আমি কিছুই লিখব না।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটিতে দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের না থাকার কারণ অসুস্থতা বলে জানিয়েছেন সাজেদা চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, "তার (জলিল) নাম নেই, কারণ তিনি অসুস্থ; সবসময়ই আসতে পারবেন না। "
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের কনভেনশনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাজেদা এ কথা বলেন।
আব্দুল জলিল সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল।
কাউন্সিলের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না করায় জলিল সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের অসন্তোষের কথাও জানিয়েছিলেন। আগামী ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হচ্ছে।
জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর জলিলের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে শেখ হাসিনার সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশ হয়। তবে মুক্তির পর জলিল তা অস্বীকার করেন। স¤প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তরুণরা আসছে- এ ইঙ্গিত দিয়ে অপেক্ষাকৃত প্রবীণ নেত্রী সাজেদা বলেন, "আমরা কী সারা জীবন থাকব?"
রাজনৈতিক দলের স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানোর কাজটি সরকারের জানিয়ে সংসদ উপনেতা সাজেদা বলেন, "এটা নির্বাচন কমিশন করলে ইলিগ্যাল (বেআইনি) হবে। এটা করতে হলে তো জিল্লুর রহমান সাহেবকে (রাষ্ট্রপতি) অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। "
শ্রমিক জোটের কনভেনশনে সাজেদা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের বিদেশেও পাঠানো হবে। "
তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে বলেন, "ওই সময় ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।
আদমজি পাটকল বন্ধ করে শ্রমিকের মুখের ভাত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। "
বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যাকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে বলে সাজেদা জানান।
কর্নেল তাহেরের ফাঁসির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "একাত্তরে পা হারানো মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারও হবে। "
কনভেনশনে বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরীন আক্তার শ্রমিকের জীবন মানের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে তাদের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "গত ৩৮ বছরের শ্রমিকের মুখে হাসি ফোটেনি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল শ্রমিকদের জীবন মানের পরিবর্তন হবে। আমরা চাইব শ্রমিকের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসা নিশ্চিত করে সরকার তাদের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করবে। "
শিরীন আক্তার শ্রম আইন যথাযথ কার্যকর, শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ও শ্রমনীতি ঘোষণা এবং লিঙ্গ বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে নারী শ্রমিকদের জন্য শোভনীয় কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।