আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতির জাবর কাটা

saving the world by sleeping

গতকাল আমাদের ২০০১ ব্যাচের একটা ছুডো গিট্টু ছিল স্থান : গুলশান - ১ এভিনিউ : পিটসা হাট সময় : ৪ ঘটিকা ( যদিও কেউ ৫টার আগে মুখ দেখাইতে পারে নাইক্যা । বেশিরভাগ আইসে ৬টার পরে ) উপলক্ষ : ইফতার কারণ দর্শানো : চেহারা চিনোন ( যাতে রাস্তায় দেখা হইলে কোনোভাবেই স্কিপ না করবার পারে ) মেনু : পিৎসা ( আনলিমিটেড ) খেজুর ( ১ পিস ) ( ইমন্যাইর নাকি এইটা খায়ে পেট ভইরা গেছে মাগার সে দেখি ১৫+ পিৎসা একলা সাবার করছে ) পেপসি ( আনলিমিটেড ) ( ইব্রাহিম কইছিল হে নাকি পুরা পেপসির দাম উসুল করবে । তারমানে ৯০/- টাকার পেপসি পান করবে । ব্যাটা ৩ গ্লাস খাইয়েই ঢেকুর তুলছে । ) পানি ( আধা গ্লাস ) টিস্যু ( পুরাই ফ্রী ) প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ইমন্যা আর মারুফ ( আমব্রেলা এডমিন ) ।

এমন একটা পার্টির আয়োজন করার লাগিয়া । যদিও আমরা কোনো কালেই গোলযোগকারী ব্যাচ হিসেবে আখ্যায়িত ছিলাম না । এই আপসুস আমার সারাজীবন রয়ে যাবে । বিকাল ৪:৩০ এ ইমন্যা কল কইরে কইসে সে নাকি বের হইতেছে । বউ লইয়া আইতেছে ।

আইসে যদিও ৬টার পরে । তাও আবার একলা । বউ নাকি আলাদা আইব । এই সুযোগে আমার লগে হাত মিলায় লইলো আরকি । বিকাল পোনে ৫টায় রাইসুল কল দিল ।

সালাম ম্যাঠাম আপনে কই । মিছা কইরা কইলাম এইতো বাইর হইতাছি ( যদিও তখনও রেডি হই নাইক্যা ) । পৌছাইতে অবশ্য সময় লাগে নাইক্যা । ঢাকা শহরে এই দিকে আজ কি কারণে যেন জটমুক্ত ছিল । মনে হইতেছিল স্বপ্ন দেখতেছি ।

৫টা ৩০শে যখন সিএনজি থিকা নামলাম, তখন দেখি পিছনের সিএনজি থিকা আরমান নাইমে আমারে দেইখে বেক্কলের মত হেঃ হেঃ কইরা হাসল । মনে হইতেছিল আমি একটা গোপালভাড় । কইতেছিল 'আগে কইবি না যে তুই আইতেছিস । তইলে তোরেও নিয়া আইতাম । ' আমিও কইলাম আমিতো জানি তুই আইবি না ( আগে জানলে আমারও ১০০/- সেভ হইতো আরকি ) ।

রাইসুল বিগ বস যথারীতি আমাগো সংবর্ধনার লাগিয়া দাড়ায় ছিল । ওগো চিনবার পারছি কারণ কয়েক মাস আগের রি-ইউনিয়নে হেগো লগেই দেখা হইছিল । যদিও অনেকেই সেই অনুষ্ঠানটা মিস করছে । তাগো চেহারা দেখোনের লাগিয়া আবার এই ব্যাপক উদ্যোগ । আবারও এডমিন গো ধন্যবাদ ।

ঢুইকা দেখি আমরাই ফার্স্ট । আসলে সেকেন্ড । ইব্রাহীম কিছুক্ষণ তাকায় থাকনের পর আমারে চিনল । সে আর আমব্রেলা এডমিন আইমিন মারুফ জিগাইলো মাইয়াগো সাথে তোর কন্টাক্ট নাইক্যা । বুঝলাম এরা কখনই মাইয়া ছাড়া নিজেগো পুর্নাঙ্গ ভাবতে পারে না ।

কইলাম আছে কিন্তু কিটি পার্টি ছাড়া এরা কোথাও যাইতে চায় না । প্রতিবার এই কথা কইতে ভাল লাগে না যে ' আমি যাইতেছি তোমরা আইবা না । ' ভাব এমন মাইয়ারা খালি আমার লগেই গালর্স স্কুলে পড়ছে । ওরা যে কো-এড এ পড়ছে এইটা মাথায় রাখতে পারে না কেন বুঝি না । সবাই ব্যস্ত ।

সবারই সংসার হওনের পথে । এখনও যদি ছেলে মেয়ে বিভেদ ভুলতে না পারে তবে কবে ভুলবে । এই প্রসঙ্গ বাদ । বেশী কইলে একটা কাপঝাপ লাইগে যাবে আমার লগে । কই যেন আছিলাম গল্পের ।

হা মনে পড়ছে । আরমান দেখি হাদিরে কল ছিল । হাদির স্বপ্ন ছুডো বেলা থিকা ড্রাইভার হওনের । হেন গাড়ী নাই হে অন টেস্ট চালায় নাইক্যা । এখন হইছে টোটো কোম্পানীর মেনজার ।

আরও বড় হইলে নিশ্চয় ট্রাক ব্যবসায় নামবো বোধহয় । হাদি আইতে চাইতেছিল না । ওরে টপ ফেলান হইলো । মুক্তা আইছে । সে তুমারে জলদি আইতে কইছে ।

হাদি হাদার মত টোপ গিললো । এইদিকে দেখি সাইফুল আইলো । ওরে ১৫ বছর পর দেখলাম । শুনলাম মর্গের ডাক্তার হইছে । আরমান শয়তান আমারে দেখায় কইলো ওরে চিনছোস আমার বউ ।

। কইলাম আমার বিলটা কিন্তু তুই দিবি । ব্যাটা ডরাইছে । সাইফুল পুরা পাক্কা ২০ মিনিট ধইরে ওর মেমরী সার্চ কইরা কইলো তুমারে মনে নাইক্যা । মনে হয় মেডিকেল টার্ম মুখস্ত করতে করতে মেমরি পুরা সাফ হয়ে গেছে বেচারার ।

এরপর আইলো সান্নি তার সমস্ত শয়তানি সাথে নিয়া । পুরা চুল দেখি উরাধুরা । মনে হয় ওরে রাস্তায় হিজরা ধরছিল । আইসাই কইলো ওয়াস রুমে যাই । পুরা মাইয়া ।

এরপর আইলো ইমু । প্রায় ১৭ বসর পরে ওরে দেখতেছি । প্রথমে চিনবার পারি নাইক্যা । নামটা শুইন্যা এইবার চিনলাম । ব্যাটা আমার দিকে কিছুক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল কইরা চাইয়া ছিল ।

তারপর অবশ্য আমারে চিনছে । কইলাম চশমা কই । লেন্স পড়ছো নাকি । ওরে মনে আছে সেই ছোটো খাটো মোটা ফ্রেমের পিংক কালারের চশমায় । মেয়েদের মত মোলায়েম কন্ঠে ।

কলম চোর হিসেবে । পুরা চেন্জ হইয়া আইছে । আর ভাব মনে হয় আগের থিকা ষোলো আনা বৃদ্ধি পাইছে মনে হয় কেন্টনমেন্টের পাশে থাকনের প্রভাব । ওরে পচাইতে ইচ্ছা করতেছিল কিন্তু এত দিন পরে দেখা । বেচারা ছোডো বেলায় কম চড় থাপ্পড় খায় নাই ।

এক মাইয়ার হাতেও খাইছিল । আমি সামনে দাড়ায় পুরা ঘটনা গিলছিলাম । যদিও বেচারা কোনো অপরাধ করে নাইক্যা । এরপর আইলো আমাদের ক্লাসের মান্যবরেণ্য গুড বয় ওয়ালিদ । সেনাকি এখন ফ্রি ল্যান্স ডাক্তার ।

মনে হয় রোগী দেখার ভয়ে ক্লিনিকের নাম কইলো না । আমরাও যদি হামলা চালাই । এরপর আমাদের ইফতার পালা চললো । মারুফ প্রথমে ১২টা পিস খাওনের টার্গেট রাখছিল । কিন্তু পিৎসার চেহারা দেইখা ১০টায় নামায় নিয়া আসছে ।

কিন্তু খাওয়ার সময় ৮টা খাইয়াই কয় আমি আর খামু না এই জিনিস এই শেষ । তারপর চলল ফোটোশেসন পর্ব । এরপর স্মৃতি হাতরাইতে হাতরাইতে বাসায় চলে আসলাম । আবারও সবাইকে ধন্যবাদ এমন একটা আয়োজন করার লাগিয়া ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।