তার্কিক দুই প্রকার: সু-তার্কিক আর কু-তার্কিক...
আজ ২১ জুলাই শবে মেরাজ গত সকাল ১০ টা। ঘুম খেতে ডেকে তুলল আমার এক বন্ধূ। উদ্যেশ্য একটা এপ্লিকেশান দিতে হবে চাকুরীর জন্য। কম্পোজ সহ নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সেই মহুর্তেই আসল দুজন লোক।
একজন ইংরেজী প্রভাষক, অপরজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। প্রতিষ্ঠানটি হলো .......................................... মাদ্রাসা, ............................ গাজীপুর। অনেক সময় পর আমার ব্যস্ততা কমে গেলে আমাকে দেখালো একটা শো-কজ নোটিশ।
বিষয়বস্তু এই রকম - যেহেতু আপনি অত্র প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী আপনি গত ..... তারিখে অত্র প্রতিষ্ঠানের বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলেছেন। সেহেতু আপনাকে কেন চাকুরী হইতে বহিস্কার করা হবেনা- ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শান।
অন্যথায় ...
বিসমিল্লাহ্ লিখিত প্যাডে মিথ্যা শো-কজ ? দেখে মনটা বিরক্তি এবং ঘৃনায় ভরে গেল। এমন ঠাহা মিথ্যা ... আবার সেই অসহায় মজলুমের দিকে তাকিয়ে ভাবছি। আর মনে সর্বোচ্চ শক্তিকে উদ্যেশ্য বলছি-"এই সব মজলুমের সহায়তায় কি কেউ নেই?" যাই হোক আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে তাদেরকে এই বিষয়ে করনীয় বলতে ছিলাম। গিন্নী ভেতর থেকে চিৎকার করে উঠল - সাবধান তুমি এসব বিষয়ে কিছু বলতে যাবেনা। "মনে নাই ? গত বছর তাদেরকে সাহায্য করতে গিয়ে তুমি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে যে টাকা খরচ হলো সে টাকার একটা অংশ তুমি এখনও আমার ভাইকে পরিশোধ করনি।
"
আমি নির্বিকার ভাবে বল্লাম এবার যদি কিছু হয়.. তুমি তোমার পথ দেখো... তবু আমি বোবা শয়তানের ভুমিকায় থাকতে পারব না। যাহা অন্যায় আমি তাহা বলবই....
গিন্নী চোখ মুছতে মুছতে মো্বাইল হাতে নিয়ে বাইরে গেল ... ঝগড়ার বিষয়টি পাচার করার জন্য।
অত:পর আমি কম্পিউটার নিয়ে লিখতে বসলাম ... আর মনে মনে ভাবছি ..
এই অসহায় ছেলেটিকে আলেমের সনদধারী একজন জালিমের হাত হতে বাঁচানোর কি কেউ নাই?
এ জন্যইতো নজরুল লিখেছিলো : ...
দ্যুলোক-ভুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন আরশ ছেদিয়া... ?
উঠিয়াছি চির বিষ্ময় আমি ..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।