http://profiles.google.com/mshahriar
গিয়েছিলাম হণ্টনে৷ টেকনাফ থেকে সমুদ্র সৈকত ধরে কক্সবাজার পর্যন্ত হণ্টন৷ সাথে ছিলো গোটা দুই লেতুর৷ যাই হোক, হণ্টনটা খুব ভালো ছিলো, ছিলো অসাধারণ৷ দুই দিন ধরে ক্রমাগত হেঁটে গেলাম সমুদ্রের পাড় ধরে৷ কানের মাঝে অবিরাম সমুদ্রের গর্জন, মাথার উপরে অবিরাম সূর্যের জ্বলে যাওয়া, মাঝে মাঝে হাল্কা বৃষ্টি, আর পিছন থেকে বয়ে আসা সাগরের উত্তাল বাতাস৷ কখনো কখনো সৈকতের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোটো খাল পাড়ি দেয়া৷ সব মিলিয়ে একটা চমৎকার অনুভূতি৷ স্বভাবমতো সেই অনুভূতিতে হারিয়ে গেলাম৷ রোদের মধ্যে মহা আনন্দে হাত পা নেড়ে হাঁটলাম কোনো কিছু পরোয়া না করে৷ অবিরাম মুখের উপরে খেলা করে গেলো রোদ্দুর৷ অন্য দুইজনের সাথে ক্যাপ ছিলো, আমার সাথে ছিলো না সেটাও৷ রোদ্দুর, সে তো আমার বড় প্রিয়, বড় আপন! আজন্ম সখ্যতা আমার তার সাথে৷ তাকে ভয় পাবার কি আছে আমার?
দ্বিতীয় দিনে ইনানী বিচে পৌছালাম৷ গোটা ব্যাপারটা অবশ্য এতো সহজ ছিলো না৷ যতো সহজে ইনানী বিচে পৌঁছালাম বলছি, ব্যাপারটা মোটেই অতো সহজ ছিলো না৷ কিন্তু এসবই আরেক কাহিনী৷ সে কাহিনী পরে হবে৷ তবে এখন এটুকু বলা যায়, ইনানী পৌঁছানোটা আমাদের কাছে অনেকটা ছিলো মরুভূমিতে উদ্যান খুঁজে পাওয়ার মতো৷ ইনানী পৌঁছে অনেক কষ্টে কোঁকাতে কোঁকাতে একটা হোটেলে গিয়ে বসলাম৷ বসে বসে নিজেদের অবস্থা দেখে আমরা হাসাহাসি করছিলাম৷ এর মধ্যে দেখি গোটা দুই মেয়ে ফিরে ফিরে আমাকে দেখছে৷ ভাবলাম, বাহ, ভালো তো৷ হাঁটায় অন্য লাভও আছে দেখছি!
টয়লেটে গিয়ে আয়নায় নিজের মুখ দেখে চমকে উঠলাম৷ এতোক্ষণে বুঝলাম মেয়ে দু'টি কেনো ফিরে ফিরে আমাকে দেখছিলো৷ সামনে আয়নায় প্রতিফলিত হচ্ছে যার মুখ সেটা কে? আমি নাকি? আমার মুখ এমন বেগুন পোড়া ছিলো কখন? পুড়ে ঝামা হয়ে গেছে দেখি মুখটা! হায়, আজন্ম ভালোবেসেছি যে সূর্যকে, সেও আজ আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলো!
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করে বললাম-
যে সূর্য আমার বড় প্রিয়, সেও আজ আমাকে পোড়ায়
আমি কার কাছে চাইবো ভালোবাসা! হায়, দাঁড়াবো কোথায়?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।