পিলখানা ট্রাজেডির শোকাবহ তিন বছর আজ। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত নির্মম ট্র্যাজেডি দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়কে যেন ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। সেদিন পিলখানায় অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচির দুর্নীতি নিরসন, বিডিআর সদস্যদের জাতিসংঘ মিশনে অন্তর্ভুক্তি, বিডিআরের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাহিনী পরিচালনাসহ বেশ কয়েকটি দাবির নামে বিদ্রোহ ঘোষণা করে কিছু জওয়ান। এরপর চলে হত্যাযজ্ঞ। ২০০৯ সালে এই বিদ্রহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৫জন নিহত হয়।
আহত ও লাঞ্ছিত হন অনেকেই। তারপর সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। সরকারী দলের কারো কারো এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা মিডিয়ায় আসে। পরে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য বিবৃতি। বিরোধী দলের কারো কারো নামও যোগ হয়।
গঠিত হয় সরকারী তদন্ত কমিটি, সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটি, কিন্তু সেসব কমিটির তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে চলে বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচল। ইতোমধ্যে-৮০ জনের মতো বিডিআর জোয়ান নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা, আত্মহত্যা হয়েছে। তাদের পরিবারের অভিযোগ নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিরোধী দল অভিযোগ করেছে সরকার প্রহসনের বিচার করছে এর সাথে সরকারী দল জড়িত। তবে এখনও কিন্তু এই প্রশ্নটি স্পষ্ট হয়ে দেখা দিচ্ছে- কেন বিডিআর বিদ্রোহ, তারপর এতগুলো সেনা কর্মকর্তা হত্যা, সরকারের তৎকালীন অবস্থান, ক্ষমা ঘোষণা করা, সংলাপ চালানো, পরবর্তীতে বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বিজিবি করা, পোষাক পরিবর্তন করা ইত্যাদি এর সাথে বড় প্রশ্ন এর সাথে আসলে কারা জড়িত - তাদের উদ্দেশ্যই বা কি ! পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি তাহলে তার বিচারের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন কেন ? তাহলে কি এর পেছনে সুগভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
কি সেই ষড়যন্ত্র। এসব প্রশ্ন আজ জাতির সামনে - তবে জানিনা জাতি কখনও এসব প্রশ্নের উত্তর পাবে কি না !
এটা শুধু একটি হত্যাকাণ্ডই ছিল না এটি ছিল স্পষ্টত আমাদের সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার একটি সফল অভিযান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।