আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম



সৌজন্যে: খলিল মাহমুদ অনেকেই হয়তো অনেক আগে পড়েছেন বানানের প্রমিত নিয়ম এবং অধুনা ভুলে গেছেন বা ভুলতে বসেছেন, কিংবা হাতের কাছে কোনো ব্যাকরণ বই নাই, কিংবা বাংলা একাডেমীর কোনো অভিধান, অথচ নিত্যদিনের সাহিত্যকর্মের জন্য নিয়মগুলো জানা জরুরি; এটা মনে করেই আপনাদের সুবিধার্থে নিয়মগুলো হুবহু তুলে দিচ্ছি বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান বই থেকে (যা পরিশিষ্ট আকারে বইয়ের শেষে দেওয়া আছে)। ইন্টারনেটে আমি অনেক খুঁজেও পাই নি নিয়মগুলো, তাই আমার ইনিশিয়েটিভ এতো বেশি। রেখে দিন আপনার শো-কেইসে, অথবা প্রিন্ট করে নিন, কাজের সময়ে প্রযোজনীয় নিয়মটি দেখে নিতে পারবেন সহজেই। এর একটি মুখবন্ধ আছে, যা সাহিত্যামোদীরা জানতে আগ্রহী হবেন, জানা প্রয়োজনও। সেটা আজ আর টাইপ করে সারা গেল না, আরেকদিন দেব আশা রাখি।

ধন্যবাদ। পরিশিষ্ট [ব্যবহারিক অভিধানের পরিমার্জিত সংস্করণের পরিশিষ্ট হিসেবে মুদ্রণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির নিকট 'বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম'-এর মধ্যকার কিছু অসংগতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ২৭ নভেম্বর ২০০০ তারিখে উক্ত কমিটির একটি সভায় তা আলোচিত হয় এবং কিছু সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আনিসুজ্জামান, প্রফেসর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জনাব জামিল চৌধুরী এবং জনাব সেলিনা হোসেন। সংশোধিত 'নিয়ম'টি এখানে মুদ্রিত হলো। ] তত্সম শব্দ ১.০১ তত্সম অর্থাৎ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবিকৃত সংস্কৃত শব্দের বানান যথাযথ ও অপরিবর্তিত থাকবে।

কারণ এইসব শব্দের বানান ও ব্যাকরণগত প্রকরণ ও পদ্ধতি নির্দিষ্ট রয়েছে। ১.০২ তবে যেসব তত্সম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয় শুদ্ধ সেইসব শব্দে কেবল ই বা উ এবং তার-কার চিহ্ন ই-কার উ-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন : কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিত্কার, ধমনি, পঞ্জি, ধূলি, পদবি, ভঙ্গি, মঞ্জরি, মসি, লহরি, সরণি, সূচিপত্র, উর্ণা, উষা। ১.০৩ রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন : অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য।

১.০৪ সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে। যেমন : অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন। তবে অঙ্ক, অঙ্গ, আকাঙ্ক্ষা, গঙ্গা, বঙ্গ, লঙ্ঘন, সঙ্গ, সঙ্গী, প্রভৃতি সন্ধিবদ্ধ নয় বলে ঙ স্থানে ং হবে না। অ-তত্সম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দ ২.০১ ই ঈ উ ঊ সকল অ-তত্সম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের-কার চিহ্ন ই-কার উ-কার ব্যবহৃত হবে। এমনকি স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

যেমন গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), শাড়ি, তরকারি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, বাঙালি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, সরকারি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বে-%E

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.