কোমায় থাকা ব্লগ
লোকটা ইচ্ছে করলেই রামপুরা ব্রিজের কাছে নামতে পারতো বাস থেকে। বাসটা ওখানে অনেকক্ষণই থেমেছিলো। যাত্রীনামার সুযোগ দিলো-তারপর ওঠারও। কাউন্টারের নিয়ম-তাগিদই তো সেটা।
পরবর্তীটি রামপুরা বাজার।
কিন্তু, তার আবদার ছিলো মধ্যবর্তী কোন এক স্থানে নামার। ড্রাইভারকে বললো। প্রথমে মৃদুস্বরে-তারপর একটু জোরে-পরে গলার তার চড়িয়ে-তারপর?
চলন্ত গাড়িতে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তাই হাত লাগালো ড্রাইভারের গায়েই! আচমকা আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ড্রাইভার বাধ্য হয়েই ব্রেক কষলো বাসে। কুশলী চালনক্ষমতায় বড় ধরণের দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলো সবাই। ভাগ্যও ছিলো সঙ্গে।
বড় আকারের দূর্ঘটনা ঘটলে বাসের সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হতো। বাসের ভিতরে তো সে নিজেও ছিলো। নিস্তার পেতো সে? এভাবেই ছোট ছোট ব্যক্তিগত সুযোগসুবিধার জন্য বৃহত্তর ক্ষতি ডেকে আনি আমরা এভাবেই। সে, আমি কিংবা আপনি!
অথচ, সারাটি পথ আমার পাশে বসা এই ব্যক্তিই এতোক্ষণ দেশের উন্নতি নিয়ে সারারাস্তা জ্ঞান বিতরণ করলো আমাদের!
আহাম্মকীর কোন সীমা পরিসীমা নেই বোধহয়।
আর “Never underestimate the power of human stupidity.”
--------------
থেমে থাকাটা জীবন নয়।
সামনে এগিয়ে যেতে হয় কিংবা পিছে পড়ে কাতরানোর নিয়তি বরণ। প্রতিনিয়ত একই অবস্থানে থাকাটা পিছিয়ে পড়ারই নামান্তর।
দেশের কী অবস্থা?
নৈরাশ্যবাদীদের জন্য অনেক খোরাকী মিলছে কালের এ সময়টায়। এটা নেই। ওটা নেই।
পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই- নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের সুলভ সরবরাহ। এটা আছে, ওটা আছে। আছে মাস্তানী, আছে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-আছে নারীর প্রতি অবমাননা। দূর্নীতির সহাস্য পদচারনাও আছে। আছে ধোঁয়াটে ভবিষ্যতের নিকষ হাতছানি।
আছে ফারাক্কার বর্তমান চোখরাঙানীতে টিপাইমুখের ভবিষ্যৎ কান্নার জল।
তবুও আশা আছে। খুব সাধারণ কারণেই সুখী হবার আপ্রাণ প্রবণতা আছে। আছে খেলায় জিতে যাবার আনন্দ কিংবা হেরে গেলে রেগে ক্ষোভে ফেটে পড়ার স্বাধীনতা-সেটাও আনন্দ-স্বাধীনতা প্রকাশের আনন্দ। আরও আছে অনেক কিছু।
‘কালের কলস’কে সময় দিতে গিয়েই সামহোয়ারইনের অনেক ভালো লেখাই চাপা পড়ে যায় ব্লগের আর্কাইভে। তাই হয়তো, নতুন ব্লগের চেয়ে পুরনো সৃজনশীল আর তথ্যসমৃদ্ধ লেখাই আমাকে টানে বেশি। অন্যতম প্রিয় একজন ব্লগার ‘পাললিক মন’ ভাই এর ব্লগটা তাই প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে। চলুন, সেটিই না হয় আরেকবার দেখে আসি।
Click This Link
দেশ আসলেই এগিয়ে চলেছে।
হয়তো একটু ধীরে। জ্যামে আটকে থাকা বাসটাও কিন্তু একসময় লক্ষ্যে পৌছে যায়। যদিও এভাবে এগিয়ে যাওয়াটা আমাদের কাম্য নয়।
তারপরও আমাদের মাঝেই লুকিয়ে থাকা যেসব পোড়ামুখ-যেসব ক্ষয়ে যাওয়া হৃদয় ‘সবসময়ই’ জাতীয় উন্নতির এই চাকাটাতে ব্রেক কষিয়ে থামাতে চায়-তারা কী নিস্তার পায়, কখনও কী পাবে?
ইতিহাস কী তাদের ক্ষমা করে?
ক্ষমা কী পেয়েছে মীরজাফর? অন্য কোন আহাম্মক?
----------
অফটপিকীয় ডেইলি লাইফ ধাঁধাঃ
আজ বিকেলের আচমকা অবাক ঝরে যাওয়া বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে ছাতাটিকে পলিথিনে মোড়াতেই হলো।
কেন?
----------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।