আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়া। তারপরেই হল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়া। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে কোথাও ইন্টারনেটের ব্যাবহারের মূল্য হ্রাসের কথা না বলা হলেও ক্ষমতায় এসে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য যার প্রধান জাসদের হাসানুল হক ইনু গত মে মাসে সাংবাদিকদের কাছে বলেন যে তারা ইন্টারনেটের ব্যাবহার মাসে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব করবেন। এটাকে নিশ্চয়ই প্রশংসারযোগ্য বলা যায়।
অনেক সময় অতি আনন্দে ও সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে নির্বাচনের পূর্বে ক্ষমতাপ্রার্থী দল সমূহ বিভিন্ন মুখরোচক ওয়াদা করেন। কিন্তু ক্ষমতায় এসে দেখেন বাস্তবতা ভিন্ন। তবে ইনুর এই প্রস্তাব সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ উনি ক্ষমতায় থেকেই এ বিষয়ে যাচাই বাছাই করে এবং সর্বপরি সম্ভব বলেই এ কথা বলেছেন। তবে জুন মাসে অর্থমন্ত্রীর শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য কম মূল্যে ইন্টারনেটের ব্যাবহার করার সুপারিশ করেছেন বলে আশাহত হয়েছি।
তাই বলা যায় ইনুর সংসদীয় কমিটি এ বিষয়ে এখনও কোন প্রস্তাব করেন নি। ইনুর ঐ প্রস্তাবে ইন্টারনেটের পাশাপাশি ফোনের ব্যাবহারের উপরও ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার অথবা ৫% ভ্যাট রাখার কথা বলা হয়। এর দ্বারা ভাল ব্যান্ড উইধ ৩২-৬৪ KBPS পাওয়া যাবে এবং মোট বিলও মাসে কম হবে। হয়ত ৩০০+১৫(ভ্যাট ৫%) = ৩১৫ টাকা মাত্র। টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট, ডাক-টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হলেও এর মূল্য রাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয় বিশেষ করে রাজস্ব বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
স্পষ্ট করে বলতে গেলে তাদের পরামর্শেই অর্থমন্ত্রী এই মূল্য হ্রাসে অনুমতি দেন। কিন্তু বিজয় সফ্টওয়ারের নির্মাতা মোস্তফা জাব্বার বাজেট ঘোষণার পর এ ব্যাপানে অর্থমন্ত্রী কে এক সেমিনারে এই বিষয়ে বলেন যে রাজস্ব বিভাগে ভুত আছে তারা অর্থমন্ত্রীর উপর সাওয়ার হয়ে এই সংক্রান্ত মূল্য হ্রাসে মন্ত্রীকে বাধাদেন বা নিরুৎসাহিত করেন।
Click This Link
যদিও অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ২৬শে জুন কিন্তু সর্বশেষ এ ব্যাপারে কোন অগ্রগতি হয়েছে বলে অন্তত আমার জানা নেই। ইতিমধ্যে কয়েকটি ISP এর সাথে যোগাযোগ করা হলে শুনলাম তারাও বিষয় টি জানেন না। তাই ISP ওয়ালারা যখন জানেন না তাই ধরা চলে যে ইনুর প্রস্তাব আসলে আলোচনা এবং সাংবাদিকদের সাথে কথোপোকথনই রয়ে গেছে।
সেই সাথে অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবও ভূলে গেছেন। তাই এই বছর যখন জুলাই মাস এসে গেছে তাই বাকী ২০০৯ এর বাকী সময় আদৌ ব্যান্ডউইধ রেট হ্রাস পাবে কিনা তা অনেকটাই অনিশ্চিত রয়ে গেল। এ বিষয়ে গতমাসে একটি লেখা দিয়েছিলাম;
Click This Link
ব্লগারগণের কারো এ বিষয়ে যদি জানা থাকে তো এ বিষযে মতামত দিন অথবা নিজেরা পারলে কোন লেখা দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।