আমার একটা নদী ছিল জানলো না তো কেউ পুরুষের পেটে সন্তান! আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে এটা অসম্ভব নয়। কিন্তু এবার যা ঘটেছে তা একটু বিভ্রান্ত করার মতোই বটে।
ব্রিটেনের এক পুরুষ পেটে সন্তান ধারণ করে আলোড়ন তুলেছেন। সম্প্রতি জলজ্যান্ত এক ছেলে শিশু জন্মও দিয়েছেন তিনি।
তবে বিভ্রান্তির বিষয় হলো- ওই ব্যক্তি এক সময় নারীই ছিলেন।
পরে অস্ত্রোপচার করে ও হরমোন নিয়ে পুরুষ হন। কিন্তু আবার আগের লিঙ্গে ফেরার জন্য তিনি স্ত্রী হরমোন গ্রহণ করতে থাকেন, আর এতেই তিনি সন্তান ধারণে সক্ষম হন।
একটি ব্রিটিশ দৈনিকে এই খবর প্রকাশ করা হলেও ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে বহুদিন যাবত এক সঙ্গীর সঙ্গে বসাবাস করছিলেন তিনি। তবে তার সেই সঙ্গী নারী নাকি পুরুষ তা জানা যায়নি।
৩০ বছর বয়সী ব্রিটিশ এই ভদ্রলোকের নামকরণ করা হয়েছে ‘মেইল মাদার’। আর তিনি এখন একজন নারীর মতই জীবন যাপন শুরু করেছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, যদিও তিনি বৈধ উপায়েই লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষে রুপান্তরিত হয়েছিলেন। তবে তখন অস্ত্রোপচারের সময় যদি জরায়ু (যেখানে ভ্রূণ থাকে) কেটে ফেলা না হয় তবে এমনটি ঘটা সম্ভব। হয়তো তাইই ঘটেছে।
তারা বলেন, নারী হিসেবে জন্ম নিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হওয়ার পরও তার ডিম্বাশয় এবং জরায়ু ঠিকঠাক কাজ করছিল। এ কারণে সবাই তাকে পুরুষ হিসেবে চিনলেও গর্ভধারণের সক্ষমতা তার ছিল।
তবে বিষয়টি নিয়ে এখন নৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রথম লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি তার জন্য বৈধ হলেও পরে সে অবস্থায় আবার সন্তান জন্ম দেওয়ায় বিষয়টি আইনি জটিলতা সৃষ্টি করেছে।
লিঙ্গ পরিবর্তকারীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে বেমন্ট সোসাইটির জোয়ান্না ড্যারেলের ভাষ্যমতে, ‘যারা লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চায় আমরা তাদের সহায়তা দিয়ে থাকি।
এ প্রক্রিয়াকে বলে জেন্ডার রিঅ্যাসাইনমেন্ট। তবে সার্জারি করে পুরুষ হওয়ার পর সন্তান জন্ম দেওয়া এক কথায় অসম্ভব। ’
ওই ব্যক্তি এবং তার সন্তানের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানান ড্যারেল।
এর আগে ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী থমাস বেটি (৩৮) নামের এক পুরুষ গর্ভধারণের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। এর কিছু দিন পরেই এক কন্যা শিশু জন্ম দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হন তিনি।
এর পর তিনি এক এক করে তিনটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
বেটির ক্ষেত্রে অবশ্য এটা সম্ভব ছিল কারণ, লিঙ্গ পরিবর্তনের সময় তার অস্ত্রোপচার ছিল আংশিক। তার নারী যৌনাঙ্গগুলো অক্ষত রাখা হয়েছিল।
সন্তান ধারণের আশায় রজঃস্রাব এবং উর্বরতা ফিরে আনার জন্য তিনি নতুন করে স্ত্রী হরমোন গ্রহণ শুরু করেন। ফলাফল, প্রথম সন্তান জন্মের পর দুই বার গর্ভধারণ করেছেন তিনি।
আর তার সবকটি সন্তানের জন্মও হয়েছে স্বাভাবিকভাকে।
তবে ব্রিটেনের ওই ব্যক্তি সন্তান প্রসব করেছেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।
বেটি অন্যের শুক্রাণু ধার করেছিলেন কিন্তু এই ব্রিটিশ কী করেছিলেন তা জানা যায়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।