যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
সবকিছু পাল্টে গেছে। মানে তেমনই লাগলো। কিন্তু বাদল দার ফটোকপিয়ার আর তার মুখের গোটা গোটা ফুলে থাকা মাংশপিন্ড একই আছে। সেই উন্নিশশো তেপ্পান্ন সালের ফটোকপিয়ার হবে। আমার মনে হয় একমাত্র বাদল দা ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ এই কপিয়ার অপারেট করতে পারে না।
একসময়ে বিএমকলেজের সামনে একটা মাত্র ফটোকপিয়ারের দোকান ছিল। এবং সেটা হলো এই বাদলদার। এখন দোকানটা মসজিদ গেটের সামনে হলেও একসময় সেটা গ্যারেজ বা সাইন্সফ্যাকাল্টির সামনে ছিলো যতদূর মনে করতে পারি। এর আগে আমরা হাতে নোট নিতাম, কপিও করে ফেলতাম হাতে লিখে। বাদল দা যেন সহজ করে দিলেন পড়াশুনা।
একজন ক্লাসে নোট নিলেই হতো। বাদলদার ফটোকপিয়ারের পরে জীবনে আমার আর কখনই নোট নিতে হয় নাই । রত্না ছিল আমার বিশাল অবলম্বন, ক্লাসে শেষে ওর নোটখাতা ফটোকপিয়ার ঘুরে হয়ে যেতো আমার নোটখাতা।
প্রথম দিকে ২টাকা লাগতো এক পেজ ফটোকপি করতে। পরে একটাকা হয়েছিলো।
এবার গিয়ে দেখলাম ২টাকা। দীর্ঘ ২০ বছরে সবকিছুর দাম বেড়েছে কিন্তু ফটোকপি করার খরচ আগের মতই রয়েছে। বাদল দার বয়সটাও মনে হয় একই আছে। পাশে তার একটা কনফেকশনারী আছে। কলিজা সিঙ্গারা আর চা খেতে খাবার নির্ভরযোগ্য জায়গা ছিল, এখনও তেমনই আছে।
ফটোকপির জন্য আমার কাগজটা বাড়িয়ে দিতেই বাদল দা চিনে ফেললেন, বললেন, কেমন আছো? কোথায় আছো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।