অনেকদিন আগের কথা। বসবাস ছিল এক ছোট্ট মফস্বল এলাকায়। কোনো এক তপ্ত দুপুরে এক খালের উপরে সাঁকো দিয়ে দৌড়ে পার হচ্ছি। ওপারে প্রচন্ড ভীড়। এক মহিলাকে আটকে রাখা হয়েছে।
সামনে গেলাম। মহিলা ঘড়ি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। নানানজন মহিলাকে উৎসর্গ করে নানা মন্তব্য ছুড়ছেন। অবাক বিষয় মহিলাও পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। তবে একই বাক্যে বারাবার, সামান্য একটা ঘড়ি ধরাটাই আমার অনুরোধ( উল্লেখ্য প্রথম বুঝতে পারিনি, 'অনুরোধ' কেন? পরে বুঝলাম, ওনি সঠিক শব্দটি প্রয়োগ করতে পারছেন না।
শব্দটা হবে 'অপরাধ'। )। এইটার জন্য আটকাইয়া রাখতে হইবো?
মহিলাটার মতে ঘড়ি নেয়া তেমন গুরুতর বিষয়ের অর্ন্তভূক্ত নয়। চুরির আওতায় পড়ে না। এজন্য তাকে আটকানো ঠিক হয়নি।
পুরো এলাকার মানুষের সামনে সন্মানহানি করা উচিত হয়নি।
আজ অনেকদিন পর সেই পুরোনো দিনটার কথা মনে করিয়ে দিলেন আমাদের সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার । ওই মহিলার মতো তার একটা উক্তি শুনে বিমোহিত হলাম। স্পিকার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে আনা দূর্নীতির অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালনের কাজে একটু এদিক ওদিক হলেও পুরো জাতরি সামনে এমন অপদস্থ করা ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, ওনার এদিক ওদিকের পরিমান মাত্র ২৫ লাখ টাকা।
মাননীয় স্পীকার (সাবেক), আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন, কত টাকা এদিক ওদিক হলে অপদস্থ করা যাবে?
খারাপ না। দুটোই শিক্ষণীয়। সব কিছুতে নীতিমালা থাকলে এই এদিক ওদিক বিষয়ে একটা নীতিমালা জরুরী ভিত্তিতে করা প্রয়োজন।
কারন, নীতিমালা না থাকার কারনে মফস্বলে এক মহিলার যেমন সন্মাণহানী হচ্ছে। তেমনি হচ্ছে সন্মাণিত স্পিকারেরও।
হায় এ জাতির জন্য দুঃখ হয়। মানি'র মান দিতে শিখলো না।
পুনশ্চ: মাননীয় স্পীকার (সাবেক), আপনার কাছে আমার একটা সম্পুরক প্রশ্নও ছিল ...তাহলে কি আশা করা যায়, আমাদের আইন প্রণোয়ণের কেন্দ্রবিন্দু সংসদের স্পিকার হিসেবে আগামী যে কোনোবার ক্ষমতায় গেলে এরকম কোনো আইন প্রণোয়ণের উদ্যোগ নেবেন যেখানে, একটু এদিক করলে তাকে অপদস্থ করা যাবেনা।
তবে এদিক ওদিকের পরিমাণ ২৫ লাখের উপরে হলেও তার দায়ভার আপানার নয়, তাকেই বহন করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।