কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর তার কাবুলীওয়ালা গল্পে বলেছেন "আমার পাঁচ বছরের মিনি এক দন্ড কথা না কহিয়া থাকিতে পারে না। " আর আমি বলছি--- আমার চার বছরের সৌহার্দ্য এক দন্ড কথা না কহিয়া থাকিতে পারে না।
আমার ছেলের নানী সেদিন আমাকে বলছে ঃ--ওর বাপতো দুই ঠোঁট ফাঁক করে কথা বলে না, তার ছেলে কিভাবে এত কথা বলে ? এই কয়েক ঘন্টায় ও আমার মাথার ব্যাথা তুলে ফেলেছে!!!
উত্তরে বললাম,ঃ---তোমরা বুঝবা না । বাপ কা ব্যাটা ।
বাপ ডিপ্লোমেসি জানে?! ব্যাটা এখনও রপ্ত করে নাই। তোমরা তো ভাব আহা কি ভদ্র, লেজ বিশিষ্ট। ? আমি বুঝি কোন মরিচের কেমন ঝাল???
যাই হোক এবার আসল কথায় আসি----
আমার ছেলে সৌহার্দ্যর কিছু কেন????? তুলে দিলাম। ।
ঃ মেঘ কেন হাঁটে?
ঃওদের পা দেখা যায় না কেন?
ঃ আকাশ নীল কেন?
ঃ মেঘ যখন হাঁটে তখন কেন কুচকুচে সাদা থাকে? ( কোন এক ভাবে সে শিখেছে কুচকুচে সাদা আর ধবধবে লাল)
ঃকালো মেঘগুলো কোথা থেকে আসে?
ঃমেঘে কেন বরফ থাকে?
ঃ ফুলে কেন মধু থাকে?
ঃ প্রজাপতি কেন ফুলে থাকে?
ঃ কার্টুনের দেশে কেন যাওয়া যায় না?
ঃ ফ্যান ঘুরলে কেন গোল দেখায়?
ঃ পানি কেন ধরা যায় না?
ঃ ফ্যানের বাতাস কেন দেখা যায় না?
ঃ ডাইনোসার আমাদের খায় আমরা কেন ডাইনোসার খাই না?
ঃ মাছ কেন বাজারে পাওয়া যায়?
ঃপিপঁড়া কিভাবে দেয়ালে উঠে?
ঃ টিকটিকি কি ভাবে সিলিং এ হাঁটে?
ঃ গরুর কেন চারটা পা?
ঃ আমাদের বাসার জেরীর জুতা নাই কেন?
ঃ পানিতে কেন ঢেউ হয়, মাটিতে কেন হয় না?
আর মনে পরছে না, এমন হাজার প্রশ্নে আমাদের মাথার পোকা নড়ে যাচ্ছে।
আর লিখতে পারছিনা কারন ও এখন ডাইনোসার আর কুমির কে নিয়ে যুদ্ধ করছে । সেই যুদ্ধের গতিবিধি আমাকে দেখতে হচ্ছে, মন্তব্য করতে হচ্ছে ও ফলাফল বলতে হচ্ছে।
ব্লগে লিখতে লিখতে ভুল করে ওর ডাইনোসার কুমিরের কাছে হেরে যাচ্ছে বলার কারনে ওর কাছে ধমক খেলাম,
ঃ --বোকা আম্মু, কে বলছে? কুমিরের তক্তি বেশি, দাইনোসর তো সবচেয়ে তক্তিশালী?? তুমি আমার কথা শুনছোনা??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।