অনেক হাসি-কান্না মিথ্যা হতে পারে কিন্তু প্রতিটি দীর্ঘশ্বস'ই সত্য।
শুধু ভুখন্ড’ই নয় আমাদের সরকারও এখন ইন্ডিয়া বেষ্ঠীত। বাংলাদেশ সরকারের আচরন এখন ইন্ডিয়ার প্রাদেশীক সরকারের মত মনে হচ্ছে। এখন ভারত-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্যের অন্যতম প্রডাক্ট হয়েছে জঙ্গি ভাইয়েরা, বিনা শুল্কে অবাধে প্রবেশ করছে আমাদের দেশে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী নির্বীকার, এ যেন পর্যটক প্রবেশ।
প্রথমে দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গ-পাঙ্গ আব্দুর রউফ, জাহিদ শেখ ও আরিফ হোসন দিয়ে শুরু, এরপর পাওয় গেল শেখ ওবায়দুল্লাহ, সপ্তাহ যেতে না যেতেই ধরা পড়ল মাওলানা মোঃ মনসুর আলী। এতাদিন ইন্ডিয়া একচেটিয়া অভিযোগ করে আসছিল যে বাংলাদেশে ট্রেনিং নিয়ে জঙ্গিরা বর্ডার ক্রশ করে ইন্ডিয়াই প্রবেশ করছে। এ বক্তব্যে তারা এতোটাই অনড় ছিল যে, বিষয়টা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার করেছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের এ বক্ত্যের প্রতিবাদ করা হলেও তারা কখনই কর্ণপাত করে নাই।
এখন প্রমাণিত হয়েছে বাস্তবতা একবারেই বিপরীত ।
আমরা দেখছি বাংলাদেশে জঙ্গি চালান হয় ইন্ডিয়া থেকেই। কিন্তু গতানুগতিকভাবে আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর নীরব দর্শক। বাংলাদেশ থেকে কোন ইন্ডিয়াকে কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে না। একজন স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী নেতা 'অনুপ চেটিয়া' একসময় এ্যারেষ্ট হয়েছিল, তখন তাকে ফেরত নিতে ইন্ডিয়া বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু সদ্য এ্যারেষ্ট হওয়া জঙ্গিদের ব্যাপারে তারা কিছুই বলছে না।
কাজেই এটা স্পষ্ট যে এদের সম্পর্কে ইন্ডিয়া সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমান করতেই ইন্ডিয়া বাংলাদেশে জঙ্গি সমাবেশ ঘটাতে চাচ্ছে।
হাজার হাজার বাংলাদেশী চিকিৎসার জন্য, উচ্চ শিক্ষার জন্য, ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত ইন্ডিয়া যাওয়া আসা করছে। এমন কিছু মেডিক্যাল আছে যাকে ঘিরে দরিদ্র ইন্ডিয়ানরা কিছু করে খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, আর এই সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশী রোগীরা। মেডিক্যাল ঘিরে যে লজিং ব্যবসা চালু আছে, বাংলাদেশীরা না গেলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
কোন কারনে বর্ডার সীল হয়ে গেলেই লজিং ব্যবসায়ীরা অসহায় হয়ে পড়ে। বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশীরা বিপুল পরিমান বৈদেশীক মুদ্রা ইন্ডিয়াই খরচ করে আসে। এই সব বাংলাদেশীরাই ভিসার জন্য ভীড় করে ইন্ডিয়ান দূতাবাসের সামনে। অথচ পিনাক ব্যাটায় এদেরকে চিট-বাটপার বলে গালি দেন। নুন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ বা শালীনতাবোধ থাকলেও একজন রাষ্ট্রদূত এধরনের মন্তব্য করতেন না।
এর আগেও তিনি আমাদের পানি বিশেষজ্ঞদের গালি দিয়েছেন। দেশে যথেষ্ট প্রতিবাদও হয়েছে, তাকে বহিষ্কার করারও দাবী এসেছে কিন্তু সরকার এখনো চুপচাপ জুতা খাচ্ছেন। সেই চোরের গ্লপটা আবার ও লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। কতটা জুতা পড়লে এরা অপমানিত বোধ করবে ? !!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।