ঘটনাটা ব্লগের তীরন্দাজ নামধারী ব্যক্তির পোষ্টের মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলাম । যদিও পোষ্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে । .... উনি বাপ্পা আদিত্যকে লগি বৈঠা মিছিলে দেখেছেন শিবির মারার পর তার লাশের উপর নাকি নৃত্য করেছিল এবং শাহবাগে বাপ্পা আদিত্যকে দেখে শিহরীত হয়ে গিয়েছিল কারন ঃ বাপ্পা আদিত্য ঐ শিবির কর্মীকে পদাক্ষাত করে মেরে ফেলে যদি মুক্তিযুদ্ধা তথা স্বাধীনতাকামীদের তথা বর্তমান স্বাধীনতা ফসল ফলাতে যে তরুন প্রজন্ম দূর্বার তাদের শান্তির চেষ্টা করেন তাই..... মন্তব্যটি
ধন্যবাদ তীরন্দাস এই তথ্যপূর্ন পোষ্ট দেবার জন্য । আরো তথ্য খুজুন এই ধরনের লোকদের তাদের জীবনের প্রতিটি পাতা উল্টান যাতে করে এই আন্দোলনটি বন্ধ বা অন্য খাদে প্রভাবিত করা যায় । চেষ্টা করে যান- আমার খুব বিশ্বাস আপনী ছাইদী সাহেবের মত সফল হবেন ।
আপনার সাথে বাংলার সকল মানুষ আছে এবং থাকবে । কারন আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে যে হীনমন্যতার মহান পরিচয় দিয়েছেন তাতে আপনার সহজাত ভাইরাতো আপনার সাথেই আছে এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পদদলিত হয়ে মরার আগ পর্যন্ত আপনার সাথে থাকবে । এবং সচেতন মানুষতো তাদের বিবেকের চোখ খোলাই রেখেছে যার বাস্তব ক্ষুদ্র প্রমান এই শাহবাগ প্রজন্ম চত্তর । আপনি আবারো বাংলার মানুষকে মনে করিয়ে দিলেন সেদিনের সেই বাস্তব ঘটনা যাতে বাপ্পা আদিত্য কিভাবে লাঠি মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে একজন মৃত মানুষের শরীরের উপর নৃত্য করছিলেন । খুব কঠিন বাস্তব তথ্য আপনি তুলে ধরেছেন ঃঃঃঃঃঃঃ এবার ঘটনাটা যদি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে অনুধাবন করতে চেষ্টা করি তাহলে কি দাড়ায়ঃ- স্বাধীনতার পর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু যা পারেনি, বর্তমান সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা পূর্বে ক্ষমতায় আসার পর যা পারেনি সর্বপরি দীর্ঘ ৪০ বছর যা পারেনি তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে সেদিন বাপ্পা আদিত্য তা দেখিয়ে দিয়েছেন ।
কারন পূর্বসূরীরা ক্ষমা করে ভুল করেছেন তা এখন আমরা অনুধাবন করছি । সেদিন যদি তাঁরা এই ক্ষমার আদর্শ না দেখাতেন তাহলে আমার স্বাধীন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হত । রাষ্ট্র তার রাষ্ট্র পরিচয়ে মাথা তুলে দাড়াতো । আমার দেশের অর্থনীতি এখন আরো বেশি সরব থাকতো । কিন্তু ক্ষমার খেসারত এখনও আমরা দিচ্ছি ।
ক্ষমা করার ফলে কি ঘটেছে ঃ- ক্ষমা পাওয়া লোকগুলো আসলে ছিল জানোয়ার । জানোয়ারকে ক্ষমা করা যে কত ভূল তা এখন প্রতিটি সচেতন বিবেকবান মানুষ অনুধাবন করতেছে । ক্ষমা পাওয়া লোকগুলো দেশকে এখন পাকিস্তান বানাতে তৎপর আছে । তার এই দীর্ঘ ৪০ বছর দেশে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত চালিয়ে দেশেই তৈরী করেছেন জঙ্গি বাহীনি । যে জঙ্গী বাহিনীর ঘটনা যদি পর্যালোচনা করেন তাহলে বিষয়টি আরো সহজ হবে ।
পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন । পাকিস্তানেতো অন্য ধর্মের অনুসারী খুবই কম বা নেই বললেই চলে তবে সেখানে কেন পবিত্র স্থান মসজিদে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয় । সেই জঙ্গী বাহিনী যখন সেখানে চারা অবস্থায় বা অঙ্কুর অবস্থায় ছিল তখন কি ঐ দেশের ইসলাম মতাদর্শের কোন মানুষ মনের ভুলেও ভেবেছে এই জঙ্গী বাহিনী একদিন মসজিদে বোমা মেরে সাধারন ধর্মপ্রান মানুষকে হত্যা করবে । ভাবেনি বা ভাবার কথাও নয় । আমরা একটু চোখ কান খোলা রাখলে বুঝতে পারবো আমার বাংলাদেশের ভবিষ্যত কোথায় দাড়াবে??????? তাই বাপ্পা আদিত্য কি ঠিক কাজ করেছিলেন নাকি ভুল ??????? সেদিন যদি ঐ দেশপ্রেমিক মানুষগুলো এই নরপশুদের ক্ষমা না করতো তাহলে আজকের বাংলাদেশে এই গণজাগরনের প্রয়োজন হতোনা ।
লাঠি বৈঠা মিছিলের দরকার হতো না ।
আমি বাপ্পাকে বৈধতা দিতে চাইনা । তবে দেশ স্বাধীনের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে দেশ স্বাধীনতার বিরোধীতা করে যারা দেশের ত্রিশ লক্ষ মা-বোনে ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, যারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করেছে তারা সেদিন কি করেছিল ? উত্তরটা পোষ্টদাতা সহ সকল রাজাকার-দেশদ্রহীদের উত্তরসূরীদের কাছে ?????? সেখানে এই বাপ্পা আদিত্যের হত্যকান্ড কি ম্লান হবে গেছে নাকি দাড়িয়ে আছে ???? সাবধান গণজাগরনের এই সময় সাবধানের পথ চলুন নতুন ধ্বংস হয়ে যেতে পারেন চিরদিনের জন্য । আপনার বদলাবেন না এটা বাস্তব সত্য । যদি দীর্ঘ ৪০ বছরের কলঙ্ক মুছতে হয় তাহলে লক্ষ লক্ষ বাপ্পা আদিত্য এখন দরকার ।
রাজাকারদের কোন রক্ত বাংলার মাটিতে রাখা যাবেনা । দীর্ঘ ৪০ বছর মানবতা দেখানোর পরও যারা সুধরায়নি তারা আর পরিবর্তন হবে না । আসুন এর মূল উৎপাটন করি এবং বাংলার মাটিতে এদের রক্ত নিশ্চিহ্ন করি । যদি এবার বাংলার মানুষ ব্যর্থ হয় তবে মনে রাখুন আমরা ভবিষ্যৎ পাকিস্তানের বিভৎরূপে পরিনত হবে । হিন্দু মুসলিম কোন মানুষ এই জঙ্গীদের হাত থেকে রেহাই পাবেনা এমনকি জঙ্গীরাও না ।
যারা এই গণজাগরনকে ভিন্ন খাদে প্রভাবিত করতে চায় তাদের প্রতিহত করুন । প্রয়োজনে মনে রাখুন পায়ের জুতা মাথায় তুলে রাখতে হয়না । জুতা পায়েই ভালো মানায় । রাজাকারদের রক্ত মুছে দিন বাংলার মাটি থেকে ।
এবার রাজনৈতিক টানাপোড়ন নিয়ে না বললেই নয় ।
বর্তমান বাংলাদেশের নিকৃষ্ট দল বিএনপি'র অবস্থা একটু দেখুন । বিএনপি কতইনা আন্দোলনের ডাক দিল কিন্তু গণজাগরন নিয়ে কথা বলতে রাজি নয় তবে আকুতি জানিয়েছেন তাদের হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাও এই গণজাগরনে বলার জন্য । মির্জা ফকরুল সেদিন সাংবাদিকদের বললেন যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে কোন প্রশ্ন তার কাছে করা যাবে না । তারা প্রায়ই বলেন জামায়াতের হরতালে তাদের নৈতিক সমর্থন আছে এবং এই গণজাগরনেও নাকি তাদের নিশ্চুপ সমর্থন আছে । এই নৈতিক এবং নিশ্চুপ সমর্থন দ্বারা তারা কি বুঝাতে চেয়েছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন ।
আপনাদের ঠিক মনে আছে কিন বিএনপি'র একমাত্র আদর্শ সৈনিক জনদরদী শেখ জিয়ার সন্তান তারেক জিয়া নিষিদ্ধ ১২৮ টি সংগঠনের নিকট থেকে চাদা নিত এরকম একটি নিউজ ছিল ফখরুদ্দিনের ক্ষমতায় থাকার সময় । বর্তমান জঙ্গী সংগঠন শক্ত ঘাটি তৈরী করল এই বাংলার মাটিতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় । মাত্র পাচবছরে বিএনপি জঙ্গী সংগঠন শিবির ও জামায়াতকে এমনই শক্তিশালী করে দিল যে, নিজেই তাদের পিছনে পড়ে গিয়ে যোগ্য গুরুর অবস্থান নিয়ে স্বার্থক গুরুর অবস্থান শক্ত করলেন । গুরুরা সফল হন তখন যখন তার হাতে পৃষ্টপোষকতা পেয়ে শিষ্য যখন গুরুর চেয়ে বড় হন তখন । তেমন বর্তমনা বিএনপি'র অবস্থান জামায়াত-শিবিরের পরে ।
যারা বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে তাদের প্রতি উদ্বাত্ত আহবান প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের প্রতিহত করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে, কোন ক্ষমা নয় । যেমন কুকুর তেমন মুগুর দিতেই হবে এখন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।