"অতিরিক্ত পারফেক্ট ভিজ্যুয়াল
আমি অস্বস্তি বোধ করি"- নাঈম মোহায়মেন
বিশ্বের অন্যান্য দেশে কনসেপচুয়াল আর্ট, ভিস্যুয়াল আর্ট - শিল্প সমঝদার এবং বোদ্ধা দর্শকদের মধ্যে একটা বিশেষ স্থান করে নিলেও বাংলাদেশে এই মাধ্যমটি ঠিক ততটা প্রসার লাভ করতে পারেনি। এখনও বিচ্ছিন্নভাবেই এই মাধ্যমে ব্যক্তিবিশেষের আগ্রহ থেকেই চর্চা চলছে। নাঈম মোহায়মেন দীর্ঘদিন থেকে এই মাধ্যমটিতে কাজ করছেন। তিনি নিউইয়র্ক এবং ঢাকায় কর্মরত মূলত একজন ভিজ্যুয়াল মিডিয়া আর্টিষ্ট যিনি ফিল্ম, প্রিন্ট, ইনস্টলেশন এবং টেক্সট নিয়ে কাজ করেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে ‘ভিজিবল কালেক্টিভ / ডিসেপায়ার্ড ইন আমেরিকা’, ‘মুসলিম অর হেরিটিকস : মাই ক্যামেরা ক্যান লাই’ অন্যতম।
৯/১১ এর পরবর্তী পরিস্থিতিতে আমেরিকা নিয়ে তার নির্মিত ডিসেপায়ার্ড ইন আমেরিকা নামের ট্রিলোজির মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনাটি বেশ প্রশংশিত হয়। THE WALL STREET JOURNAL এই কাজটি সম্পর্কে বলে "moving and eerily impressionistic" এবং THE NEW YORK TIMES কাজটিকে বর্ণনা করে "politically hard-hitting" বলে অভিহিত করে।
গত ২১ থেকে ৩১ আগষ্ট ২০০৮ ঢাকার চিত্রক গ্যালারিতে মাল্টিডিসিপ্লিনারি শিল্পী নাঈম মোহায়মেনের “My Mobile Weighs a Ton” শিরোনামে মোবাইল ফোনে তোলা ছবি ও ইন্সটলেশন নিয়ে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনাবাহিনী ও ছাত্রদের মধ্যে এক অনাকাংখিত ঘটনায় সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিশেষ বিশেষ সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সেইসময় শিল্পী তার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে কিছু ছবি তোলেন।
ছবিগুলোতে সেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে একটা বিশেষ বক্তব্য উঠে এসেছে। প্রদর্শনীতে মূলত ফটোগ্রাফিক ইমেজকে ছোট বড় নানান ভাবে কনসেপচুয়ালি ব্যবহার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তার এক বৌদ্ধিক পরিস্থিতি তৈরির ল বিশেষভাবে উঠে এসেছে। এধরণের কাজ ও প্রদর্শনীতে দেখা যায় বিভিন্ন মাধ্যমের সমন্বয়। মাঝে মাঝে তা একিভূত হয়ে থাকে এবং প্রায়শই স্ব স্ব সাত্যন্ত্র জারি রেখেই প্রদর্শীত হয়। চিত্রকের প্রদর্শনীটি উপল করে নাঈম মোহায়মেনের সাথে নানা বিষয়ে শিল্পরূপের কথা হয়।
তিনি নিজের কাজের সম্বন্ধে বলেন, যখন মানুষ একটা মিডিয়া নিয়ে কাজ করে সে নির্দিষ্ট মিডিয়াটার সম্ভাবনাটাই শুধু নেয় এবং সেই সাথে নির্দিষ্ট মিডিয়ার সম্পূর্ণ ব্যবহারও তার আয়ত্তে থাকতে হয়। আমার েেত্র যেটা হয় সব সময় এবং আমি এতে মজাই পাই যে আসলে কি হবে শেষ না করা পর্যন্ত আমি জানি না। চিত্রকের ক্ষেত্রে যেমন আমি ছবিগুলি নিয়ে অনেকণ কাজ করলাম, নষ্ট করলাম, বাড়ালাম, কমালাম, অনেকদিন ধরে করলাম এই কাজ তারপর যখন প্রিন্ট করলাম, দেখলাম আরেক জিনিস। প্রিন্ট দেখার পরে ভাবলাম ঠিক আছে আবার করি। তারপর এক পিঠ যখন প্রিন্ট করি সে পিঠ ভাল লাগল না, আরেকটা ম্যাটেরিয়ালে প্রিন্ট করলাম।
এ রকম এক্সিপেরিমেন্টে দেখলাম মজাও লাগে, এটা আমার প্রসেস।
শিল্পরূপ: সেক্ষেত্রে শৈলিটা কেমন গুরুত্বপূর্ণ।
মোহায়মেন: শৈলিটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমার শৈলিটা কিছুটা এন্টি শৈলী। এটা আমার একটা এন্টি এস্থিটিকস।
আমি আসলে ইমেজটাকে নষ্ট করতে আগ্রহী। কিছু ভিডিও করেছি যেখানে অনেক পুরনো পুরনো ফিল্ম নিয়ে তারপর সেটা আরো নষ্ট করে সেটাই স্ক্রিনে এনেছি। আমি পারফেক্ট ছবিতে পার্সোনালি ইন্টারেস্টেড না। অতিরিক্ত পারফেক্টিং মানে অতিরিক্ত পারফেক্ট গল্প, অতিরিক্ত পারফেক্ট ফিল্ম, অতিরিক্ত পারফেক্ট ভিজ্যুয়াল, আমি পার্সোনালি অস্বস্তি বোধ করি।
শিল্পরূপ: তাহলে পারফেকশন সম্পর্কে আপনার ধারণা কিভাবে কাজ করে আর...
মোহায়মেন: আমি আসলে বলতে চাইছিলাম যে পারফেকশনের দিকে বেশি বা অতিমাত্রায় খেয়াল রাখতে গেলে অনেকসময়ই দেখা যায় কনসেপচুয়ালি আমি যা বলতে চাই তা ঢাকা পড়ে যায়।
আমি একটা বিষয় নিয়ে দর্শকদের সাথে কথা বলতে চাই অথচ দেখা গেল দর্শক সেখান থেকে শুধু নান্দনিক সৌন্দর্য্যই উপভোগ করল আর আমার কথা বলার বিষয়টি ঢাকা পড়ে গেল তাহলেতো সমস্যা, আমার জন্য। আমি তা চাই না।
শিল্পরূপ: আপনি বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী করেছেন, এখন স্থানভেদে প্রদর্শনীর বিষয় এবং উপস্থাপনার কোন বিশেষ তাৎপর্য অনুভব করেছেন কিনা ?
মোহায়মেন: স্পেসগুলোর একটা রাজনীতি আছে। যেমন আমি একটা প্রজেক্ট করেছিলাম যেখানে রিকশার ছবি তুলেছিলাম। এটা কিন্তু আমার নরমাল স্টাডি।
আমি জাস্ট তুলেছিলাম, নিউইয়র্কে এক গ্যালারিতে এটা দেখে একজন বলে যে এটা দিন। আমি বললাম যে, এটা আমি দিতে চাই না। সে বলল, কেন? আমি বললাম, এটা আমার কাজ না। আমি রিকশা নিয়ে কাজ করি না। রিকশা আমার থিম নয়।
কিন্তু সে বলে দিস ইজ রেকগনাইজ বাংলাদেশ। সবাই বুঝবে বাংলাদেশ। আরো একদিন মহিলাটি এসেছিল। আমি বললাম যে কাউকে দেব না। কিন্তু সে বলল, ছবিগুলো খুব সুন্দর।
আমি বললাম যে এমন কিছু সুন্দর না। এর চেয়ে সুন্দর রিকশার ছবি আছে। সো আর্ট মার্কেটের একটা অংশ চলে আসে। এট দ্য সেম টাইম আই ওয়ান্ট টু ডু কন্ট্রোল। তো একজন ওটা নিয়ে নিল, বিকজ ওটা রিকশা, ওটা সার্টিফিকেট... ঐ জিনিসটা আমি দেখেছি, ঐ রাজনীতি আমি বারবার দেখেছি।
নিজের স্বস্তির জন্য আমি ইচ্ছা করেই অন্যদিকে যাবার চেষ্টা করি। যেমন সিঙ্গাপুরে আমি গিয়েছি, সিঙ্গাপুর আমার কাছে খুব অস্বস্তিকর লাগে, বিকজ ইট ইজ এ পারফেক্ট সিটি। কোথাও থুতু ফেলা যায় না, একটা ফকির পাওয়া যাবে না। এভরিথিং ইজ কিন। এন্ড ইটস এ পুলিশ স্টেট, রাইট।
আমার কাছে অস্বস্তিকর লাগে। অথচ সিঙ্গাপুরকে অনেকে চায় এবং অনেকে বলে সিঙ্গাপুর ইজ সো পারফেক্ট, কেন বাংলাদেশ এরকম হতে পারে না। ব্যক্তিগত ভাবে, এইসব অন্তর্ভাবনা কোন না কোন ভাবে আমার কাজে চলে আসবে। আমি ভেরি কমফোরটেবল ইন এভরি হোয়ার। আমি এমনিতেও বড় হয়েছি বিভিন্ন জায়গায়।
লিবিয়া ছিলাম ছোটবেলায়, তারপর বাংলাদেশে বড় হয়েছি। বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছি। সো ঐ সব আনসারটেনটি আমার নাই, আমি যতটুকু বাংলাদেশী ততটুকু নিয়েই কনফিডেন্ট।
শিল্পরূপ: আইডেন্টিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তো কথা হচ্ছে, তা কিভাবে বিবেচনা করবেন?
মোহায়মেন: আমি দুই শহরের মধ্যেই কমর্ফোটেবল ফিল করি বিভিন্নভাবে এবং দুই শহরে আমি কাজ করেছি। সুতরাং ঐ আইডেনটিটি ক্রাইসিস আমার নেই।
আমার কাছে মনে হয় অন্য ধরনের কিছু আইডেনটিটি পলিটিক্স ডেফিনেটলি আছে যেটা আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লাগে। উদাহরণস্বরূপ যে ইসলাম রিলেটেড পলিটিক্স। বাংলাদেশে ইসলামের সাথে এক ধরনের সম্পর্ক। ইসলাম অনেক জিনিসের সাথে জড়িত এরকম একটা ব্যাপার আছে। বাইরে কিন্তু ইট ইজ কানেক্টেড টু বিইং এন ইমিগ্রান্ট, ২০০১ এর পরে।
শিল্পরূপ: আইডেন্টিটির বাইরে আপনি কিভাবে থাকবেন, এটা তো ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না।
মোহায়মেন: ঐখানে একটা জিনিস আছে যে ঐ আইডেনটিটির বাইরে থাকতে চাইলেও এক অর্থে থাকতে হবে বিকজ তোমার শেষ নাম কি? তোমার অরজিন কি? এসবের ভিত্তিতে। তাই ঐ রাজনীতি তো আছেই। আমি মনে করি যে ক্রাইসিস সেটা না। পৃথিবী কিন্তু বদলে গেছে।
আফটার অল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের জন্য দ্যা মেইন ক্যান্ডিডেট হাফ ব্লাক হাফ হোয়াইট হিস ফাদার ইজ ফরম কেনিয়া মাদার ইজ ফরম হোয়ারএভার এবং তার মতো লোকজন কিন্তু ইন দ্যা ফিউচার মাইট বি দ্যা মেজরিটি অব আমেরিকা।
আইডেনটিটি ক্রাইসিস জিনিসটা এত ইন্টারেস্টিং মনে হয় না অ্যাজ এ সাবজেক্ট ফর আর্ট। দশ বছর আগে ইট ওয়াজ ভেরি ইন্টারেস্টিং। আইডেন্টি ক্রাইসিস নিয়ে লোকজন আর্ট করত, লোকজন ফিল্ম বানাত লোকজন ডকুমেন্টারি করত। আমি যখন নিউইয়র্কে, আই এ্যাম সামবডি বাংলাদেশী হু ইজ লিভিং ইন নিউ ইয়র্ক এন্ড হু ইজ মেকিং ওয়ার্ক অ্যাবাউট বাংলাদেশ; দ্যাট ইজ ইন্টারেস্টিং।
যেমন রিকশার রাজনীতি। আমি মনে করি রুনা ইসলাম ডাস নট ডু অ্যানি ওয়ার্ক অ্যাবাউট বাংলাদেশ; দ্যাট ইজ অলসো ইন্টারেস্টিং। সি সেজ ‘আমার ইনফুয়েন্স হচ্ছে ফ্রেন্স ফিল্ম মেকার। ইটালিয়ান ফিল্ম মেকার, দ্যাটস মাই ইনফুয়েন্স’। সেটাও তো মানুষের অধিকার।
হোয়াই ডাজ এভরি ওয়ান হ্যাভ টু বি কালচারাল অ্যাম্বাসেডর।
শিল্পরূপ: রুনা ইসলামের রিকশার কাজ আছে।
মোহায়মেন: একটাই ফিল্ম। ঐ একটাই।
শিল্পরূপ: চিত্রকের এই এক্সিবিশনটা নিয়ে...।
মোহায়মেন: চিত্রকের শো অবশ্যই একটা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এবং যেটা বড় ডিবেট ছিল আমার বন্ধু জাঈদ ইসলামের সাথে, এই শোতে ও ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজনীতি আরেকটু স্পষ্ট করার প্রস্তাব ছিল ওর। এবং আমি বলছিলাম যে না আমি রাজনীতি এত স্পষ্ট চাই না লোকজন একটু হাত রাখুক। খুঁজতে কষ্ট হোক। আবার দেখা গেল অনেকে রাজনীতিটা ধরতে পারেনি।
এবং তখন হয়তো একজন এসে আমাকে বলছে পাবলিক এভাবে খাবে না। অন্যভাবে খাওয়াতে হবে। এখন এটা আমি মনে করি ইজ এ ইন্টারেস্টিং থিংক; এর উত্তর এখনও আমি জানি না যে লোকজন ধরতে পারবে না এই ভয়ে পুরোটাই বুঝিয়ে দিতে হবে। সেটা কিন্তু একটা ইন্টারেস্টিং সমস্যা ফর অ্যানি ওয়ান ওয়ার্কিং ইন কালচারাল স্পেস। আমাদের ট্রেডিশনই হচ্ছে যে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া।
আবার ঠাট্টা করে পপুলার কালচার থেকে একটা উদাহরণ দিয়ে অনেকে বলে যে পপুলার কালচার ইজ ভেরি এ্যাভেলএবেল। উই আর গ্রোয়িং আপ এ পপুলার কালচার ইয়াং ছেলেরা কিন্তু রবীন্দ্র সংগীত শুনে বড় হচ্ছে না। দে আর ওয়াচিং টেলিভিশন। আমার আম্মা আমাকে মজা করে বলে যে তোমাদের এ রকম করে হবে না তোমাদের হিন্দি ছবি হিন্দি সিরিয়ালের মতো বোঝাতে হবে। অর্থাৎ কেয়া, কেয়া, কেয়া বলে তিনবার মাথা ঘুরবে, ক্যামেরা তিনবার যাবে।
আম্মা ঠাট্টা করছে ঠিক কিন্তু এর মধ্যে একটা গুরুসত্যি আছে যে একটা এক্সপেক্টেশন আছে; ঐ ল্যাংগুয়েজ আমি যদি ব্যবহার না করতে চাই তবে একটা ইন্টারেস্টিং সমস্যা হয়ে যায়; এ্যাট দা সেইম টাইম আমি ঐ ধরনের কাজও করতে চাই না যে পাঁচজন বুঝবে। আবার আমি বললাম যে ধুুর। বাকি সব গাধা। সেটাও চাই না। এটা একটা সমস্যা।
শিল্পরূপ: সমস্যাটা কি এখানেই নাকি...
মোহায়মেন: এটা স্পেসিফিক বাংলাদেশেও না বাট ভিজ্যুয়াল আর্টের সমস্যাও না বিকজ ভিজ্যুয়াল আর্টস গালারি ইজ ফান্ডামেন্টালি এ্যালিটেস্ট। কারণ ফান্ডামেন্টালি গ্যালারিতে যে সংখ্যক লোক যায় শুধু বাংলাদেশ নয় যে কোন দেশের তার একশ গুণ লোক যায় ব্যাটম্যানের নতুন সিনেমা দেখতে। একশ নয়, এক হাজার জন। তার পঞ্চাশ গুণ লোক বই পড়তে যায়। মানে এতগুলো মিডিয়ামের মধ্যে ভিজ্যুয়াল আর্টস ইজ এ্যালিটেস্ট।
এতদিন পরে এটা বদলানো যায় না। মেজরিটি ওপেনিয়ন হলো এগুলো কি বুঝলাম না এগুলো দেখতে চাই না অথবা এগুলো হলো বুদ্ধিজীবীদের, হোয়াটএভার ইট ইজ। আমার এরকম এক্সপেরিয়েন্সও হয়েছে যে একটা কাজ দেখিয়েছি ওডিয়েন্সে ছিল ৬০-৭০ জন। তারা জার্মানে কথা বলছে আমি ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করছি, এদিকে আমি জার্মান বুঝি না। সেখানে ৫০% মে বি ডাস নট ফলো ইংলিশ।
আমি প্রেজেন্টেশন দিচ্ছি ইংরেজিতে। অন্যরা প্রেজেন্টেশন দিচ্ছে জার্মানে। আই এ্যাম সেইং দিজ। আই ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড জার্মান। কিন্তু অনুবাদ করে দিচ্ছে না।
অর্থাৎ তাদের একটা এটিচ্যুড আছে ইউ স্যুড আন্ডারস্ট্যান্ড জার্মান। আমি মনে করি ভিজ্যুয়াল আর্টসের একটা জিনিস আছে যে ইউ স্যুড আন্ডারস্ট্যান্ড। না বুঝলে যাও ইন ফ্যাক্ট দেয়ার ইজ এ প্রিমিয়াম প্লেসড ফর মেকিং থিংকস মোর ডিফিকাল্ট।
শিল্পরূপ: শেষ পর্যন্ত আপনি প্রদর্শনীটিতে কি চেয়েছিলেন ?
মোহায়মেন: আমি চেয়েছিলাম প্রদর্শনীর ফ্রেমের ভেতর থেকে ছবির পলিটিক্যাল কনটেক্সটা বের করে আনতে। যা করার জন্য ছবিকে আমি নানভাবে ডিস্ট্রয়, ডেমেজ, ছোট-বড় করেছি যাতে করে ছবি তোলার পরিস্থিতিটা বোঝা যায়।
শিল্পরূপ: ধন্যবাদ আপনাকে।
মোহায়মেন: ধন্যবাদ।
প্রদর্শনীটির ওয়েবসাইট: http://www.mobileton.wordpress.com
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাঈদ জুবেরী
সাক্ষাৎকারটি শিপ্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘শিল্পরূপ‘-এর জানু-মার্চ ২০০৯ সংখ্যায় প্রকাশিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।