শনিবার স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যথা পান তারা।
মামুন হাটুর নিচে ব্যথা পেলেও তার চোট অতোটা গুরুতর নয়। তবে রনি কুচকিতে বেশ ব্যথা পেয়েছেন। তাই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তার খেলার সম্ভাবোনা এক রকম শেষই হয়ে গেছে।
দলের চিকিৎসক আলী ইমরান জানিয়েছেন, “রনির এই ব্যথা খুব দ্রুত সারার নয়।
তার কুচকি ফুলে গেছে। বেশকিছু দিন তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। তাই এই সাফে তার খেলার সম্ভাবনা একরকম ক্ষীনই। ”
রনি নিজেও বলেন, “ম্যাচে পায়ে টান পড়ে। ম্যাচ শেষে হোটেলে ফিরতে গিয়েই দেখা যায় কুচকি ফুলে গেছে।
এমনটা হবে আমি ভাবতেই পারিনি। ”
“আসলে কুচকির পুরনো ব্যথাটা এখন এবার জেগে উঠেছে। এটা আমার দুর্ভগ্যই। নেপালের বিপক্ষে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে আশা করছিলাম ভালো কিছু করবো, বরং ক্ষতিই হয়ে গেলো আমার”, যোগ করেন তিনি।
অধিনায়ক মামুনুলের দেশ থেকে বয়ে আনা চোট থেকে এখনও সেরে উঠেননি।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি ডান পায়ের হাটুতে ব্যথা পেয়েছিলেন।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে মামুনুল খেলতে না পারার কারণে বাংলাদেশ দলের মিডফিল্ড বেশ বেকায়দায় পড়ে। যার কারণে রক্ষণভাগের ওপর চাপ পড়ে। আর এর মাশুল দিতে হয়েছে হেরে।
এর আগে নেপালে এসে চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।
তাই প্রথমে বাদ পড়েও গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়া পরে আবার দলে অর্ন্তভুক্ত হন।
শুধু তাই নয়, মিডফিল্ডার প্রনোতোষ কুমার ও ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমার চোটের কারণে প্রাথমিক একাদশে থেকেও মূল দলে স্থান পাননি।
খেলোয়াড়রা একের পর এক চোটে পড়ায় দলের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ হতাশ। রোববার কাঠমান্ডুর পুলিশ গ্রাউন্ড মাঠে দলের অনুশীলন চালাকালে তিনি বলেন, “চোট আমাদের ভোগাচ্ছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সোহেল, মামুনুল ম্যাচের বাইরে ছিল, তাদের অনুপস্থিতি আমাদের ভুগিয়েছে।
এখন রনির চোট দলের জন্য ক্ষতিই হয়ে গেলো। ”
৩ সেপ্টেম্বর ভারত এবং ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।