আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাঁটু পানি মাড়িয়ে পথঘাট ছাড়িয়ে এখন আমি অফিসে!

Make always difference.

কী রে অফিসে যাবি না ? সকাল ৭.৩০ আপুর ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙ্গল। তাড়াতড়ি উঠে তৈরি হয়ে যখন বের হচ্ছি ভাইয়া বলল কি ভাবে যাবে?বললাম রিক্সায়। ছয় তলার সিড়ি বেয়ে যখন গেটের বাহিরে পা দিলাম মনে হল সমুদ্র সৈকতের পাশে দাড়িয়ে আছি। রাস্তায় হাঁটু পানি। অনেক ক্ষন দাড়িয়ে থেকে একটা রিক্সার ও হদিস পেলাম না।

কিছুক্ষন পরে দেখি ভাইয়া ও বের হচ্ছে অফিসে যাওয়ার জন্য। তার বাইকের পিছনে চড়ে বসলাম, বাসার বামের রাস্তা ধরে ভাইয়া রওনা দিলেন সামনে কিছু দূর যাওয়ার পরে সামনের অবস্থা দেখে ভাইয়ার অবস্থা খারাপ হয়ার দশা হাটুর উপরে পানি,আবার বাসায় বেক। বাসায় এসে ভাই সু খুলে হাওয়ায় চপ্পল পরে নিলেন সু ব্যাগে নিলেন আর আমি ইংক খুলে ফরমাল ড্রেসে বের হলাম । এবার ভাইয়া বাসার ডানের রাস্তা ধরলেন আমাকে বললেন তুমি সামনে একটু হেটে আস আমি সামনে যাচ্ছি তো আর কি করা হাঁটু উপরে প‌্যান্টা বাজ করে কাঁদে ব্যাগ, হাতে ছাতা নিয়ে বের হলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর দেখি ভাইয়ার বাইক হাঁটু পানির নিচে ,মনে হল বাইক যেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছে ,গেল বাইকের স্ট্রাট বন্ধ হয়ে ।

তো আর কি করা পাশের একটা বাসায় বাইক খানা রেখে অফিসের উদ্দেশ্যে পানি পথের হাটা শুরু.............. ২০ মিনিটের পানি পথ পার হয়ে যখন বাসে চড়ে গুলশানের অফিসে পৌছলাম তখন ঘড়ির কাটা ১১ ছুই ছুই করছে। এই যদি হয় আমাদের সিটির অবস্থা তাহলে চোখ বন্ধ করে বলা যায় আমাদের ভবিষৎ খুব...................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.