জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
আমাদের দেশে ইসলাম ধর্মের নামে মাজার পূজা ও ওরশ খুব জনপ্রিয়।
ঢাকার গুলিস্তানে দাঁড়িয়ে আছে গোলাপশাহ মাজার। তার সামনে দেখবেন কিছু মানুষ সালু সূতা বাঁধছেন, কেউ টাকা ফেলছেন, কেউ মোমবাতি জ্বালছেন। আরও দেখবেন কিছু মানুষ লাল সালু গায়ে ঝিমাচ্ছেন। তাদের প্রধান খাদ্য গাঁজা।
তাই তারা সারাক্ষণ ঝিমান।
এই চিত্র দেশের সব মাজারের। সারা দেশে যে সব জায়গায় বাস স্টেশন, লঞ্চ স্টেশন বা রেল স্টেশন আছে, সেখানেই আছে মাজার। মূল কথা হল, যেখানে লোক সমাগম বেশি হয়, সেখানেই মাজার গড়ে ওঠে। যারা মাজার গড়ে তোলেন তাদের মাথায় থাকে এমন জায়গায় মাজার গড়ে তুলতে হবে যেখানে লোক সমাগম হবে।
কেননা লোক সমাগম না হলে মাজারে দান খয়রাত করবে কে ?
দান খয়রাতের বাইরেও এসব মাজারের অন্যতম আয়ের উৎস ওরশ। ওরশ শব্দের অর্থ জন্মোৎসব। ওরশকে কেন্দ্র করে নাচ, গান ও অন্যান্য ফুর্তিফার্তা চলে।
এসব ওরশ ও মাজারকে কেন্দ্র কিছু ধান্দাবাজ ভণ্ড পীরেরও দেখা মেলে। তারা একটা মাজারকে উপলক্ষ করে কোটিপতি বনে যায়।
এমনকি অনেক মাজারকে ঘিরে গদ্দিনশীন পীরও বংশানুক্রমে তৈরি হতে দেখা যায়। কেননা মাজারের আয় সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত।
এ সব মাজারে লাল সালু পড়া এক ধরনের পাগল পাওয়া যায়। এরা মূলত গাঁজাসেবী এবং অনেকে গাঁজা ব্যবসায়ী। এরা মাজার থেকে মাজারে ঘুরে বেড়ায়।
কেউ কেউ গান গায়। সেসব গানের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই।
মাথায় জটাধারী বয়স্ক কিছু মহিলাকে দেখা যায় মাজারে। এরা মূলত যৌবনকালে যৌনকর্মী ছিল এবং বয়স হয়ে যাওয়ায় ওই পেশায় তাদের চাহিদা নাই বিধায় মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়ায়। এদের জীবন ইতিহাস খুব দুঃখের এবং এরা আশ্রয়হীন মানুষ।
গাঁজা খেয়ে এবং অন্যান্য নেশা করে নারী পুরুষ একত্রে নাচ হয় অনেক ওরশে। যেহেতু এরা সব ভবঘুরে, তাই নারী পুরুষে অনৈতিক সম্পর্কও হয়ে থাকে। এ ব্যাপারটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট।
তাছাড়া মাজারে মাদক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে এক শ্রেণীর মানুষ অবাধে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। ধর্মের নামে চলছে অবাধে মাদক ব্যবসা।
এ ব্যাপারে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম একবার। তিনি বলেছিলেন, এই সব জিনিস বন্ধ করা সম্ভব না। কারণ এখানে অভিযান চালালেই কিছু ধর্মভীরু মানুষ ভেবে নেবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করা হয়েছে। তাই পুলিশও অসহায়।
সাধারণত স্বল্প শিক্ষিত ও নিরক্ষর মানুষের মাজারের প্রতি ঝোক থাকে।
তারা মনে করে মাজার একটা পবিত্র জায়গা এবং মাজারে দান করলে মনের সব আশা পূরণ হয়ে যায়।
বরং ইসলাম ধর্ম বলে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে কোন কিছু চাওয়া মানে শেরক করা। মাজার, ওলী, পীর বা কোন সাধু পুরুষ কোন মানোবাঞ্ছা পূরণ করতে পারবে মনে করলে তাকে আল্লাহর সমকক্ষ করে তোলা হয়। তাই গুণাহ হিসেবে শেরক হল সবচেয়ে বড় গুণাহ।
যারা মাজার পূজা করছেন, তারা শেরক করছেন।
ইসলাম ধর্মে এই মাজার পূজার কোন ভিত্তি নাই। ওরশের কোন ভিত্তি নাই। বরং এগুলো সবই হল মাকরুহ, হারাম ও চূড়ান্ত বিদআত।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।