আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূর্যগ্রহণ নিয়ে যা নিছকই কুসংস্কার---(আজ ভোর ৭ টা থেকে সুর্য্য গ্রহনকে সামনে রেখে কিছু বিষয় শেয়ারের চেষ্টা)

আমদের মুক্তি আমদের হাতে,শুধু দরকার সচেতনতা।

আজ সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট থেকে দেখা যাবে সুর্য গ্রহন। সুর্য গ্রহন নিয়ে সারা পৃথিবিতে প্রচলিত আছে অনেক কুসংস্কার। আমাদের দেশেও প্রচলিত আছে অনেক কুসংস্কার, এখনো অনেক শিক্ষিত লোক তা বিশ্বাস করেন। আমি একটা লেখা পড়লাম তা সবার সাথে শেয়ার করলাম।

আপানাদের যাদের এর আগে সুর্য্য গ্রহন দেখার অভিজ্ঞতা আছে শেয়ার করতে পারেন কমেন্টে। (সুর্য্য গ্রহনকে সামনে রেখে আরও কিছু পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে) *********************************************** সূর্যগ্রহণ পূর্বাহ্নে ঘোষণা করতে না পারায় খ্রিস্টপূর্ব ২১৫৯ অব্দে রাজজ্যোতিষী হি ও হো-কে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়- চীনে এ গল্প বহুল প্রচলিত। সূর্যগ্রহণ ঘিরে আমাদের সমাজেও নানা কুসংস্কার আছে। গ্রহণের সময় গর্ভবতী মায়েরা কোনও কিছু খেলে সন্তান পেটুক হয়; এ সময় কিছু কাটলে, বিশেষ করে মাছ কাটলে ঠোঁট কাটা, কান কাট বা নাক কাটা সন্তানের জন্ম হয়; এ সময় গাছের ডাল ভাঙলে বা বাঁকানোর চেষ্টা করলে হাত-পা বাঁকানো (পোলিও) সন্তানের জন্ম হয়। গ্রহণের সময় খেতে নেই, তৈরি করা খাবার ফেলে দিতে হয়।

এমনকি গ্রহণ দেখাও নিষেধ অনেকের কাছে। হয়ত রাহু বা ড্রাগনের সূর্যকে গিলে ফেলার ভয়ে, ছায়ালহরীর সাপদের এড়াতেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতো। আজকের দিনে আমরা জানি, সূর্য আর পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এসে যাওয়ার কারণেই গ্রহণ হয়। তাই ক্ষতিকারক কোনও জীবাণুর জন্ম, কোনও বিশেষ রশ্মির প্রভাব ইত্যাদি অবান্তর। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দেরও আগে ব্যাবিলনীয়রা পঞ্জিকা ব্যবহার করত।

তারা আবিষ্কার করে, ৬৫৮৫ দিনে বা ১৮ বছর ১১ দিন ও একটি দিনের তিন ভাগের একভাগ দিনের ব্যবধানে সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হয়। সূর্যগ্রহণের এই পর্যায়কালকে 'সারনিক পর্যায়কাল' বা সংক্ষেপে 'সারোস' বলা হয়। ধারণা করা হয়, ব্যাবিলনীয়দের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে গ্রীক বিজ্ঞানী থ্যালেস সূর্যগ্রহণ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারতেন। জ্যোতির্বিদ্যার আদি ইতিহাস থেকে জানা যায়, অ্যারিস্টার্কাস খ্রিস্টপূর্ব ৩১০-৩২০ অব্দে সূর্যকে কেন্দ্রে স্থাপন করে পৃথিবীকে সূর্যের চারিদিকে পরিভ্রমণরত কল্পনা করেন এবং অন্যান্য গ্রহদের বৃত্তাকাল গতিও সূর্যকেন্দ্রিক বলে ধারণা করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্লেটো, অ্যারিস্টটল-এর অধ্যাত্মবাদী দর্শন এবং চার্চ-এর আধিপত্যের কারণে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।

মানুষ দীর্ঘদিন জেনে এসেছিল, তাদের প্রিয় আবাস পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্রস্থলে। এই চিন্তাধারায় আঘাত করে নিকোলাস কোপার্নিকাস সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্বের মডেল বা প্রকল্প হাজির করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি মহাজাগতিক বিভিন্ন ঘটনা, গ্রহের গতি, ক্রান্তিবিন্দুর অয়ন-চলন, ঋতু পরিবর্তনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দেন। পরবর্তী সময়ে টাইকো ব্রাহে, জোহান কেপলার, জিওর্দানো ব্র"নো, গ্যালিলিওসহ বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের নানা আবিষ্কার এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্ব বা সৌরজগতের ধারণা। সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের তত্ত্ব সমর্থন ও প্রচার করার জন্য জিওর্দানো ব্র"নো (১৫৪৮-১৬০০)-কে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, গ্যালিলও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২)-কে নিক্ষেপ করা হয় অন্ধকার কারাগারে।

========================================== লেখাটির মুল লিঙ্ক ধন্যবাদ সবাইকে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.