জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
অনেক আগে কোন একটা বইতে পড়েছিলাম ঘটনাটা। সূর্যগ্রহণের কথা এলেই এই ঘটনাটা আমার মনে পড়ে।
কলম্বাস আমেরিকায় গেছে। তার লোভ ছিল ভারতীয় মসলার। তাই ভারতের দিকে তার যাত্রা।
কিন্তু ভুলক্রমে সে গেছে আমেরিকা। ওখানে তখন রেড ইন্ডিয়ান মানে আমেরিকার আদিবাসীদের বাস।
কলম্বাস সেখানে গিয়া পড়ছে বিপদে। খাবারের অভাব প্রচণ্ড। আদিবাসীদের সাথে তার লোকজন নিয়া লড়াই করার সামর্থ্য তার নাই।
তাছাড়া লোভী ও লম্বট কলম্বাসের চোখ পড়েছে আদিবাসীদের স্বর্ণ ও মেয়েদের প্রতি। তাই সে একটা কূটবুদ্ধি করল।
সে দক্ষ নাবিক বিধায় পরিষ্কার করেই জানতে পরবর্তী সূর্যগ্রহণ কবে হবে। অন্য দিকে আদিবাসীরা জ্যোতির্বিদ্যায় অজ্ঞ ছিল। এই সুযোগই কাজে লাগাল সে।
সে নিজেকে দেবতা বলে ঘোষণা করল এবং সেই সূর্যগ্রহণের দিন পর্যন্ত একটা ডেটলাইন দিয়া বলল, যদি তোমরা আমাকে খাবার, স্বর্ণ ও মেয়ে মানুষ না দাও, তবে ওই দিন সূর্যকে নিভিয়ে দিব।
আদিবাসীরা তার কথায় আমল দিল না। কিন্তু দেখা গেল, নির্দিষ্ট দিনে সূর্য সত্যি নিভে যাচ্ছে। এবার আদিবাসীরা ভয় পেয়ে গেল। তারা তাকে দেবতা বলে মেনে নিল।
তারপর কলম্বাস ও তার নাবিকরা খাবার পেল, স্বর্ণ পেল এবং পেল আদিবাসী নারী।
সব কিছু পাওয়ার পর সে ঘোষণা করল, যাক, তোমাদের আদর যত্নে আমি খুশি হয়েছি। যাও, সূর্যকে ফিরিয়ে দিলাম।
তার ঘোষণার পরে সূর্য ফিরে এল। তবে কলম্বাসের ভয় ছিল, যদি আদিবাসীরা খুব তাড়াতাড়ি ভয় না পেত এবং সূর্যগ্রহণ তার আগেই শেষ হয়ে যেত তবে সে তো দেবতা হতেই পারত না বরং মার খেয়ে ভূত হতে হত।
ভাগ্যিস, আদিবাসীরা আগেই ভয় পেয়ে তার দাবিগুলো মেনে নিয়েছিল।
যাই হোক, ব্যাপক লুটপাট ও ফুর্তি করে কলম্বাস ও তার দলের নাবিকরা দেশে ফিরেছিল।
কলম্বাস সম্পর্কে আরও জানতে হলে ...
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।