মাঝে মাঝে মনে হয় ওই দূর আকাশে ভেসে যেতে পারতাম, তাহলে আর ফিরতাম না।
সারা দিন ক্লাস করে এসে বিছানায় শুয়ে ভাবছিলাম এক হতভাগা ছেলের কথা । কি ছদ্মনাম দিব ভেবে বার করলাম । অবশেষে দিলাম তার নাম অর্নব যে কিনা আমার এই লেখার নায়ক । তাহলে তো নায়িকারও নাম দেয়া আব্য্শক ।
দিলাম তার নাম অর্না । শুরুই করে দিলাম……
অর্নব hsc পাশ করে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে । ছোটবেলা থেকে সে একটু কমই কথা বলে তবে যাদের সাথে খুব ভাব তাদের সাথে কথা শেষই হতে চায় না । যথারিতী ভার্সিটিতে এসেও কিছু কাছের বন্ধু জুটল । তবে সে মেয়েদের সাথে খুব একটা মিশতো না ।
ছোটবেলাতেও সে কোনো মেয়েদের সাথে মিশে নাই । দূরভাগ্যবশত তার কিছুদিন পর পরিচয় হয় এক মেয়ের সাথে । সেই তার জীবনের প্রথম কোনো মেয়ে । কয়েক মাস ভালই কাটে । ছেলের মধ্যে sharing-caring চলে আসে ।
মাঝেমাঝে তাদের মধ্যে তর্ক হয় খূনসুটি বিষয় নিয়ে । এভাবে চলতেই থাকে । অর্নবের একটাই ভুল থাকে যে সে অর্নাকে offer করে না । অর্নব ভেবে নেয় অর্না হয়তো তাকে ভালবাসে । অর্নব কল্পনায় ভাসে আর অর্না তাকে ভাসায় ।
কিছুদিন পর (পরিচয়ের ৪ কি ৫ মাসের মাথায়) অর্না হঠাৎ সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় অর্নবের সাথে । পরে অর্নব জানতে পারে সে আরও অনেক ছেলেকে ঘুরিয়েছে । তার মধ্যে জন্ম নেয় চরম ঘৃনা । এভাবে এক বছরের উপর কেটে যায় তাদের মধ্যে কোনো কথা হয় না । একদিন দুপুরে বেজে উঠে অর্নবের ফোন ।
অন্য পাশ থেকে ভেসে আসে অর্নার কন্ঠ । প্রথমেই sorry.sorry…..sorry । অর্নব কিছুতা ভাবের সাথেই কথা বলে । কিছুদিন পরপর আসে অর্নার ফোন । সে অর্নবের সাথে কথা বলতে চায় সামনাসামনি ।
তবে সময় হয় না কারো । একদিন অর্নবের হয় তো অর্নার হয় না , অন্যদিন অর্নার হয় তো অর্নবের হয় না । অর্নব আবার ভাবতে শুরু করে তাকে নিয়ে । কিন্তু অর্না যে বড়ই চালাক । সে আবার অর্নবকে নিয়ে খেলতে শুরু করে ।
কিছুদিন পর অর্নব বিকারগ্রসহ হতে থাকে । তার ভার্সিটি জীবনের শেষ semester এ এসে শোনা যায় সে নাকি পুরোপুরি পাগল হয়ে যায় । লেখাপড়াও আর শেষ হয়নি তার । কিছুদিন আগে নাকি সেই অর্না মেয়েটি এক বড়লোকের আদরের ছেলেকে বিয়ে করে এক সন্তানের জনণী হয়েছেন । আর অর্নব তার খবর তো কেউ নেয়না ।
তার ভাই নাকি প্রথম দুই বছর mental hospital এর খরচ জুগিয়েছেন । পরে বউএর কথায় আর দেয় নি । hospital কতৃপক্ষ টাকা না পেয়ে আর কেউকে খবর নিতে না দেখে পরে hospital থেকে বার করে দিছে । হয়তো কোনো রাস্তায় দেখা যাবে সেই অর্নবকে । হয়তো আমরা তাকে দেখলে চিনতে পারব না ।
হয়তো সামনে আসলে পাগল বলে তাড়িয়ে দিব । এখনো চোখের সামনে ভাসে অর্নার পাঠানো 1st friendship day এর massage “ogo bondhu…bondhur pothe, bondhu hoye pase theko ogo bondhu,”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।