ধুমপানে বিষপান
ঘুরতে গিয়েছিলাম "উমিহোটারু", টোকিও সাগরের উপরে নির্মিত অপরুপ সুন্দর এক স্হাপনা। সাগরের উপর কৃত্তিম এই দ্বীপটির বাংলা নাম হবে "সাগরে জোনাকির আলো"। এখান থেকে সমুদ্রে আলোর অপরুপ নাচন দেখা যায় বলেই নাকি এইরকম নামকরন। এটি আসলে ব্রীজ আর টানেলের একটি সংযোগস্থল! সমুদ্রের উপর দিয়ে ৪.৪ কি.মি. ব্রীজ পার হয়ে এই দ্বীপে এসে সমুদ্রের মাঝে একটু বিশ্রাম, তারপর সমুদ্রের নীচ দিয়ে ৯.৬ কি.মি. টানেল পেরিয়ে সমুদ্রের অন্যপ্রান্তে পৌছে যাওয়া যায়। যেতে যেতে মনে হল টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে এরকম একটা ব্রীজ আর টানেল বানানো যেতে পারে, সংযোগস্থলের কৃত্তিম দ্বীপটার নাম বঙ্গবন্ধু বা জিয়া দ্বীপ হলেও কারো কোন আপত্তি থাকার কথা না!
ব্রীজটি এই কৃত্রিম দ্বীপে এসে একটা চক্কর মেরে ঢুকে গেছে সমূদ্রের তলদেশে!
এই কৃত্রিম দ্বীপসহ টানেল আর ব্রীজ করতে নাকি জাপানীজদের ৩১বছর (১৯৬৬-১৯৯৭)সময় লেগেছিল আর খরচ হয়েছিল ১.৪৪ট্রিলিয়ন ইয়েন (১১.২ বিলিয়ন USD)।
আরো মজার ব্যাপার হলো এই টানেলে বায়ু প্রবাহের জন্য এর মাঝামাঝি একটি টাওয়ার আছে যেটি সমূদ্রের বায়ুপ্রবাহকে ব্যবহার করে শক্তি তৈরি করে সমগ্র সিস্টেমটাকে সচল রাখে!
ঐ দূরে টানেলের মাঝামাঝি বায়ু টাওয়ারটি দেখা যাচ্ছে যেটি এই টানেলের শক্তির উৎস হিসাবে কাজ করছে!
উপরে শুধুই আকাশ আর চারপাশে সমূদ্রের ডাক, শত কৃত্রিমতার মাঝেও যেন কিছু প্রকৃতির সুর!
অদ্ভুদ সুন্দর আমাদের পৃথিবী, যেখানে বিজয় শুধু আমাদের জন্যই অপেক্ষা করে থাকে।
আমরাও পারবো একদিন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।