সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত...............।
শুরুতেই বলি, এই লেখা পড়তে হলে অনেক ধৈর্য্যের প্রয়োজন হবে; বুঝেশুনে এগুবেন!
দুই বছর আগে যখন রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম তখন যদি জানতাম, এর সাথে এভাবে মিশে যাব!- রেজিষ্ট্রেশন করতাম কীনা জানি না! এরপর দেড় বছর নিষ্ক্রিয় অবস্থা, শুধুই পাঠক। একদিন, হঠাৎ জেগে ওঠা; তারপর হতেই মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য, পোষ্ট, রাজনীতি-অর্থনীতি, সাম্প্রতিক বিষয় বিতর্ক, আস্তিক-নাস্তিক ক্যাঁচাল, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ, নোটিশবোর্ডের উপর সম্মিলিত আক্রমন, ব্যান-ওয়াচ খেলা, উপমা-ডাক্তার মেয়েটার (নাম ভুলে গেছি) পাশে দাঁড়ানো- এমনি করে দিনগুলো যেন স্বপ্নের মত পার করে দিয়েছি।
একই ভাষাভাষী এক অনুন্নত জাতির বৃহদাংশের তুলনায় সামান্য বেশী সুবিধাভোগী অংশের একজন সদস্য হিসেবে এ সুবিশাল ভার্চুয়াল সমাজে সক্রিয় থাকতে পেরে নিজেকে প্রায়ই ভাগ্যবান মনে হয়। সহব্লগারদের অনেকেই হৃদয়বান, দেশের প্রতি তাদের মমত্ব রয়েছে, সর্বোপরি বন্ধু বৎসল।
এদের বেশীরভাগকেই আমি নিক নেইম ছাড়া আসল নামে চিনি না; জানি না তারা কেমন। কেন যেন আশেপাশে সারাদিন যে সব মানুষের সাথে চলি, মিশি, আলাপ করি তাদের সাথে এই নাম নাজানা ব্লগারদের তেমন কোন পার্থক্য খুঁজে পাই না!
তবু, মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে!
এই যে লেখাজোকা শামীম ভাই, (বদনবহির কল্যানে যাঁকে শাহজাহান শামীম নামে চিনি), তিনি কেমন মানুষ? সংস্কৃতি অন্তঃপ্রান এই লোকটি যেমন মজা করে পোষ্ট দেন, আসলেই কি ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তত মজার লোক? বাসায় ভাবীর সাথে, বাচ্চাদের সাথে ও কি তিনি এমন মজা করে কথা বলেন? নাকি শিল্প-সাহিত্যের স্বরূপ সন্ধানে রত একজন গোমড়ামুখো?
অপ্সরার কথা ভাবি, মাঝে মাঝে। ব্লগের এই হিট ব্লগার যিনি সবাইকে ভাইয়া-আপু বানিয়ে ফেলেন অনায়াসে, তিনি কি বাচ্চাদের ক্লাস নেবার সময়ও এমন আদর করে পড়ান, নাকি তাঁর এক ঝাড়িতেই ক্লাস ঠান্ডা মেরে যায়?
চিকনা জ্যাডা (মাইনাস ম্যান) কি বাস্তবিক জীবনে ও কম কথার মানুষ? নাকি তাঁর কথার ঠেলায় অতিষ্ঠ হয়ে আশেপাশের মানুষ কান চাপা দিতে বাধ্য হয়?
আর পান্থ বিহোস (মিঃ ১৮+) কি কাব্যচর্চা বাদ দিয়ে আজকাল ১৮+ নিয়েই ব্যস্ত? জানতে ইচ্ছে হয়!
বুলবুল পান্না ভাই! চলমান হাসির বাক্সো! সিরিয়াস পোষ্টেও যিনি মানুষকে হাসতে বাধ্য করেন। তিনি নিজে কি সারাদিন এভাবেই হাসান? আশেপাশের পরিচিত লোকজন কি তাঁকে দেখলেই হেসে গড়াগড়ি খায়?
নুশেরা বু। সবার শ্রদ্ধেয় আপা।
অল্প কথায় গভীর জীবনবোধের কথা বলেন যিনি। তিনি ব্যক্তি হিসেবে কেমন? এমনই আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারিনী কি?
আউলা; যার সাথে দুই লাইনের ঝগড়া দিয়ে আলাপ শুরু। কেমন তিনি? একটু পাগলাটে আর ঝগড়াটে বোধ হয়? এবং তার গ্রুপ- টোনা-চানাচুর-জেরী-রাগইমন সবাই এত এন্টারটেইনিং- কী বলব? বাস্তবে কি এমন হাসি-গান-আড্ডায় কেটে যায় তাদের দিন?
শামসীরভাই; যাঁকে কখনোই সামনাসামনি দেখি নি, অনেক গল্প শুনেছি। একটা চলমান ছবি তোলার মেশিন। ঘোরাঘুরির জন্য একটা ট্র্যাভেল এজেন্সীও বলা চলে।
ক্যাম্নে কী?
চাঙ্কু আর তার জ্যাডা গ্রুপের কথা বাদ দিই কিভাবে? সারাদিন ধরে মজার আড্ডা দিতে পারার মত এত এনার্জি আসে কোত্থেকে? আর এত কূটবুদ্ধি নিয়ে চাঙ্কু বাবাজি ঘুমায় কেমন করে তাও জাতির বিবেকের কাছে এক প্রশ্ন।
নাফিস ইফতেখার। নিরস টেকী বিষয়ের এমন সরস উপস্থাপনার জন্য ভেতরে কী পরিমান ধৈর্য্য আর মাল-মশলা থাকা লাগে-তাই ভাবি বসে বসে। বয়সে আমার ক’বছরের ছোট এই জ্ঞানী বালককে আমি আমি একই সঙ্গে শ্রদ্ধা আর ঈর্ষা করি। কেন করি- সে ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই নিশ্চয়ই?
অনন্ত দিগন্ত! জীবনের ছোট ছোট ঘটনাগুলোকে এত সরস বর্ণনায় সিক্ত করতে কী পরিমান অন্তর্দৃষ্টি লাগে? মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে হয়! উদাসী স্বপ্ন আর তামিম ইরফানের জন্য ও একই প্রশ্ন।
সামছা আকিদা জাহান। উত্তরবঙ্গের কোথাও থাকেন স্বামীর সাথে, নিরালা প্রকৃতির মাঝে। কেন জানি না আমার লেখা খুবই পছন্দ করেন। এত সুক্ষ্মভাবে জীবনকে দেখেন যে মাঝে মাঝে মনে হয় জিজ্ঞেস করি, "আপনি কি দর্শনের ছাত্রী?"
ও হ্যাঁ। ফারহানা আহমেদ ; সরকারী চাকুরে।
এত ভাল লিখেন; ব্যস্ততার ভীড়ে সময় পান কিভাবে?
অলস ছেলেও একজন যিনি আমার লেখা সাধারনত মিস করন না! দেশের বাইরে কোথাও থাকেন বোধ হয়। দেশকে কি খুব বেশী মিস করেন?
জনৈক আরাফাত, ভাঙ্গন, শাওন৩৫০৪, কিরিটি রায়, আমড়া কাঠের ঢেকি , মুক্ত বয়ান, জানজাবিদ সহ আরো যারা (বাস্তবজীবনে মানুষের নাম ভুলে যাবার ব্যাপারে আমার প্রতিভা কিংবদন্তীতূল্য রূপে গণ্য করা হয়!) আমার ব্লগে নিয়মিত পদধূলি দেন তাদের প্রতি কোন প্রশ্ন নেই!
আচ্ছা, মা দিবসের লেখাগুলোর সংকলন করে ব্লগে তোলপাড় ফেলে দেয়া এই যে প্রবাসী ব্লগার স্বপ্নজয়, নিজের পরিবারকে এত্তো ভালবাসেন; তারপরেও এত বছর দেশের বাইরে পড়ে আছেন কিভাবে- তাই ভাবি।
ভাল কথা। কালপুরুষ ভদ্রলোকটি ব্যক্তিগত জীবনে খুব মিশুক শুনেছি। আসলেই কি তাই? মাস দুয়েক আগে ঢাকায় থেকেও তাঁর বাসার আড্ডায় যেতে পারি নি।
এ দুঃখ ভোলার নয়।
বৃত্তবন্দী, রাসেল............, কেল্টুদা, নাস্তিকের ধর্মকথা সহ যাঁরা নাস্তিকতা নিয়ে সব সময়ই সোচ্চার, তাঁরা কি বাস্তবে এমনি করেই সাহস করে নিজের যুক্তি-প্রমান প্রচার করে চলেন? অন্যদিকে, আস্তিকতার পতাকা নিয়ে লাফঝাঁপ করেন যাঁরা, তাঁরা ও ব্যক্তিগত জীবনের আস্তিকতার চর্চা করেন? আমার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতায় কিন্তু দুপক্ষেই নেতিবাচক উত্তর পেয়েছি!
ফুল বিশারদ রাজামশাই ? বোটানীর ছাত্র নাকি? ফুল গবেষনায় আত্মনিয়োগ করেছেন বোধ হয়?
অমি রহমান পিয়াল, স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার এই সব ঈর্ষনীয় গবেষনার রহস্য কি?
কবিদের কথা বাদ দিই কি করে? নির্ঝর নৈঃশব্দ, চিটি হামিদা, লীনা দিলরুবা, সুলতানা সাজি সহ আরো ক'জন যাঁদের কবিতা আমি বুঝি কম; কেবল জানি যে, তাঁরা ভাল কবিতা লিখেন। সে অনুপ্রেরনায় আমিও দুয়েকটা লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কবিতার ক্লাসে উর্ত্তীর্ণ না হওয়ায় যে যাত্রায় ক্ষান্ত দিয়েছি।
এভাবে বলতে গেলে আরো অনেক নাম এসে যাবে বলে বাড়াচ্ছি না।
শুধু ইমন জুবায়ের, সৌম্য, জটিল, মনজুরুল হক আর ম্যাভেরিকের প্রতি একান্ত নিবেদন এত কম সময়ে এতগুলো ভাল ভাল পোষ্ট আপনারা দেন কি করে? আমি তো একটা পোষ্ট দিতে গেলে একুশবার ঢোক গিলি, তারপর দু'দিন ঐ বিষয়ে পড়ি।
এরপর কী বোর্ডে আঙুল দিই! জ্ঞানী হইতে মন চায়!
আর তনুজার অভাব খুব অনুভব করি! পোষ্ট আর কমেন্টে অদ্বিতীয়া! কী এক অজানা অভিমানে ছেড়ে দিয়েছেন এই ব্লগ। এখন কি ভিজিটর হিসেবে আসেন তিনি? তাঁর প্রতি ভালবাসা।
পাথুরে, রাকিব, ভেবে ভেবে বলি, রোহান, মেঘদূত, ফাজিল, অপু২৮৩৮, অপেক্ষমান - এরা সবাই বাস্তবজীবনের বন্ধু। এদের কথা না তোলাই উত্তম।
মানুষের কথা অনেক হলো।
এবার নিজের কথা। সত্যিকথা বলতে কি, আমি ব্লগে লিখি কেবল আমার নিজের জন্যই। আর কারো জন্যই নয়। এজন্যই আমারপ্রায় সব লেখার শুরুতে থাকে নিজের জীবনের কথা। নিজের কথা শেষ হবার পরই আমি মূল বিষয়ে যাই।
অনেকে পছন্দ করেন, অনেকেই করেন না! কী করা যাবে? আর প্লাস/মাইনাসের কথা বলতে গেলে, বলতে হয় যে, ওটা আমি থোড়াই কেয়ার করি। আমি আমার ব্লগীয় জীবনে কোন পোষ্টে একটা প্লাস/মাইনাস ও দিই নি; কিন্তু কোন পোষ্ট পড়ার পর চুড়ান্ত রকমের ক্লান্তিবোধ না করলে আমি চেষ্টা করি ছোট্ট করে হলেও একটি কমেন্ট করে যেতে। নিজের ক্ষেত্রেও তাই আশা করি। আর কিছু চিহ্নিত ব্লগারের মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৮০০০ এর অধিক দেখে প্রায়শঃই আমি ঈর্ষায় মরি। আর কমেন্টবিহীন প্লাস/মাইনাস আমার দু'চোখের বিষ।
নিকের ক্ষেত্রে বলা যায়, এই নিকটা সামলাতেই হিমসিম খাই। অন্য নিক খোলার কথা দুই একবার মাথায় এলেও বুদ্ধিভ্রংশ না হওয়ায় তা বেশিদুর আগায় নি।
মাস চারেক আগে আমার পঞ্চাশতম পোষ্টের সময় প্রোফাইলে দেখেছিলাম-
পোস্ট করেছেন: ৫০টি
মন্তব্য করেছেন: ৮৭২টি
মন্তব্য পেয়েছেন: ৭৭৬টি
ব্লগ লিখেছেন: ১ বছর ৮ মাস
ব্লগটি মোট ১৩৩৬০ বার দেখা হয়েছে
আর এবার দেখি-
পোস্ট করেছেন: ৯৯টি
মন্তব্য করেছেন: ৩৬৮৮টি
মন্তব্য পেয়েছেন: ২৭৫২টি
ব্লগ লিখেছেন: ২ বছর ১ দিন
ব্লগটি মোট ৩৩১৭৮ বার দেখা হয়েছে
তখনি বলেছিলাম, মিথ্যা তিন প্রকার। ১. শুধু মিথ্যা ২. ডাঁহা মিথ্যা ৩. পরিসংখ্যান। সত্যতা খুঁজে পেলাম।
যা মন্তব্য পেয়েছি তার অর্ধেকই তো প্রতি-মন্তব্য, নিজেরই করা! আর ব্লগটি যতবার দেখা হয়েছে তার অর্ধেকের বেশী তো আমার নিজেরই দেখা! তারপরেও ইতিবাচকভাবে দেখলে চার মাসে উন্নতির গ্রাফ বেশ ভালই উঠেছে, কী বলেন?
আরো মজার ব্যাপার হলো, এই সুদীর্ঘ ব্লগীয় যাত্রাপথে আমার কোন ব্লগীয় বন্ধু হয় নি, ভক্ত জোটাবার তো কোন প্রশ্নই ওঠে না! যে দুইএকজন আছে, তারা বাস্তব জীবনেও বন্ধু। হয়তো আমার নিজস্ব নিস্পৃহতাই এক্ষেত্রে দায়ী! এখনো আমি লেখকের নাম না দেখে শুধুমাত্র শিরোনামে চোখ বুলিয়েই ব্লগ পড়তে থাকি; ফলে প্রায়শইঃ পরিচিত লেখকের লেখা মিস করি। পরবর্তীতে আবার তার কাছ থেকে লিঙ্ক খুঁজে নিয়ে পড়তে হয়!
সবশেষে, ভেবেছিলাম নিজের কয়েকটা পোষ্টের শিরোনাম আর লিংক দিয়ে আরো কিছু কমেন্ট বাগাবো। সে অপচেষ্টা আর নাইবা করলাম! তবে মা'কে নিয়ে একবার আমি একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। আমার বিবেচনায় এর চেয়ে ভালো আমি লিখতে পারি নি কখনো, নিকট ভবিষ্যতে পারবো বলে ও মনে হয় না! নিজের ব্লগে পোষ্ট স্টিকি করার সুযোগ থাকলে এটাই হোত আমার স্টিকি পোষ্ট।
এছাড়া বাংলার চিরায়ত পোশাক লুঙ্গীর উপর একটি জ্ঞানগর্ভ (!) পোষ্ট দিয়েছিলাম । এতদিন পরেও এ দু'টো তে এখনো মাঝে মাঝে মানুষ কমেন্ট করে; ভালই লাগে।
শেষ কথাঃ আজকাল কেন যেন ব্লগে হাঁপিয়ে উঠেছি। আগে যেমন করে ব্লগের পাতার পর পাতা উলটিয়ে যেতাম, এখন সে রকম আর পারি না। ক্লান্ত লাগে।
কৌশিক দা কিংবা মিল্টন দা কে (সিনিয়র সিটিজেন অফ দ্য ব্লগ) কাছে পেলে জিজ্ঞেস করতাম কিভাবে পারছেন, এতদিন? আমি তো সারা জীবনই অল্পতে হাঁপিয়ে উঠি। ক্রিকেটটা ভালই খেলতাম; ছেড়ে দিয়েছি। স্কাউটিং করতাম; প্রেসিডেন্ট পদক পাবার আগ মূহুর্তে বিদায় জানিয়ে দিয়েছি। ভাল ছাত্র হিসেবে সুনাম ছিল; ডাব্বা মারার কারনে এখন তা আর নেই। এ কারনে প্রেমটাও জমল না! ছাত্রাবস্থায় তুখোড় রাজনীতি করেছি; এখন পুরোপুরি অবসরে।
টেলিকমে ক্যারিয়ার গড়ার শখ ছিল; সে শখ কিছুদিন হলো উবে গিয়েছে। ক'দিন আগেও ব্লগ নিয়ে পড়ে থাকতাম; এখন মনে হচ্ছে, কোথায় যেন সুর কেটে গিয়েছে। একেবারে ছাড়তে পারব না সে ভাল করেই জানি! অচেনা অনেকের ভীড়ে অনেক চেনা এ পরিবেশটার একটা ঝিম ধরানো নেশা আছে; এ মৌতাত ক'দিন থাকে দেখা যাক। ততদিন চলুক এ অনিঃশেষ পদযাত্রা .........।
জীবনে অনেক আজে-বাজে লেখা লিখেছি।
সব ড্রাফট করে ফেলব।
যাঁরা কষ্ট করে এখান পর্যন্ত এসেছেন, তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ সঙ্গ দেবার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।