চলতি ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে তোমাদের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর গণিত বিষয়ের পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন এসেছে। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী তোমাদের উচ্চতর গণিত প্রথম ও দ্বিতীয়পত্রের প্রতিটিতে ১০০ নম্বর করে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তন্মধ্যে, উভয়পত্রের প্রতিটিতে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে ৪০ নম্বরের, নৈর্ব্যক্তিক ৩৫ নম্বরের এবং ব্যবহারিকের জন্য থাকবে ২৫ নম্বর। ইতোমধ্যে তোমরা উচ্চতর গণিত প্রথম পত্রের বই হাতে পেয়েছ। বই লক্ষ্য করলে দেখবে, উচ্চতর গণিত প্রথমপত্রে মোট ১০টি অধ্যায় রয়েছে।
এগুলো হচ্ছে- ১. ম্যাট্রিঙ্ ও নির্ণায়ক ২. ভেক্টর ৩. সরলরেখা ৪. বৃত্ত ৫. বিন্যাস ও সমাবেশ ৬. ত্রিকোণমিতিক অনুপাত ৭. সংযুক্ত কোণের ত্রিকোণমিতিক অনুপাত ৮. ফাংশন ও ফাংশনের লেখচিত্র ৯. অন্তরীকরণ ও ১০. যোগজীকরণ। এদের মধ্যে প্রথম, পঞ্চম, নবম ও দশম অধ্যায়গুলো তোমাদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন। বাকি অধ্যায়গুলো সম্পর্কে তোমরা পূর্ববর্তী শ্রেণীতে মৌলিক ধারণা পেয়েছ। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য তোমাদের সৃজনশীল, নৈর্ব্যক্তিক ও ব্যবহারিক প্রতিটি বিভাগেই ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতেই অধ্যায়টির ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।
এগুলো তোমাদের মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে কারণ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হলে প্রতিটি অধ্যায়ের সংজ্ঞা, শর্ত ও উদাহরণগুলো শিখতে হবে। তাছাড়া সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হলেও এই আলোচনাগুলো তোমাদের সাহায্য করবে। যেহেতু তোমাদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে তৈরি প্রশ্নের আলোকে উত্তর দিতে হবে, সেহেতু তোমাদের গাণিতিক সমস্যার সমাধান শেখার পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি শিখতে হবে। এতে পরীক্ষায় বইয়ের বাইরে থেকেও গাণিতিক সমস্যা দেওয়া হলে তোমরা তার সমাধান করতে পারবে। একই নিয়মের ভিন্ন ভিন্ন কিছু গাণিতিক সমস্যা সমাধানের অনুশীলন করতে হবে।
এর ফলে ওই নিয়মটি তোমরা আয়ত্ত করতে পারবে। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমেই তোমরা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে পার। এরপরের আলোচনায় থাকবে ম্যাট্রিঙ্ ও নির্ণায়ক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।