গুনাহগার, অযোগ্য, অধম... ফারুক ভাই অফিসে বসে গত মাসের হিসেব মিলাচ্ছেন।
ভাউচার এর সাথে সাপোর্টিং মিলিয়ে খাতায় তুলছেন।
হঠাত করে একটা ভাউচারে চোখ আটকে গেল,
ভাউচারটি দিয়েছে সজীব।
গত মাসে সজীব সহ ৩ জন গিয়েছিল বান্দরবান একটা অফিসিয়াল কাজে।
পুরো ট্যুরের খরচ অফিস দিয়েছে, যাতায়াত, খাবার, আবাসন।
তাই বলে এরকম একটি আজব ভাউচার দিবে??
যদিও টাকার অংকটা খুব একটা বেশি না, মাত্র ১৮০ টাকা।
ভাউচার টা যে অল্পশিক্ষিত দোকানদার আনাড়িহাতে অনেক কষ্টে
লিখেছে, তা হাতের লেখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
ভাউচার এর বিবরন এ লিখা "গাঁজা ৩ প্যাকেট- ১৮০ টাকা"।
ফারুক ভাই মনে মনে ভাবলেন, সজীব তো ছেলে ভাল, নামাজ পড়ে,
তাই বলে গাঁজা খাবে? আর খেয়েছে ভাল কথা, তাই বলে গাঁজার বিল ও
কোম্পানি দিবে????
মাথাটা ঘুরছে ফারুক ভাইর।
শেষ মেষ কিছু না পেরে সজীবের কাছেই নিয়ে গেল ভাউচার টা।
কিভাবে শুরু করবে বুঝতে পারছেনা।
অনেক্ষন কাচু মাচু করে বলল, "সজীব ভাই, বান্দববানের একটা
ভাউচার দিয়েছেন ১৮০ টাকার, ভাউচার টা বুঝতে পারছিনা"
সজীব বলল, ক্যান কিসের ভাউচার? অনেক ভাউচার ও তো দিয়েছি, দ্যান তো দেখি।
ফারুক ভাই, ভাউচার টা বের করে সজীব এর হাতে দিল।
ভাউচার দেখে সজীব কিচুক্ষন চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকল,
মনে হয় চিন্তার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
ফারুক ভাই মনে মনে ভাবল, ভুল ই করে ফেললাম কিনা।
অনেকক্ষন চিন্তা করার পর হঠাত সজীব হো হো করে হেসে উঠল।
সে কি হাসি। হাসতে হাসতে একবার দাঁড়ায়, একবার বসে, হাসির চোটে
সজীব কথা ই বলতে পারছেনা।
ফারুক ভাই ভাবছে, হায়রে গাঁজা! বান্দরবানের গাঁজার ইফেক্ট কি আজকে
দ্যাখা দিল নাকি! পাগলের মত হাসছে ক্যান?
শেষতক, সজীবই ব্যাপারটা ক্লিয়ার করল।
ওরা ৩ জন মিলে এক দোকান থেকে মিষ্টিজাতীয় একটা
খাবার খেয়েছে, এর নাম "খাজা"।
বেচারা দোকানদার "খাজা" কে লিখেছে "গাঁজা"।
এবার দুজন মিলেই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি।
হায়রে খাজা!
ফারুক ভাই যে সজীব এর ব্যাপারে কতকিছু ইতিমধ্যে ভেবে শেষ!
হায়রে বানান!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।