হাঁটা পথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে হে সভ্যতা। আমরা সাত ভাই চম্পা মাতৃকাচিহ্ন কপালে দঁড়িয়েছি এসে _এই বিপাকে, পরিণামে। আমরা কথা বলি আর আমাদের মা আজো লতাপাতা খায়।
১. পর্বতের মুষিক প্রসব আর কাকে বলে! টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের উদ্বেগ, ভয় আর দোলাচলতা নিরসনে ধন্বন্তরি বটিকাটি আর কিছু নয়, প্রায় তিনশ শব্দের একটি চিঠি। এই হলো সেই মহার্ঘ্য সহি টিপাইনামা ওরফে এইড মোমোয়ার।
কান্না থামাতে বালকের হাতে যা ঝুনঝুনি, আমাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া এই কাগজ তার বেশি কিছু নয়। যাদের কল্পনা প্রতিভা সেই পরিমাণ তেজষ্ক্রিয় তাঁরা এটা দিয়ে কল্পনার করমচা খেতে চাইলে খেতে পারেন।
কী আছে এতে? বাঁধের দৈর্ঘ্য-উচ্চতা, অবস্থান, আর বিদ্যুৎ উৎপাদন মতা। আর আছে বুক ভরা আশ্বাস আর গাল ভরা বাণী। সেই বন্যা কমবে, শীতে পানি বাড়বে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়া আর কিছুই হবে না! না! না! না! তাহলে আজকের প্রথম আলোর এই সংবাদটি ভারতীয় দলিলগুলো ঘেঁটে এবং দেশি বিশেষজ্ঞদের বরাতে যে বলছে, বাঁধ, ব্যারাজ ও সেচ তিনটাই তারা করবে?
মাত্র পৌনে পাঁচশো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির জন্যই এত জ্বলুনি-পুড়ুনি? টিপাইমুখ এলাকার মিলিটারাইজেশন? বাংলাদেশকে ক্রমাগত ধমকে আর মাথায় হাত বুলিয়ে সবক দেওয়া? পানি যদি সরানো না-ই হবে তাহলে প্রজেক্টের নাম টিপাইমুখ মাল্টিপারপোজ প্রোজেক্ট কেন? কাছাড়ের বন্যা নিয়ন্ত্রণ আর আসামের সেচ পরিকল্পনার কথা তাহলে আসছে কেন এনভায়রনমেন্টাল এসেসমেন্ট রিপোর্টে?
বাংলাদেশের যাবতীয় আকুতি-কাকুতি-মিনতির মূল্য হলো এই এক পৃষ্ঠার টাইপ করা কাগজ।
এই ঘোড়ার ডিম কি সাধে আর সরকার প্রকাশ করতে সাহস পায়নি? আমার ধারণা ভারতের কোনো নাগরিক সেখানকার তথ্য অধিকার আইনের বলে আবেদন করলে এর থেকে বেশি তথ্য পেতেন। এখন এ লইয়া আমরা কী করিব? ধুইয়া খাইব নাকি গলায় বাঁধিয়া রাখিয়া গাইব, ‘আওয়ারা হু মে, হু হু হু?’
একটা কথা ভেবে খটকা লাগে যে, সরকার কেন একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে অন্যটি নিজেদের ওয়াটার মডেলিং ইনস্টিটিউটকে দিয়ে সমীক্ষা চালিয়েও সেগুলো গাপ মেরে বসে থাকলো এতদিন?
টিপাইমুখ প্রজেক্টের ভারতীয় ইআইএ রিপোর্টের এক্সিকিউটিভ সামারি অংশের ৬ নং অনুচ্ছেদে এটা কী বলা হচ্ছে?
The project will also provide annual flood relief to the tune of Rs. 45.70 crores. In addition, navigation to upstream villages for a total length of 359 km, as well as from Calcutta Port to Silchar via Bangladesh, could be opened. Further, the project on stabilization will bring out annual benefits of about Rs. 231.00 Crores on account of increased down stream agriculture and Rs. 14.00 crore from reservoir pisciculture.
বন্যা ত্রাণের জন্য তহবিল কেন? বাঁধ নির্মাণ প্রক্রিয়ায় যে এলাকা ডুবে যাবে তার কথা হচ্ছে না, কথা হচ্ছে বার্ষিক বন্যা ত্রাণের কথা। ভারত অংশে বন্যা বাড়া মানে কি বাংলাদেশ অংশেও বন্যা বাড়া নয়? জলাধার সৃষ্টি করে পিসিকালচারের কথা আসছে কোথা থেকে?
ভারত যে ট্রানজিটকে খণ্ড খণ্ডে আদায় করে নিচ্ছে ট্রেন-সড়ক ও নৌ পথে; টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ দিয়ে আসামের শিলচরে যাওয়া-আসার ফায়দা নেবে? এটা প্রশ্ন, সিদ্ধান্ত নয়।
প্রশ্ন এ কারণে যে, আমরা যারা এখানে বিতর্ক করছি তারা কেউ পানি বা নদীশাসন বিশেষজ্ঞ নই, সেটা আমাদের কাজও নয়। আমাদের কাজ হচ্ছে বিবদমান বিশেষজ্ঞ মতগুলোর মধ্যে নিজেদের স্বার্থরার যুক্তি ও তথ্য খুঁজে নেওয়া।
আর চলমান বিতর্কে এবং তারও আগে দিনমজুরের সেই স্টিকি পোস্টে এ বিষয়টা বিস্তারিত আলোচিত আছে। এখনও তাকে খণ্ডনের যুক্তি কেউ দেখাননি। আমি দিনমজুরের এ পোস্টটাকে এখনও তাই সমর্থন করি এবং তুলে ধরি।
Initial Environmental Evaluation, Northeast Regional Water Management Plan, Bangladesh Flood Action Plan এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কানাডিয় সহায়তায় এবং Dr. Sara Bennett, Mr. Mujib Huq, and Dr. David McLean. কে দিয়ে যে সমীক্ষা করিয়েছিল তাতেও এ যাবতকালে উচ্চারিত আশংকাগুলোর পাথুরে সমর্থন মেলে।
যেমন তাঁরা গড়পরতাভাবে বন্যা কিছুটা কমা কিংবা শীতে পানি কিছুটা বাড়ার কথা হালকাভাবে স্বীকার করলেও শক্তভাবে বলছেন:
‘‘Regulation of the Barak's flow by Tipaimukh Dam would provide India with the opportunity to irrigate the Cachar Plain; this India proposes to do. Since this will involve a loss of water from the Barak, it is a matter of concern to the Northeast Region of Bangladesh. No statement is available as to how much water India proposes to take from this scheme. For the purposes of this study it has been assumed that the total depth of irrigation water to be applied is 1 m and that the water is diverted on a continuous basis during the six dry months (November through April).’’ 8.3.1 Project Description
৮.৫ No Tipaimukh Dam. Projects which would be significantly affected by dam implementation are Upper Surma-Kushiyara, Surma Right Bank, Surma-Kushiyara-Baulai Basin, and Kushiyara-Bijna Interbasin...
অর্থাৎ এসব নদীতে বিদ্যমান বাংলাদেশি প্রকল্পগুলো বড় মাত্রায় তিগ্রস্থ হবে।
এবং সেটা ঘটবে নদীর স্বভাব ও চলনের ব্যাহত হওয়ার জন্য।
avulsions in progress are noted for affected projects (Dharmapasha-Rui Beel, Updakhali, Jadukata-Rakti, Upper Kangsha), and aggradation in progress is noted (Kalni-Kushiyara and others with less severe effects)....
· Khowai: aggradation of the reach between Shaistaganj and Habiganj
· Someswari: siltation of the Shibganjdhala channel and enlargement of the Atrakhali channel (that is, progression of avulsion)
· Jadukata: progression of avulsion
· Kalni-Kushiyara: aggradation
বর্ণিত নদীতে পলি জমবে, বর্তমান খাত সরে যাবে। ইতিমধ্যেই এগুলো তিগ্রস্থ, সেই তি আরো বাড়বে। এখানে আরো কিছু বর্ণনা প্রয়োজন। যখন একটি বৃহত জলপ্রবাহের মুখ আটকে বিশ্বের বৃহত্তম পাথুরে বাঁধ তৈরি করা হবে, তখন ঐ জলপ্রবাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত নদী-নালা-বিল-হাওর-প্রাণ-প্রকৃতিসহ সমগ্র প্রতিবেশ ব্যবস্থাই নড়ে-চড়ে যাবে।
তার কিছু ভাল হবে কিছু মন্দ। এবং চিরাচরিত নিয়মে আমরা পড়ছি মন্দের ভাগে। তাই বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল নেটওয়ার্ক (বেন) বলছে,
1. Tipaimukh Dam is not an isolated project; it is part of a comprehensive Indian plan of using rivers that flow from India into Bangladesh, and hence needs to be viewed in the broader context of sharing of international rivers by these two countries;
2. In general India has been using its upper riparian position and its economic and financial strength to take unilateral steps with regard to the flow of these international rivers;
3. Most of these unilateral steps have been of diversionary character, diverting the water flow to destinations inside India and thus reducing the flow of water into the rivers of Bangladesh. Glaring example of such diversionary interventions are the Farakka Barrage on the Ganges and the Gozaldoba Barrage on the Teesta. The Farakka diversion has drastically reduced the flow of Padma, drying up south-western Bangladesh. The Gozaldoba barrage on the other hand has drastically reduced the flow of Teesta in Bangladesh; India has undertaken numerous other diversionary and flow-controlling structures on most of the 54 common rivers flowing from India into Bangladesh.
4. These diversionary projects of India go against the international norms regarding sharing of international rivers. In particular, they violate Bangladesh’s right to prior and customary use of river water. The entire economy and life in Bangladesh have evolved on the basis of rivers. Any major change in the volume and direction of flow of these rivers seriously disrupt the economy and livelihood in Bangladesh; Furthermore, river intervention structures affect the flow of not only water but also of sediment, which are vital for the long-run sustainability of the deltaic Bangladesh, in particular in face of the threat of submergence by rising sea level caused by global warming;
এখন আপনারা বিচার করুন। আমাদের পানিসম্পদমন্ত্রী জনাব রমেশচন্দ্র সেন একবার বলছেন, আমাদের ভাল হবে। আবার আজকের প্রথম আলোর সংবাদে জানিয়েছেন, অপ্রতুল তথ্যের কথা।
তাহলে ভাল’র ধারণা কি তিনি স্বপ্নে প্রাপ্ত হয়েছেন? এরা মন্ত্রী না গণকঠাকুর? আরেক কুতুব হলেন ফারুক খান। সব বিষয়ে আগাম রায় তিনি দেন কোন জাদুবলে? খোয়াজ খিজির নাকি তিনি?
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৫৪ টি নদীর মিতালি রয়েছে। এর ৪৭টিতে বাঁধ দিয়ে তারা সেই মিতালি ছিন্ন করেছে। ভুপেন গেয়েছিলেন, ‘গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা’। আমি সমকালে লিখেছিলাম, ‘গঙ্গা আমাদেরও মা।
কে তুমি সেই মায়ের পায়ে বেড়ি বসাও, মাকে আমাদের বাড়ি আসতে দাও না? কে তুমি?
২.
এ সিরিজে কতদূর যাবার সময় পাব জানি না। অনেক কাজ হাতে, পেটের কাজ নদীর কাজ। অল্প অল্প করে অগোছালো ভাবে, পুরাতন কথা আবৃত্তি না করে নতুন কিছু কিছু তথ্য ও ধারণা দেবার চেষ্টা করবো। তারই অংশ হিসেবে আগামি কিস্তিতে বড় বাঁধ ও নদী শাসন বিষয়ে কনসেপচুয়াল আলোচনা তুলবো। দেখাবার চেষ্টা করবো আমাদের দেশের শাসক আর বিশ্বব্যাংকীয় তরিকার উন্নয়ন ধারণার নদীহত্যার আয়োজনের কীয়দাংশ।
তারই একটা ভূমিকা দেওয়া যাক সভ্যতার সীমান্ত দেশে গঙ্গা কাহিনী নামে আমার অনেক আগের একটি লেখা থেকে:
‘‘...বাংলাদেশ হলো প্রকৃতির আপন হাতের কাজ। বাংলার বর্তমান যে রূপ তার গঠনে সবচেয়ে বেশি অবদান প্রাকৃতিক শক্তির। সেই শক্তি হলো বাংলার নদ-নদী। এখানকার নদীগুলোর ঐতিহাসিক গতিপ্রকৃতিই পূর্ববাংলার জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। তাকে দিয়েছে বদ্বীপের আকার এবং উর্বর পলিমাটির বিশাল সমভূমি।
গোটা পূর্ব বাংলাই এক সময় সমদ্রগর্ভে নিমজ্জিত ছিল। সাগরের তলা থেকে অমৃত তুলে আনার পৌরাণিক কাহিনীর প্রতীক ধরে বললে বাংলাই হলো সেই অমৃত, যার আবির্ভাব সমুদ্রগর্ভ থেকে। একদা গঙ্গা গিয়ে সমুদ্রের সঙ্গে মিলত যে জায়গাটিতে, তার আধুনিক নাম মুর্শিদাবাদ। এর অবস্থান পূর্ব বাংলার একদম উত্তর-পশ্চিম কোণে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র গিয়ে মিলত একেবারে উত্তরের বর্তমান রংপুরের কাছে।
কালে কালে এই গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীব্যবস্থার জলদেহ বয়ে আসা হিমালয় ধোয়া মাটি দিয়েই বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে উঠেছিল নতুন এক বদ্বীপ। সেই প্রাগৈতিহাসিক বদ্বীপটিই আজকের বাংলাদেশ। এই দ্বীপ গঠন প্রক্রিয়া আজো চালু। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে বাংলাদেশের সমান এক দেশ জেগে ওঠার সম্ভাবনা শোনা যাচ্ছে।
নদীরও জীবনী আছে।
তারও খাতবদল হয়। এক এলাকা থেকে সে নতুন এলাকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীর সঙ্গে সঙ্গে সৌভাগ্যের জননীও তখন দেশান্তরী হয়। পিছে পিছে আসে মানুষ। নতুন খাতে বইবার সময় পুরনো প্রজাপাট ছেড়ে নদী নতুন মানুষকে তার খাতক করে।
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীব্যবস্থা কালে কালে তার পূর্বতন মোহনা পশ্চিম বাংলা ছেড়ে দণি-পূর্বে আসতে থাকে। পুরনো ভাগীরথের খাত ছেড়ে গঙ্গা বইতে থাকে পদ্মার খাতে। কিংবা বলা যায়, পূর্ব বাংলায় এসে তার নাম হয় পদ্মা। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র দক্ষিণমুখী হতে হতে যমুনা হয়ে মেঘনার সঙ্গে মেশে।
এপারে নদী ও মানুষ মিলে যখন সোনা ফলাচ্ছে, ওপারে কিন্তু নদীখাত মরে যেতে থাকায় বিপর্যয় নামছে।
গৌড়ের রাজধানী সুলতানি আমলের জমজমাট মুর্শিদাবাদ নগরী পরিত্যক্ত হয়। ভাগীরথ বা পুরনো গঙ্গায় আর জাহাজ চলতে পারে না। সাতগাঁও বন্দর অচল হয়ে পড়ায় বাণিজ্য মার খায়। কৃষির সমৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়ে।
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের এই সফরের ফলশ্র“তিই হলো আজকের বাংলাদেশ।
আজ ভারত বরাক, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গায় ব্যারাজ, বাঁধ ও নদীসংযোগের নামে পানি সরিয়ে নিয়ে প্রকৃতির বিরুদ্ধেই প্রতিশোধ নিচ্ছে। পদ্মাকে মেরে পুরাতন ভাগীরথীতে পানি টেনে নিয়েছে ফারাক্কা করে। সাতগাঁও বন্দরকে সচল করার জন্য আরো পানি টানা হচ্ছে।
আর আমরা এবং আমাদের সরকার সবাই মিলে আল্লাবিল্লা করি কিংবা ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল নাগরিক হয়া যাই। মানুষ যদি ডিজিটই হবে তবে তার আর ব্যথা-বেদনা, রাগ-ক্ষোভ ভালবাসা রইবে কেন? সেই ডিজিটালদের নদীর দরকার হবে না, দরকার হবে না নদীমাতাকে বন্দনা করা অজস্র গান, অজস্র কবিতা আর অসাধারণ সুন্দর সব উপকথার।
সুরমা-কুশিয়ারা-কিশোরগঞ্জ অববাহিকা কেবল বিল-হাওরে ধন্য নয়, গানেরও খনি। আব্দুল করিম, উকিল মুন্সী, জালালুদ্দীন খাঁ, হাছন রাজা, বিজয় সরকার আর অধুনা শচীন কর্তা, রামকানাই দাসদের তীর্থ। সব নষ্ট হবে আর বাংলা বেহুলা হয়ে নাচবে ইন্দ্রের সভায়। আমরা ভুলে যাব, কিন্তু বাংলার নদী-মাঠ ভাটফুল ছিন্ন খঞ্জনার মতো বেজে বেজে কাঁদবে তার পায়।
হায় বাংলাদেশ হায়!
আগের পোস্ট : Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।