আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘড়ির কাটা এগিয়ে এনে কি চমক দেখাবেন আমাদের বুবু

ধূসর শূণ্যতা

আমাদের বুবু জান হইলো চমকের আধার। সব সময়ই উনে আমাদের জন্যে নতুন চমক নিয়ে আসেন। এই বার কোন এক দিন ঘুম থেকে উঠার পর তার মাথায় ঢুকলো যে ঘড়ির কাটা ১ ঘন্টা এগিয়ে আনলে ২৫০ MGW বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। কিছুক্ষনের জন্যে ধরে নিলাম আসলেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আমরা ১ ঘন্টা কেন ২ ঘন্টা এগিয়ে নিয়ে আসি।

তাহলে আমাদের ২০০ কেন ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ১ ঘন্টা খাপ খাইয়ে নিতে যে কষ্ট তার সাথে কষ্ট আর একটু বাড়ায়ে নিলেই তো আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয় দ্বিগুন করতে পারি। আসলেই আমাদের বিদ্যুতের কোন সাশ্রয় হবে কি?? আমাদের শতকরা ৮০ ভাগ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয় ঘড়ির কাটা দেখে। সূর্যের আলো দেখে নয়। আমাদের অধিকাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায়।

এসব স্থানে অধিকাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে থাকে। এগুলোর সবখানেই ঘড়ির কাটা দেখে বিদ্যুতের ব্যবহার হয়ে থাকে। আর বাসা বাড়ীতে বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিবর্তিত থাকবে। যদি কিছু তারতম্য ঘটেও থাকে তবে তা খুবই নগন্য। দেখা যাচ্ছে যে উপকার কিছুই নয় মাঝ দিয়ে শুধু নামায রোযার ভোগান্তি মাত্র।

তবে বিদ্যুতের সাশ্রয় হয়েছে পুরোটা সেটা হলো আজ রাত ১১টা থেকে ১২টা। অতএব বিদ্যুৎ সাশ্রয় এর নামে যা করা হইল সেটা চমক ছাড়া আর কিছুই নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।