেখানো হয় । ।
বর্তমান নেত্রি মাননীয় শেখ হাসিনা এবং বিরুধি দলীয় নেত্রি খালেদা জিয়া তারা ক্ষমতায় এসে
২০ বছরে শুধু নিজেদের পরিবারের কেন্ত্রিয় দিক ও ইতিহাস উম্মুচন করে সারা বাংলাদেশ তাদের নিজ নামে দখল অথচ ৩০ লক্ষ শহীদ পরিবারের অধিকাংশ মানুষ আজ ভাঙা পথের
পথিক নয়ত ভিখারি কে রাখে কার খবর ।
।
আর দলিয় ক্ষমতার দাপটে লুটতরাজ , অনিয়ম , ঘুষ , দুর্নীতির আখড়া হয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মান মর্যাদা আজ ক্কুন্ন । ।
আর ইসলাম হতে চলেছে ক্ষমতা লোভীদের খেলার সামগ্রী । যে দেশে ৯৭ ভাগ মানুষ মুসলমান
তাদের কি নামে অভিহিত করা যায় ।
।
আজ মুসলিম বললে নিজেরাই লজ্জিত হই , ছি , ছি ধিক এ ক্ষমতা , ধিক মানবতার অবমূল্যায়ন । । আজ দেখি দেশের চাইতে দল বড় , আর দলের চাইতে বড় নেতা ।
তাই প্রকাশ্য আজও হয় খুন ,আর এ অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধিনতা ।
।
হে বীর বাঙালী ক্ষমতা নয় , মানবতার হৃদয় খুলে এক হও , নয়ত এ দেশ আফগান ইরাক , সিরিয়া , মিসর এর মত ধিকে ধিকে জ্বলবে । ।
Like · ·
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।