আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূর্যগ্রহণ এবং আমাদের করণীয়



আগামীকাল ২২শে জুলাই পত্র-পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী সকাল ছয়টা ঊনষাট (৬.৫৯) মিনিটে বাংলাদেশ থেকে প্রায় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাওয়ার কথা। পত্র-পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী আগামী এক শতাব্দীতে এই রকম সূর্যগ্রহণ আর দেখা যাবে না। তাই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় উৎসবমুখর পরিবেশে সুর্যগ্রহণ দেখার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের জন্য এইসব উৎসব এবং আনুষ্ঠানিকতাকে বর্জন করে কুরআন ও সুন্নাহ-এর দিকে প্রত্যাবর্তন করাই হবে বাঞ্চনীয় এবং কল্যাণময়। এ ব্যাপারে শরীয়তে সুস্পষ্ট বিবরণ দেয়া আছে।

মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর যুগে ইব্রাহীমের (রাসুলুল্লাহ সাঃ-এর ছেলে) মৃত্যু দিনে সুর্যগ্রহণ হয়। এতে লোকেরা বলতে আরম্ভ করল যে, নাবী (সাঃ)-এর সন্তান ইব্রাহীমের মৃত্যুর কারণে সুর্যগ্রহণ হয়েছে। ফলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ঘোষণা করলেন, আল্লাহ্‌র নিদর্শনাবলীর মধ্যে চাঁদ-সূর্য দুটি নিদর্শন বিশেষ। এদের গ্রহণ কোন মানুষের জন্ম বা মৃত্যুর কারণে হয় না। যখন তোমরা অনুরূপ (অর্থাৎ সুর্যগ্রহণ) দেখবে তখন গ্রহণমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ্‌র নিকট দুআ করতে এবং নামাযে রত থাকবে।

- বুখারী ও মুসলিম। অন্য বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর যামানায় একবার সূর্যগ্রহণ হলে সাহাবায়ে কেরাম ছুটে এলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট এটি দেখার জন্য যে, তিনি এ অবস্থায় কী করেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দুই রাকাআত সালাতুল কুসুফ বা সূর্যগ্রহণের নামাজ পড়লেন। যা এত দীর্ঘ ছিল যে, লোকেরা বেঁহুশ হয়ে পড়ে যেতে লাগল। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নামাযে কাঁদতে ছিলেন আর এই দুআ করতে ছিলেন- “ হে পরওয়ারদিগার! আপনি কি আমার সাথে এই ওয়াদা করেন নাই যে, আমি বর্তমান থাকা অবস্থায় তাদেরকে আযাব দিবেন না, আর তারা যখন ইস্তেগফার করতে থাকবে তখনও তাদেরকে আযাব দিবেন না।

” অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) লোকদেরকে নসীহত করলেন- যখনই এমন অবস্থা হবে এবং সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ হবে তখন তোমরা ঘাবড়াইয়া নামাযে মনোনিবেশ করবে। আমি আখিরাতের যেসব অবস্থা দেখতে পাই যদি তোমরা তা জানতে, তবে তোমরা কম হাসতে এবং বেশী কাঁদতে। যখনই এরূপ অবস্থা ঘটবে তখন নামায পড়বে, দু’আ করবে ও দান-খয়রাত করবে। - ফাযায়েলে আমাল, পৃষ্ঠাঃ ৬৩৮ (দারুল কিতাব)। আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের সবাইকে এইরূপ আমাল করার তৌফিক দান করুন।

আমীন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.