জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
মাছের রাজা ইলিশ,
বাত্তির রাজা ফিলিপস
মানুষের রাজা পুলিশ।
এই সহজ কথাটা তিনি জানতেন না। নইলে পোস্টার বিক্রেতা থেকে কোটিপতি হয়ে তিনি কেন এই ভুল করবেন ? পুলিশের গায়ে হাত। পুলিশ তো আর তার কর্মচারী নয়।
যাগ্গে, তাকে পুলিশে ছুঁয়েছে।
কথায় বলে বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা। আজাদ সাহেবের কয়টা ঘা হয়েছে কে জানে ?
বাংলাদেশে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করার আগে তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়। যদি বুঝতে পারে, কোন ব্যক্তির সরকারী দলের সাথে সামান্য লিংক আছে , তাহলে ঘাটায় না। কিন্তু যার লিংক নাই, তার কোন অপরাধ না থাকলেও অশেষ কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৫৪ ধারা বা ৩৪ ধারায় গ্রেফতার। আম-জনতাকে হয়রানির জন্য পুলিশ এই ধারাগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে।
কত সরকার আইলো গেল, মাগার এই বিশেষ ক্ষমতা আইন নামের এই কালো কানুন বিশেষভাবেই থেকে গেল। পুলিশের অবৈধ আয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ধারা এই ৫৪ ধারা। এই ধারায় পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে যাকে খুশি তাকে গ্রেফতার করতে পারে। জংলী কুখ্যাত নোংরা একটা আইন। এই আইনের কারণে পুলিশ ইচ্ছামতো দু নম্বর ইনকাম করতে পারে।
বাস্তবে পুলিশ তাই করে। কোন দিন ইনকাম কম হলে দিন মজুর শ্রেণীর লোককে টার্গেট করে। অশিক্ষিত দিনমজুন শ্রেণীর মানুষকে তারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। কারণ এই শ্রেণীর মানুষগুলি পুলিশকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় এবং এভাবে গ্রেফতার হলে হতবুদ্ধি হয়ে যায়।
তারপর চলে নাটক।
থানায় থানায় নাটক। রাতে গ্রেফতারকৃতদের বউ থাকলে বউ, বউ না থাকলে মা কাঁদতে কাঁদতে থানায় এসে হাজির হয়। কেন তার স্বামী বা সন্তানকে গ্রেফতার করা হল তা জানতে চায় ডিউটি অফিসারের কাছে। এই রকম কান্দনওয়ালা লোকের অপেক্ষায়ই থাকে পুলিশ। তারপর সুযোগ বুঝে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় ক্রন্দনরতার কাছে।
বউ বা মা বা নিকটাত্মীয় দৌড়ঝাঁপ করে টাকা যোগাড় করতে থাকে।
কিছু টাকা পয়সা খরচ করে ছাড়িয়ে আনতে হয় সেই নিরপরাধ ব্যক্তিটিকে। প্রতিদিন থানায় থানায় এই রকম নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বাণিজ্য করে পুলিশ। ভদ্রভাষায় এটাকে বলা হয়, গ্রেফতার বাণিজ্য।
এই বাণিজ্যের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে।
অন্য দিকে যদি কারো কোন লোকই যোগাযোগ না করে তাকে ছেড়ে দেয় বা পেন্ডিং মামলায় ঢুকিয়ে দেয়। সাধারণত ছেড়ে দেয়ার ঘটনাই ঘটে। কিন্তু পেন্ডিং মামলার আসামী করা হয় টাকা খেয়ে।
যেমন পুলিশের সোর্স আছে। সেই সোর্সের মাধ্যমে এসব তদবির আসে।
কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানির জন্য কোন ধূর্ত লোক এই কাণ্ডটি করায় পুলিশকে দিয়ে। পুলিশকে টাকা দিয়ে গ্রেফতার করায় ওই লোকটিকে। তারপর কোন অস্ত্র বা ডাকাতি মামলায় আসামী বানানো হয় তাকে। ব্যাস, সে যে নিরপরাধ এই কথা প্রমাণ করতে করতে তার জীবন শেষ হয়ে যায়। কখনও কখনও ওই মামলার প্রকৃত আসামীরা পার পেয়ে যায় এবং নিরপরাধ লোকটিরই জেল হয়ে যায়।
আজার গ্রুপের কর্ণধার আবুল কালাম আজাদ টের পান নি তিনি কী করেছেন। এখন টের পাচ্ছেন । সাধারণ মানুষকে খুন করলেও অনেক শিল্পপতি পার পেয়ে যায়। কিন্তু পুলিশের গায়ে হাত তুললে রক্ষা নাই।
খবর এখানে :
‘স্যার, আমার ভুল হয়েছে, মাফ করে দিন’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।