বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি কাশিফা হোসেনের বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও জেসমিন ইসলামকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দুদকের করা আবেদনের শুনানি করে আদালত এই আদেশ দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক।
প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা দেয়ার শর্তে গত ৪ অগাস্ট জামিন পান সোনালী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত জেসমিন ইসলাম। পরে ওই জামিন বাতিলে হাই কোর্টে যায় দুদক।
অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের এই মামলায় জেসমিনের স্বামী, হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ এবং জেসমিনের বোনের স্বামী তুষার আহমেদও কারাগারে রয়েছেন।
জেসমিন এর আগে বিচারিক আদালত থেকে আরেকবার জামিন পেলেও উচ্চ আদালত তাতে অসম্মতি জানায়।
কোম্পানির লেনদেনে কোনো ভূমিকা ছিল না দাবি করে ওই সময়ে জেসমিন হাই কোর্টে জামিনের আবেদনে বলেছিলেন, কোম্পানির লেনদেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের একক স্বাক্ষরে হতো বলে অনিয়মের দায় তার ওপর বর্তায় না।
জেসমিনের দাবি, তিনি ঋণগ্রহিতা ১১ কোম্পানির চেয়ারম্যান হলেও রমনা থানায় দায়ের করা ১১ মামলার ১০টির এজাহারেই তাকে আসামি করা হয়নি।
হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে কোম্পানির ব্যাংক হিসাবগুলো স্বামী তানভীরের একক স্বাক্ষরে পরিচালিত হতো বলেও আদালতে দাবি করেন তিনি।
হল-মার্কের এই ঋণ কেলেঙ্কারি প্রকাশ হওয়ার পর গত বছরের ১৮ অক্টোবর মানিকগঞ্জ থেকে জেসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে গ্রেপ্তার হন তার স্বামী তানভীর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।