পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাউন্টিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফৌজিয়া আক্তার, পিরোজপুরের একটি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ক্লাসের ছাত্রী জিয়ানগর উপজেলার চর বলেশ্বর গ্রাম নিবাসী জেসমিন নাহারকে অন্যায়ভাবে পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
পিরোজপুরের সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাউন্টিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফৌজিয়া আক্তার, পিরোজপুরের একটি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ক্লাসের ছাত্রী জিয়ানগর উপজেলার চর বলেশ্বর গ্রাম নিবাসী জেসমিন নাহারকে অন্যায়ভাবে পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাউন্টিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফৌজিয়া আক্তার ও পিরোজপুরের একটি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার তাদের বান্ধুবী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ক্লাসের ছাত্রী জিয়ানগর উপজেলার চর বলেশ্বর গ্রাম নিবাসী জেসমিন নাহারের বাড়ীতে বেড়াতে যাচ্ছিল। তারা পিরোজপুর থেকে বাসে উঠে বালিপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নামে। তাদের বান্ধবী জেসমিন নাহার তাদের এগিয়ে নিতে বাসস্ট্যান্ডে আসে।
এ সময় সরকারী দলের কয়েকজন বখাটে যুবক তাদের উত্যক্ত করে এবং তারা তানিয়া আক্তারের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। বখাটে যুবকদের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা স্থানীয় বালিপাড়া সিনিয়ার মাদ্রাসার ভিতরে আশ্রায় নেয় এবং এ ঘটনা জেসমিন নাহার ও ফৌজিয়া আক্তার মোবাইল ফোনে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জানায়। তখন বখাটে যুবকরা নিজেদের বাঁচাতে এবং মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঐ মাদ্রাসায় জেএমবির কয়েকজন মহিলা সদস্য এসেছে বলে জিয়ানগর থানায় জানায়। জিয়ানগর থানার পুলিশ এসে ঐ মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়া তিন মহিলাকে অন্যায় ভাবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দিয়েছে। তাদের নিকট থেকে অবৈধ কোন কিছু পাওয়া যায়নি বলে থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের সাথে একাধিকবার টেলিফোনে যোগাযোগ করে দুই জন ছাত্রী ও ১ জন শিক্ষিকাকে আটক করার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায় যে, উপরের নির্দেশে তাদের আটক করা হয়েছে। বোরকা পড়া ধার্মিক পর্দানশীল নিরীহ মহিলাদের অযথা হয়রানী ও অপমানিত করার জন্যই সরকারী দলের বখাটে যুবকরা এ অন্যায় কাজটি করেছে। থানা কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বখাটেদের হাত থেকে ধার্মিক পর্দানশীল মহিলাদের উদ্ধার করে নিরাপদে তাদের বাড়ীতে পৌঁছে দেয়া। কিন্তু তা না করে পুলিশ তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দিয়ে ঐ ধার্মিক পর্দানশীল মহিলাদের প্রতি চরম জুলুম করেছে। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক মহিলাদের পর্দা মেনে চলা ফরজ।
কোন ছলছুতায় সে ফরজ পালনে বাধা দান কার্যত: ইসলামের উপরে আঘাত দেয়ার শামিল। সরকারী দলের লোকদের প্ররোচনায় পুলিশ প্রশাসন যদি দুষ্টের দমন ও শিষ্ঠের পালনের পরিবর্তে দুষ্টদেরই পালন করে তাহলে মানুষ তাদের ইজ্জত আবরুর হেফাযত কিভাবে করবে?
ধার্মিক পর্দানশীল মহিলারা যাতে এভাবে আর কখনো হয়রানী, নির্যাতন ও জুলুমের শিকার না হয় সে ব্যাপারে আমি সরকারী মহলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করছি এবং পিরোজপুরের জিয়ানগর থানায় ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো দুইজন ছাত্রী ও ১জন সম্মানিতা শিক্ষিকাকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।