বিশ্বাস অবিশ্বাসে ভূত ও ভৌতিক -
(২৫ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৩৭ ) - পুর্ব প্রকাশিতর পর -
বেশ কিছুদিন হয়ে গেল। পড়াশুনার চাপে এ সব ভাবনা তখন মন থেকে সহস্র যোজন দূরে । এই সব নিয়ে ভাবনা করার সময় ও ইচ্ছা ছিলও না । কারণ পড়াশুনার মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলাম খুব।
সে বার আমার বি.কম ফাইন্যাল ইয়ারের পরীক্ষা ।
একটু রাত জেগেই পড়াশুনা করতে হতো। আমরা পাড়ার ও কলেজের ৫ বন্ধু এক সাথে ই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এই পাঁচজন আমরা এক সাথেই থাকতাম কলেজে। আমাদের বাড়ীর একটু দূরে বন্ধুর দাদার ফাঁকা বাড়ী, সেখানে নিরিবিলি বাড়ীতে এক সাথে রাতে সবাই পড়াশুনা করতাম - এতে থিমটা সহজেই মাথায় ঢূকতো। দু ঘন্টা টানা পড়াশুনা আধঘন্টা রিলাক্স।
এই ছিল পঠন পাঠনের রীতি। এতে শারীরিক ক্লান্তি ও আসত না। ওই আধঘন্টা বাইরে পায়চারি করে - সিগারেট খেয়ে - ছোট্ট কোন ট্রপিক্স আলোচনা করেই কেটে যেত। বেশ ভালোও লাগতো।
এই রকম ই এক রাতে.........
খেয়েদেয়ে এসে অল্প বিশ্রাম নিয়ে।
সবাই চলে গেলাম পড়তে। ঘন্টা দুই পড়াশুনা করার পর সকলেই বাইরে এলাম রিলাক্সের জন্য......।
সেদিন আকাশে ছিল চাঁদ -মনে হচ্ছে নবমী কি দশমীর চাঁদ হবে। হালকা হালকা ছিন্ন ছিন্ন মেঘ এসে মাঝে মাঝে চাঁদ কে ঢেকে দিচ্ছিল। বইছিল মনোরম বাতাস।
ভারী আমেজ আসছিল মনে। চারিদিকে বিরাজ করছিল কি ভীষন গভীর নিশ্তব্দতা , রাত হবে তখন - ১টা - ১.৩০ হবে। বাড়ীর বাইরে এসে পায়চারি শুরু করেদিলাম - কেউ কেউ বসে পরলো সিমেণ্টের বাঁধানো বেঞ্চ এ - বেশিক্ষণ হয়নি............আমরা বাইরে এসেছি সবাই।
হটাৎ - দেখি একজন সম্পূর্ন বিবস্ত্রা একমহিলা চলেছেন আমাদের সামনের রাস্তাদিয়ে, মাথায় ছিল দু হাতে করে ধরা অনেক ডালপালা গাঁট বাঁধা। মানে গ্রাম-অঞ্চলের গরীব মানুষেরা জ্বালন কেটে মাথায় করে যেভাবে নিয়ে যায় সেই রকম অবিকল।
আচমকা আমরা সবাই এই রকম কোন জ্যান্ত মানুষ কে দেখব কেউ ই প্রত্যাশা করি নি। আমরা সবাই - নিমেষে কেমন বোবা হয়ে গেলাম। ...। দেখছি কেমন সে হেঁটে যাচ্ছে । এক মনে।
হাঁটার ধরন দেখে মনে হচ্ছিল ্যেন শুন্যে হেঁটে যাচ্ছে । অথচ সে চলছে রাস্তা দিয়ে।
সম্বিৎ ফিরে পেতেই আমরা সবাই চিৎকার করে উঠলাম - চোর চোর করে...। ধরব বলে ধাওয়া কর লাম সবাই.........পিছু পিছু ...............
কিন্তু ধাওয়াই সার হলো । নিমেষের মধ্যে কোথায় যে হাওয়া হয়ে গেল তা আজও ভাবলে অবাক হয়ে যাই।
পরের দিন সকালে সবাই কে ঘটনার কথা জানালে সবাই -আশ্চর্য হয়ে যায়।
কিন্তু আমার আর কোন ভয় লাগেনি। কারণ আমি তখন অনেক সাহসী হয়ে গেছি। সাংঘাতিক সব বই পড়ে পড়ে মন ও শক্ত হয়ে গেছে। ততদিনে শিখে গেছি প্ল্যানচেট কি ? তা কি ভাবে করতে হয় ? প্ল্যানচেটের আসর ও বসিয়েছি, দেখেছি তার কি ভীষণ রূপ।
সে নিয়ে আবার পরের লেখায় আলোচনা করব। দেখেছিলাম এক ভীষণ মুর্তি সাধুবাবাকে । আজ এখানেই ইতি টানলাম।
যদি আপনাদের ভালো লাগে আমায় জানাবেন আমি উৎসাহ পাবো।
খুব ভালো থাকুন সকলে -
- এই লেখাটি চলবে..."বিশ্বাস অবিশ্বাসে ভূত ও ভৌতিক " এই শিরোনামে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।