"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
যখন ছোট ছিলাম তখন আম্মুর পছন্দ ছিল যেসব গান তাই ই আমাদের শুনতে হতো। আম্মু শচীন দেব বর্মণের গান পছন্দ করতো! আমরা বিরক্ত হতাম। শচীনদাকে আমরা বুড়ো বলেই ডাকতাম। আরেক লোককে অসহ্য লাগতো ভূপেন হাজারিকা! তবে অপেক্ষা করতাম কবে ছোটখালা আসবে আর আমাদের জন্য নতুন কিন্তু আমাদের পছন্দসই গান আর গল্পের বই আনবে।
সেই আমলে রুক্সি নামের একজন গায়িকা ছিলো যাকে চানাচুরের অনেক পছন্দ ছিল শুভ্রদেবের দাপট ছিল অসহ্য! তার একটা গান ছিলো এ মন আমার পাথর তো নয় ! এত শুনেছি কানটা পচে গেছে।
সন্ধ্যার পর কারেন্ট চলে গেলে আমি আর আমার কাজিন ছাদে যেয়ে বকবক করি। কালকে অনেকদিন পর শুভ্রদেবের ওই গানটা শুনলাম। তখন আপু বলল, এটা তার এককালের প্রিয় গান ছিল। তার প্রিয় গায়ক ছিল মনি কিশোর, শুভ্রদেব। এখন মনে করলে তার লজ্জা লাগে।
তবে সে কখনও এসডি রুবেলের গান শোনেনি। এটা তার আফসোস!
আমি ছোটবেলার প্রিয় গান নিয়ে তেমন লজ্জিত নই কারণ বড়দের পছন্দই ছিল পছন্দ চানাচুর এর কাছাকাছি বয়সের সঙ্গী ছিল ২ কাজিন বাবু (তৌশিফ) আর জরি (জারিন)। এই তিন জনের কান্ডকারখানা মজার ছিল....এদের প্রিয় গান ছিল গোরে গোরে মুখরেতে কালা কালা চশমা তখন আবার তিনজনই একই টাইপ সানগ্লাস কিনে ভাব মেরে ঘুরতো মুখে থাকতো ওই গান এই তিনজনের আরেকবার কিনলো মোকাবেলা গানের ক্যাসেট। সেই আমলে একটা মিক্সড ক্যাসেট তজনের তিন কপি আনলো। সবগুলো মুকাবেলা টাইপ টাইটেল।
গান গায় আর মাথা নেড়ে নাচে!
এই তিন জন আব্বুর শেভিং ব্ক্স নিয়ে আমাদের উপরতলার কোণার ঘরে ঢুকলো তারপর মনের মত শেভ করলো! এদের জায়গা না পেয়ে হাত শেভ করতে যেয়ে হাত কাটলো একজন আরেকজন গাল কাটলো। তারপর চাটকানা খেল।
রবি চৌধুরীকে অসহ্য লাগতো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।