শোকের মাসে "কাঁদো বাঙালি কাঁদো" শীর্ষক একটি ব্যানারে দেখলাম লেখা "সৌজন্যে- অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক"। একটি নির্দোষ(?) ব্যানার তাই না? মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে এখন বাঙালিদের কাঁদতে বলা হচ্ছে। কোথায় কাঁদতে বলছেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, কোথায় কাঁদাতে চাইছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি আবার কোথাও কাঁদার আহ্বান জানিয়েছেন ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। ধানমণ্ডি ৩২ নং এ গেলে তো না কেঁদে কোন উপায়ই নেই। শুরু থেকে বিশাল এই রোডটির প্রায় অর্ধেক ডান-বাম, উপর-নিচ সবদিক থেকে সাদা প্যান্ডেলে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
রাত সাড়ে ১১টার সময় সেখানে গেলে সারি সারি টিউব লাইটের আলোয় চোখ যাচ্ছে ধাঁধিয়ে। আলোকিত ৩২ নং হয়ে গিয়েছে এক স্বপ্নপুরী। এখানে সেখানে ব্যস্ত ভঙ্গিতে পুলিশ সদস্যদের চলাফেরা এবং মোড়ে মোড়ে শক্ত অবস্থান। যাই হোক যে জন্য লেখাটি শুরু করেছিলাম সেখানে আসি। শোকাবহ এই আগস্টে আমার মনে কিছু প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।
সেগুলো হল-
১। জাহাঙ্গীর কবির নানক অ্যাডভোকেট হল কবে?
২। মহাসড়কে বাঁশ দিয়ে তোড়ন আর ব্যানার টাঙিয়ে রাস্তার জায়গা নষ্ট করে যান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে যানজট বাড়িয়ে পাবলিককে বাঁশ দেয়া হচ্ছে কোন যুক্তিতে?
৩। ধানমণ্ডি ৩২ নং এ এত প্যান্ডেল, তোরণ আর পোস্টার সাটানো হয়েছে যদি ধরে নেই আওয়ামী লীগ দলীয় অর্থ দিয়ে সে ব্যয় মেটাচ্ছে কিন্তু মাসের প্রথম থেকে যে এত লাইটিং করা হচ্ছে সেই বিদ্যৎ বিল কোত্থেকে আসছে? কে তাদের অধিকার দিয়েছে লোডশেডিংয়ে জড়জড়িত আমজনতার বিদ্যুৎ দিয়ে শোক অনুষ্ঠান করার?
৪। এক ৩২নং আর এর আশেপাশের এলাকায় হাজারো পুলিশ মোতায়ন করে কার স্বার্থ হাসিল করা হচ্ছে? পুলিশ জনগণের টাকায় চলে।
তাদের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তায় সারা দেশে কাজ করা। এমনিতেই বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনী দুর্বল এবং তাদের জনবল অতি নাজুক। এ অবস্থায় শুধু ৩২ নং পাহাড়া দেয়ার জন্য কি পাবলিক ভোট দেয় আর সরকারকে ট্যাক্স দেয়?
৫। সারা দেশের মানুষ যেখানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে, হাজারো অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না নিরাপত্তাহীনতার কারণে সেখানে আজীবন জনগণের ঘামের টাকায় চলা এসএসএফ বাহিনী আজীবন একটি পরিবারের নিরাপত্তা দেবে সে অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে? এমনিতেই তো তারা ক্ষমতায় না থাকলেও পুলিশ প্রহরা পায়, আর কত লাগে তাদের?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।