আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিডরের জন্য প্রতিশ্রুত সাহায্য: ইউরোপ ও আমেরিকানদের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি: সৌদি আরবের বদান্যতা



বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তপে করার জন্য কিছু দেশ ও সংস্থার কুটনীতিকের অতি উৎসাহের কমতি দেখা যায় না। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে তারা মাতবরি করতে খুব পছন্দ করেন। এটা পুরনো কথা । এখনকার কথা হল তারা বিভিন্ন সময় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন, আশার কথা শুনান পরবর্তীতে সাহায্য প্রদান করেন না । এটা লজ্জার কথা।

মানবতার জন্য মায়াকান্নাকারী এসব দেশ এ ধরনের ভূয়া প্রতিশ্রুতি দিতে পারে এটা আগে ভাবতে পারিনি। মজার ব্যপার হলো এই কাতারে আছেন আমাদের পাশ্ববর্তী ভারত। তারা ওয়াদা করেছিল যে সিডর আক্রান্ত একটি (মাত্র) গ্রামের সকল রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো নির্মান করে দেবে। কিন্তু ভারতের প্রতিশ্রুতি শুধু প্রতিশ্রুতি নয় এটা যেন প্রতারণা! সিডরের পর বিভিন্ন দেশের প থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি শুনে মনে হয়েছিল যে এসবের মাধ্যমে কিছুটা তি বুঝি কাটিয়ে উঠা যাবে কিন্তু সে গুড়ে বালি। একমাত্র সৌদি আরব ছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন কোন দেশই প্রতিশ্রুত সাহায্য প্রদান করে নি।

(এ বিষয়টি আমাদের এক মন্ত্রী মহোদয়ই প্রথম মিডিয়াকে জানিয়েছেন) এসব দেশের প্রতিশ্রুতিগুলো যেন প্রতিশ্রুতি নয়; কথার কথা। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার ও মানবতার ফেরিওয়ালাদের এ ধরনের ফা-ল-তু প্রতিশ্রুতি অনেককেই অবাক করেছে। বিষয়টি বরাবরের মত লনীয় যে সৌদি আরব বরাবরের মতই প্রকৃত ও অকৃত্রিম বন্ধুর ভুমিকা পালন করে আসছে। সৌদি আরব একা যে সাহায্য (মঞ্জুরী) প্রদান করে আর বাকী সব দেশ মিলে তার সমান বা তার চেয়ে কম করে। আর সৌদি আরব প্রতিশ্রুত সাহায্য প্রদান করে কিন্তু অন্যরা তা প্রদান করে না।

তাছাড়া সৌদি আরব বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে কোন হস্তপে করে না। আর প্রতিবেশী ভারত প্রতিশ্রুত সাহায্য তো প্রদান করেনা অথচ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতে চায়। কিন্তু বাস্তবে দেখছি আমাদের নেতা-নেত্রী আর মন্ত্রীরা তো ইউরোপ আমেরিকানদের তেল মালিশ করতে করতে হয়রান। আরবদের নিকটা থেকে সুবিধা আদায় করা যাবে সে বুদ্ধি ইউরোপ আমেরিকান ও ভারতীয়দের ঠিকই আছে কিন্তু আমরা মুসলিম দেশ হয়েও সে সুবিধা আদায় করে নিতে পারিন শুধুমাত্র আমাদের বুদ্ধির অভাবে। একটা বুদ্ধির কথাই বলি।

আরবদের পূঁজি ও বিনিয়োগ আকর্ষনের জন্য সিঙ্গাপূরও মালয়েশিয়া তাদের দেশ দুটোকে ইসলামি ব্যংকিং এর হাব হিসেবে তৈরী করার ঘোষনা দিয়েছে। তাদের কাতারে রয়েছে আরও অনেক অমুসলিম অধ্যুষিত দেশ। আর আমাদের ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত দেশে আজ পর্যন্ত ইসলামিক ব্যাংকিং আইন বা গাইডলাইন পাশ হলো না। শুধু এটাই নয় । আমরা যদি আরব ভিত্তিক দক্ষ কুটনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারি আমাদের অর্থনীতির জন্য অনেক ভাল হত।

এরা (আরববা) অন্তত: মানবতার তথকথিত ফেরিওয়ালাদের মত নসীহত প্রদানে বা কুটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনে এত উৎসাহী নয়। এ হলো আমাদের শাসকদের চিন্তার দৈন্যতা, হিনম্যন্নতা, আর গোলামী মানসিকতা । আর বর্তমান স-র-কা-র (গোলামী করা যাদের নিকট সম্মানের বিষয় বলে মনে হয় )তারা তো ভারতের স্বার্থ চিন্তায়ই বিভোর থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারন ভারত তাদের কেবলা হয়ে গেছে। তাই সময় হয়েছে শত্রু-মিত্র চিনে কুটনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সঠিক পলিসি গ্রহন করার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.