আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিউটোরিয়াল - কিভাবে হবেন ব্লগীয় হিটম্যান

এইখানে শায়িত আছেন বাংলা ব্লগ ইতিহাসের কলঙ্ক...
বিঃ দ্রঃ পোস্টটি যারা আমার মতো সারাদিন নির্লজ্জভাবে হিটের পেছনে ছোটেন তাদের জন্য! পোস্টের বিষয়বস্তু: সম্ভবতঃ এটাই পোস্ট হিট করানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান - বিষয়বস্তু বা Content। সৃষ্টির আদি থেকেই সামহোয়্যারে কিছু কিছু বিষয় নিয়ে লেখলেই তা জনপ্রিয়, আর কিছু কিছু বিষয় ততোটা নয়। আরেক কথায় আপনাকে বুঝতে হবে "পাবলিক কি ভালা পায়, আর কি পায় না। " তবে "পাবলিক ভালা পায়" মানে পছন্দ করে তা কিন্তু নয়, এর মানে হলো হিট আসে বেশি। এরকম বিষয় বস্তুর পূর্ণাঙ্গ কোন তালিকা করা প্রায় অসম্ভব, তবে সীমিত আকারের একটি তালিকা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করতে পারে - "পাবলিক কি ভালা পায়" - ১. লুল, ছাগু, রেসিডেন্ট ভাঁড়, জামাত, রাজাকার, নিজামী, গোলাম আযম, প্রথম আলো, মগবাজার, কারওয়ানবাজার, ব্যান, আনব্যান, জেনারেল, পোস্ট মোছা, ব্লক করা, যেকোন ভোদাই, তিশমা, আশরাফুল, ছাত্রলীগ, দিনবদলের সেনা, সোনার ছেলে, ভারত, পাকিস্তান, আস্তিক-নাস্তিক, ইসলাম/কোরানের ব্যাখ্যা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মোডারেশনের সমালোচনা, প্রাইভেট/পাবলিক ভাসির্টি দ্বন্দ, ব্লগার্স মিটিং, ব্লগীয় উদ্যোগ (সাহায্য/সহযোগিতা), যেকোন ১৮+/২১+, "ভাইরাস ধরেছে" পোস্ট, ব্লগ/ব্লগার নিয়ে ছড়া/কবিতা, অশ্লীলতম কাব্যরচনা, ফানপোস্ট, জোক্স, ব্যাক্তি জীবনের কোন লজ্জাদায়ক/স্মরনীয় ঘটনা নিয়ে পোস্ট, রান্না-বান্না পোস্ট, PHP, MySQL নিয়ে পোস্ট।

২. নোটিশবোর্ড, কালপুরুষ, চিকনমিয়া, হাসিব, অমি রহমান পিয়াল, ত্রিভুজ, কৌশিক, লোকালটক, মাহবুব মোর্শেদের মতো জনপ্রিয় ব্লগীয় চরিত্রদের নিয়ে যেকোন ধরনের পোস্ট আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়ে থাকে। ৩. জনপ্রিয় ব্লগারদের আনব্যান চেয়ে পোস্ট, জনপ্রিয় ব্লগারদের বার্থডে পোস্ট হিটের খনি। ৪. আড্ডা/ফাও গেঁজানো পোস্ট হিটের সাগরে ভাসে। উদাহরণ: ইউনুস খান, কঁাকন। ৫. মজাদার ছবি (নেট থেকে সংগৃহীত/নিজের তোলা) নিয়ে করা ছবি-ব্লগ দারুণ হিট হয়।

৬. Google, XP, Vista, Firefox প্রভৃতি নিয়ে করা টিউটোরিয়াল/টিপস/ট্রিকস গোছের টেকি পোস্টগুলো বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও কোন জনপ্রিয় সফটওয়্যারের ক্র্যাক/কিজেন সহ ভার্শন লিংকসহ পোস্টালে তাও প্রচুর হিট পায়। "কিভাবে হয়" এর চেয়ে "কিভাবে করতে হয়" গোছের টেকি পোস্টেই মানুষের আগ্রহ বেশি। ৭. যেকোন Erotic/Sexy বিষয় বা মেয়ে নিয়ে পোস্ট চরম হিট পায়। ৮. যদি আপনি জামাতী ঘরানার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য বিষয়বস্তু নিশ্চয়ই নতুন করে বলে দিতে হবে না।

কয়েকটা "বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র"/"আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে?"/"ভাষা সৈনিক নিজামী" টাইপ পোস্টই যথেষ্ট আপনার হিট বাড়াতে। ৯. যেকোন ব্লগার বা ব্যাক্তিকে বাঁশ/গজাল মারা, হেঁয় করা বা মুখোশ উন্মোচন করা পোস্টে হিটে সয়লাব হয়। ১০. ব্রেকিং/Exclusive/গুজবীয় যে কোন নিউজ (বিশেষতঃ সমসাময়িক/চলমান কোন চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে নিয়ে) প্রচুর হিট পায়। ১১. দেশ ও জাতির স্বার্থবিরোধী যেকোন লেখায় প্রচুর হিট আসে, পাবলিক আপনাকে গালি-গালাজ করতে পোস্টে ঢুকবে। ১২ হিট বাড়ানো নিয়ে লেখা যে কোন পোস্ট হিটের জোয়ারে ভাসে (প্রমাণ হাতে-নাতে পাবেন) "পাবলিক যা ভালা যায় না" - ১. অর্থনীতি, মন্দা, মঙ্গা, কৃষি, সার, রেমিটেন্স, ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, অতি দুর্বোধ্য কবিতা, অনেকদিন পরে ব্লগে এসে - "সবাই কেমন আছেন" টাইপ পোস্ট, সাহায্য পোস্ট, ভ্রমণ পোস্ট, প্রবাস/অফিস জীবনের পোস্ট ইত্যাদি।

২. অনুবাদের সুযোগ নেই এমন ব্যতীত যেকোন ধরণের ইংরেজী পোস্ট ব্লগে ফ্লপ খায় ও দুচিত হয়। ৩. যে কোন ধরনের "অনলাইনে টাকা আয় করুন" টাইপ পোস্ট ফ্লপ খায়। এ ধরনের পোস্টে গুনে গুণে মাইনাস দেয়া হয়। ৪. কোন অতি জানা/পরিচিত বিষয়ে পোস্ট। যেমন: "কিভাবে ইয়াহু ম্যাসেন্ঞ্জারে কাউকে ব্লক করবেন" - এই পোস্টটি।

৫. রোজনামচা/"আজ কি করলাম" টাইপ পোস্ট। ৬. Abstract/কল্পকাহিনী টাইপের পোস্ট বা এমন কোন পোস্ট যা পড়ে মনে হয় পোস্ট লেখক পাঠককে মাঝখানে ফেলে রেখেই কোথায় যেনো দৌড় পালালেন। শিরোনাম: শিরোনাম পোস্টের হিটের পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা। কারন শিরোনামই সেই জিনিস যা পোস্টে পাঠককে টেনে আনে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেমন শিরোনাম বেশি হিট বেশি বয়ে আনে।

বলা মুশকিল তবে একটা কাঠামো দাঁড় করানো যেতে পারে: ১. শিরোনাম হতে হবে চটকদার এবং চমকপ্রদক। ২. প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে শিরোনাম যতোটা সম্ভব দীর্ঘ করুন, পারলে ২ লাইন। এতে করে পোস্ট সহজে ব্লগারদের চোখে পড়বে। ৩. পোস্ট প্রকাশের সময় শিরোনাম বোল্ড করে দিন। এত ৩টি লাভ, প্রথমতঃ পোস্ট প্রথম পাতায় সহজে ব্লগারদের চোখে পড়বে ও আকর্ষণ করবে।

দ্বিতীয়তঃ যখন কেউ আপনার পোস্টে মন্তব্য করবে তখন প্রথম পাতার "সাম্প্রতিক মন্তব্য" ঘরে আপনার পোস্ট শিরোনাম ও মন্তব্যদাতার নিক সহ যায়গা করে নেবে। এখানেও বোল্ড করা শিরোনামের পোস্ট সহজে নজর কাড়ে। তৃতীয়তঃ যদি কোন ব্লগার আপনার পোস্ট প্রিয়তে নেন তাহলে ঐ ব্লগারের "প্রিয় পোস্ট" তালিকায় আপনার পোস্ট আর সব পোস্টের চেয়ে একটু আলাদাভাবে চোখে পড়বে। ৪. প্রথাগতভাবেই পোস্টের শিরোনামে ইমো দিলে পোস্ট হিটের বন্যায় ভাসে। ইমোর ব্যবহার অনেকটা শিরেনাম বোল্ড করার মতোই কাজ করে।

নিম্নের ইমোটিগুলো সর্বাপেক্ষা হিটগ্রাহী - ৫. শিরোনামে সাসপেন্স/রহস্য উন্মোচনের আহবান রাখুন। সব কথা শিরোনামেই বলে দেবেন না। শিরোনামে ইঙ্গিত এবং পোস্ট পড়লে সম্পূর্ণটা জানা যাবে - ব্যাপারটা এমন হলে ব্লগাররা পোস্ট পড়ার আগ্রহ বোধ করবেন। ৬. কিছু কিছু পোস্টে একবারেই শিরোনামসর্বস্ব। অর্থাৎ শিরোনামই পোস্টের প্রাণ।

এ ধরনের পোস্টগুলোর মূল অংশে বিশেষ কিছু লেখা থাকে না, যা বলার লেখক শিরোনামেই বলে দেন। পোস্টগুলোর অধিকাংশই এক/দুই লাইনের। অনেক সময়ই এ ধরনের পোস্টে কোন ইন্টারেস্টিং ছবি (নিজে তোলা বা নেট থেকে সংগৃহীত) থাকে ও শিরোনামে তার কথাই বলা হয়। এমন শিরোনামগুলো মজাদার হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। ৭. গালগালপূর্ণ শিরোনাম যথেষ্ট জনপ্রিয়।

৮. অভূতপূর্ব, অশ্রুতপূর্ব বা সাড়া জাগানো কোন বিষয় বা তথ্যসম্বলিত পোস্টে Exclusive বা "ব্রেকিং নিউজ" টাইপ শব্দগুলো হিট বাড়াতে সাহায্য করে। ৯. আক্ষেপমূলক পোস্টে শিরোনামে আশ্চর্য্যচকিত, বিস্ময় প্রকাশক, হতভম্ব, Over Acting/Reaction টাইপ শিরোনাম ও সাথে যথাযথ ইমো আর বিস্ময়/প্রশ্নবোধক চিহ্নের ব্যবহার বয়ে আনে অনাবিল হিটের আনন্দ। নিম্নে এরকম কয়েকটি শিরোনাম দেয়া হলো - ওরে আমার কি হইলো রে!!!! হায়! আমি আর নাই!! আমি কি হনুরে! আমি তোগো খাইসি!! ১০. নিচে এমন কিছু শব্দ দেয়া হলো যা আপনার পোস্টের শিরোনামে থাকলে পোস্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কম হিট খাবে: দারিদ্র, মঙ্গা, অর্থনীতি, বিশ্বমন্দা, কৃষক, সার, বিদ্যুৎ সংকট, DNS, Networking, Router, বাজারমূল্য, তেলের/চালের দাম। লেখনীর ধরন: ১. কপি-পেস্ট পোস্টের চেয়ে নিজে বানিয়ে কিছু লেখা শ্রেয়তর। কপি-পেস্ট করে ধরা খেলে ব্লগারদের হাতে দুচিত হবার সম্ভবনা প্রবল।

২. পোস্টের প্রথম কয়েক লাইন প্রথম পাতায় দেখা যায়। তাই এই প্রথম কয়েক লাইন একটু সতর্কভাবে লেখা উচিৎ। খেয়াল রাখতে হবে পোস্টের মূল বক্তব্য যেনো কোনোভাবেই এই কয়েক লাইনে সম্পূর্ণ প্রকাশ না পেয়ে যায় - নতুবা পাবলিক আপনরা পোস্টে ঢুকবে না। সফটওয়্যারের লিংক দিলে এই প্রথম কয়েক লাইনে দিবেন না। Make them come to your post. কোন বিবৃতিমূলক ঘটনার ক্ষেত্রে এই কয়েক লাইনকে এমনভাবে রচনা করুন যাতে পাবলিক বাকি কাহিনী জানার জন্য ব্যকুল হয়ে পোস্টে ঢুকে।

খুব ছোট পোস্টের ক্ষেত্রে ↓ প্রথম কয়েক লাইনে ................................... ................................... ব্যবহার করতে পারেন। ৩. পোস্টে সংশ্লিষ্ট অথবা নিতান্তই অসংশ্লিষ্ট অথবা ইঙ্গিতবাহী ছবি/লিংক দিলে পোস্ট আকর্ষনীয় হয়, হিট বাড়ে। ৪. টেকি পোস্টের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয় সফটওয়্যার দিলে হয় ফ্রি সফটওয়্যারের খোঁজ দেবেন আর না হয় ক্র্যাকসহ। কোনোমতেই Rapidshare এর কোন লিংক দেবেন না। গড়গড় করে Wikipedia থেকে কপি-পেস্ট করে করে সফটওয়্যারের ফিচার বলে যাবেন না, সাথে নিজের কিছু কথাও যোগ করুন।

৫. কারনে-অকারনে পোস্টে ইমো যোগ করুন (আমার মতো)। এতে করে পাবলিক দীর্ঘ পোস্টগুলো পড়তে গিয়ে বিরক্ত হবে না। বিশেষ বিশেষ কিছু শব্দ অকারনেই বা ইঙ্গিতস্বরূপ বোল্ড করে দিন। পোস্ট প্রকাশের সময়: পোস্ট প্রকাশের সময়ের ওপরও হিট নির্ভরশীল। পোস্টতো যেকোন সময়ই প্রকাশ করা যায় কিন্তু সবসময় সমান হিট পায় না।

যেমন, ব্লগের প্রাইম টাইম হলো রাত ১০.৩০-১২.১৫টা। এ সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্লগার অনলাইনে (১০০-১২৫) থাকেন। তাই আপনার মন বলবে এ সময়ে পোস্ট করাই সবচেয়ে উত্তম। কিন্তু এই বিশাল সংখ্যক ব্লগার অনলাইনে থাকার সবচেয়ে বড় অসুবিধাটি হলো এই সময়ে প্রথম পাতায় পোস্টও আসে অনেক বেশি। ফলে আপনার পোস্টটি খুব অল্প সময়েই প্রথম পাতা থেকে সরে যাবে।

এতে করে হিট রেট বেশি থাকলেও হিট আসলে একই আসে। এ সময়টিকে পোস্ট দেয়ার জন্য বেছে নিন একমাত্র যদি আপনি একজন মোটামুটি/বেশ পরিচিত ব্লগারে পরিণত হয়ে থাকেন। এ সময়কালে যে কোন ধরনের পোস্টই প্রকাশ করতে পারেন, তবে স্পেশালি ফান পোস্ট দেওয়ার জন্য আদর্শ সময়কাল হচ্ছে এটি। তবে অপেক্ষাকৃত শান্ত ও সুস্থির একটি সময় হলো রাত ৮.৩০-১০.৩০। এ সময়ে ব্লগ বেশ শান্ত থাকে, প্রথম পাতায় পোস্ট রোটেশনের হার স্বাভাবিক বা তার চেয়ে কম থাকে।

রাত ১২.১৫-৫টার সময়কালটিও অপেক্ষাকৃত শান্ত। এ সময়টি ব্লগারদের কাটে ১০.৩০-১২.১৫ এর পোস্টগুলোতে কমেন্ট করে। এ সময়ে বেশ কিছু কবিতা পোস্ট আসে, আর আসে আড্ডা পোস্ট। তবে আড্ডা পোস্টের জন্য রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। ব্লগে গড়পরতা সবচেয়ে বেশি ব্লগার অনলাইনে থাকে বৃহস্পতিবার রাত ১০.৩০-১২টার সময়।

সকাল ৫-১০টা পর্যন্ত কবিতা পোস্ট/সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের জন্য ভালো সময়। বেলা ১১-বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্লগ ঝিমায়। আপনার লক্ষ্য যদি হয় পোস্ট অধিক সময় প্রথম পাতায় রাখা তাহলে এই সময়টির জুড়ি নেই। আরেকটা ব্যাপার যেটা অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন তা হলো, কোন ব্লগীয় গন্ডগোল চলাকালীন সময়ে একান্তই ঐ গন্ডগোল সংক্রান্ত না হলে কোন পোস্ট দেবেন না। এরকম গন্ডগোলের সময় ব্লগে উক্ত গন্ডগোল নিয়ে সবাইপ্রোণ খুলে পোস্টাতে থাকে।

তাই আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় হারিয়ে যাবে এসব পোস্টের ভিড়ে এবং অচিরেই প্রথম পাতা থেকে সরে যাবে। ......এবং অবশেষে কিছু টিপস: ১. পোস্ট প্রকাশের পর যতোক্ষণ পোস্ট প্রথম পাতায় থাকবে ততোক্ষন অল্পকিছু মন্তব্যের জবাব দিয়ে চুপচাপ থাকুন এবং পোস্ট প্রথম পাতা থাকে থেকে সরে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকুন। পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সর গেলে এবারে একটি একটি করে মন্তব্যের জবাব দিন - একটি জবাব দিন ও ৩ মিনিট চুপ থাকুন। এতে করে পোস্ট সবসময় প্রথম পাতার "সাম্প্রতিক মন্তব্য" ঘরের তালিকায় দেখা যাবে ও অন্যান্য ব্লগাররা সেখান থেকে লিংকে ক্লিক করে পোস্ট দেখতে আসবেন, হিট বাড়বে, বাড়বে কমেন্টও! ২. যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন ও লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে থাকেন তাহলে নতুন পোস্ট দিলে অন্যান্য ব্লগারদের পোস্টে কমেন্ট করার সময় সেটির লিংক ছেড়ে আসতে পারেন। মোটামুটি পরিচিত ব্লগার হয়ে গেলে আপনাকে আর এই কাজটি করতে হবে না।

৩. কোন পোস্টের সাথে নিজের অন্য কোন পোস্টের সম্পর্ক/মিল থাকলে পোস্টের শেষে ঐ সকল অন্য পোস্টগুলোরও লিংক জুড়ে দিন। ধারাবাহিক কোন পোস্টের একটি পর্বের ক্ষেত্রে আগের প্রতিটি পর্বের লিংক দিন। ৩. হিট বাড়াতে অন্যের ব্লগে কমেন্ট করার কোন বিকল্প নেই। তাই বেশি বেশি কমেন্ট করুন, পোস্টের মাধ্যমে না হলেও কমেন্টের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলুন, পোস্টে হিট আপনিই আসবে। পূর্বের টিউটোরিয়াল সমূহ: ১. টিউটোরিয়াল - কেমনে হইবেন পেশাদার ব্লগীয় ছাগু ২. টিউটোরিয়াল - কেমনে হইবেন পেশাদার ব্লগীয় লুল ৩. টিউটোরিয়াল - কিভাবে নিজেকে মডুদের হাত থেকে রক্ষা করবেন ৪. টিউটোরিয়াল - কিভাবে লিখবেন স্টিকিযোগ্য পোস্ট ৫. টিউটোরিয়াল - কিভাবে হবেন পেশাদার ব্লগীয় গুলবাজ/গুজবকারী/রটনাকারী ৬. টিউটোরিয়াল - কিভাবে হবেন পেশাদার ব্লগীয় রেসিডেন্ট ভাঁড়
 



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.